আমরা আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানবো যে কম্পিউটারের পোস্ট এবং বীপ কোড কি? আমরা যারা কম্পিউটার ব্যবহার করি তারা অনেকেই এটা জানি আবার অনেকে জানিনা। কম্পিউটার চালু হওয়ার সময় মূলত মাদারবোর্ড পাওয়ার পায় এবং এটি সরাসরি বায়োস এর ফার্মওয়্যার থেকে সফটওয়্যার চালু হয়। সবকিছু ঠিক থাকলে একটা বীপ দিয়ে বুট ডিভাইজ থেকে অপারেটিং সিস্টেম লোড করে।

পোস্ট (POST) :

আধুনিক সব বায়োসেই বুটিং এর সময় মাদারবোর্ড এবং তার সাথে সংযুক্ত সব হার্ডওয়্যার চেক করে। এটাকে বলে Power On Self Test বা সংক্ষেপে POST.

বীপ কোড (Beep Code) :

সিস্টেমের কোন সমস্যা ধরা পরলে এটি বিভিন্ন ধরনের বীপ কোড জেনারেট করে যা মাদারবোর্ডের সাথে সংযুক্ত স্পিকারে বেজে ওঠে। তা শুনে আমরা সহজেই কম্পিউটার সিস্টেমের সমস্যা নির্ণয় করতে পারি। এক এক বায়োস সিস্টেমে এক ধরনে বীপ কোড ব্যবহার করা হয়। (খেয়াল করবেন পিসি চালু করলে অনেক সময় চিকন শুরে একটি আওয়াজ হয়। এটাকেই বীপ কোড বলে।)

বহুল পরিচিত Award বায়োসের কয়েকটি বীপ কোড :

>> ১টি বড় বীপ এবং ২টি ছোট বীপ – ভিডিও সমস্যা। বায়োস স্ক্রিনের ভিডিও ডিটেক্ট করতে পারছে না।
>> ১টি বড় বীপ এবং ৩টি ছোট বীপ – ভিডিও কার্ডে সমস্যা। বা ভিডিও কার্ড ডিটেক্ট করতে পারছে না।

>> নিয়মিত বীপ দিতে থাকা – র‌্যামের সমস্যার কারণে।
>> আস্তে এবং জোরে কম্পিউটার চলাকালীন বীপ দিতে থাকা : কম্পিউটার বেশি গরম হওয়ার কারণে।

আইবিএম, ডেল, ম্যাকিনটোস, এমি বায়োস, ফনিক্সে ভিন্ন ধরনের বীপ কোড। যাদের পিসিতে যে ধরনের বায়োস তারা তা গুগল মামার সাহায্য নিয়ে জেনে নিতে পারেন। আর আমি সুযোগ পেলে না হয় পোস্ট করে আপনাদেরকে জানিয়ে দিব।

উল্যেখ্য র‌্যাম এবং ভিডিও কার্ড ঠিক থাকলে সাধারনত স্ক্রিন দেখা যায়। তাই বুট ডিভাইস না পেলে স্ক্রিনে তা লেখা আকারে দেখা যায়। কম্পিউটার রিপেয়ার করার কাজে বীপ কোড জানা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।

সৌজন্যে – আমার ব্লগ সাইট – www.mahbubpathan.blogspot.com এবং আমার ফেসবুক পেইজ – www.facebook.com/WAMahbubPathan.

Leave a Reply