বর্তমান টেকনোলজির যুগে আমরা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজে অনেক ইলেকট্রনিক গ্যাজেটের ব্যবহার করি। প্রতিটি ক্যাসেটের কাজ আলাদা আলাদা।
প্রতিটি গ্যাজেট পরিচালনার জন্য অবশ্যই একটি প্রসেসর এর প্রয়োজন হয়। প্রসেসর ছাড়া কোনো ইলেকট্রনিক গ্যাজেট পরিচালিত হতে পারে না। তাহলে চলুন প্রসেসর সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই…
• প্রসেসর (CPU) কি?
প্রসেসর বা CPU এর পূর্ণরূপ হলো Central Processing Unit। প্রসেসর হলো কম্পিউটারের একটি হার্ডওয়ার পার্ট, যেটা অপারেটিং সিস্টেম ও অ্যাপসকে রাম করে।
প্রসেসর কি আবার একটি কম্পিউটারের ব্রেইন বলা হয়। কারণ এটি হার্ডওয়্যার এবং সফটওয়্যার এর মধ্যে হওয়া গতিবিধিকে বুঝার ক্ষমতা রাখে।
• প্রসেসর কিভাবে কাজ করে:
আমরা কোন সফটওয়্যার মাধ্যমে কোন কমান্ড দিলে, সেই কমান্ড প্রসেসর এর মাধ্যমে প্রসেসিং হয়ে আমাদেরকে তার রেজাল্ট শো করে।
এই ক্ষেত্রে প্রসেসরের ক্লক স্পিড যত বেশি হবে, আমরা তত দেরিতে কমান্ডের রেজাল্ট পাব। আবার প্রসেসরের ক্লক স্পিড যত কম হবে, আমরা তত তাড়াতাড়ি কমান্ডের রেজাল্ট পাবো।
• প্রসেসর এর কোর কি?
কম্পিউটারের প্রসেসর যদি সিঙ্গেল কোর এর হয়, তাহলে সে কম্পিউটার কোন ভারী কাজ করতে পারবে না। কিন্তু,বর্তমানে কম্পিউটরে বা মোবাইল ২ কোর,৪ কোর,৬ কোর,৮ কোর বা তার বেশি কোরের প্রসেসর থাকে। যার ফলে বর্তমানে কম্পিউটার গুলো অনেক ভারী ভারী কাজ করতে সক্ষম।
১. ডুয়াল কোর: এই প্রসেসরে ২ টি কোর আছে।
২. কোয়াড কোর: এই প্রসেসরে ৪ টি কোর আছে।
৩. হেক্সা কোর: এই প্রসেসরে 6 টি কোর আছে।
৪. অক্টা কোর: এই প্রসেসরে ৮ টি কোর আছে।
৫. ডেকা কোর: এই প্রসেসরে ১০ টি কোর আছে।
• প্রসেসর স্পিড পরিমাপ:
একটি প্রসেসরে এইচপির মূলত গিগাহার্জ দ্বারা মাপা হয়। একটি প্রসেসর এর যতগুলো কোর থাকবে সেই প্রসেসর এর গিগাহার্জ বা ক্ষমতা তত বেশি থাকবে।
একটি কম্পিউটার বা মোবাইলের প্রসেসর গুলি যত বেশি গিগাহার্জে রান করবে, সেই কম্পিউটার বা মোবাইল গুলি ততো বেশি এবং তাড়াতাড়ি কাজ করতে পারবে।
আশা করি আজকের পর থেকে আপনার কিছু জানতে পেরেছেন।
সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।
You must be logged in to post a comment.
Good