Ram শব্দটির সাথে আমরা প্রায় সবাই পরিচিত। বর্তমানে ভার্চুয়াল Ram শব্দটি অনেক বেশি ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই ভার্চুয়াল Ram সিস্টেমকে নতুন বলে, কিন্তু এটা নতুন কোন টেকনোলজি না।

আগে আপনাকে ভার্চুয়াল Ram ব্যবহার করতে হলে, আপনার স্মার্ট ফোনকে রুট করতে হতো। আগের পুরোনো মোবাইলে মোবাইল কোম্পানিগুলো এই পারমিশনটা ব্লক করে রাখত, যার ফলে এই সিস্টেমটা ব্যবহার করতে হলে, অবশ্যই ফোনকে রুট করতে হতো। কিন্তু বর্তমানে মোবাইল কোম্পানিগুলো এই পারমিশনটা অনেক মোবাইলেই ডিফল্ট ভাবে দিয়ে দিয়েছে।

তাহলে চলুন ভার্চুয়াল Ram সম্পর্কে জেনে নিই…

• ভার্চুয়াল Ram (Virtual Ram) কি?
আপনার ডিভাইসের (যেমন: মোবাইল, কম্পিউটার ইত্যাদি) Ram এর নির্দিষ্ট সীমা পার হবার পর, আপনার ডিভাইসের Ram এর চাহিদা পূরণের জন্য হার্ডডিস্ক থেকে যে কিছু অংশ ডিভাইস ব্যবহার করে তাকে ভার্চুয়াল Ram বলে।

• ভার্চুয়াল Ram কিভাবে কাজ করে:
মোবাইল বা কম্পিউটারে যে Ram লাগানো হয়, তার একটি নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। আপনি যখন আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে অনেকগুলো অ্যাপস একসাথে ওপেন করে রাখেন, তখন অনেক সময় আপনার Ram তার সীমা অতিক্রম করে ফেলে। যেটা অনেক সময় বোঝা যায় না। তখন ভার্চুয়াল Ram এর প্রয়োজন হয়।

আপনার মোবাইল বা কম্পিউটার এর ফিজিক্যাল Ram যখন তার সীমা অতিক্রম করে ফেলে, তখন আপনার ডিভাইস তার নিজের প্রয়োজন অনুযায়ী আপনার হার্ডডিস্ক থেকে কিছু অংশ Ram হিসেবে ব্যবহার করে।

• ভার্চুয়াল Ram এর সুবিধা:

১. আপনার কম্পিউটার বা মোবাইল আগের তুলনায় একটু দ্রুত কাজ করবে।
২. আগের তুলনায় দ্রুত গেম খেলতে পারবেন বা সফটওয়্যার চালাতে পারবেন।
৩. কম্পিউটার বা মোবাইল হ্যাং করবে না।
৪. কম্পিউটার অন বা অফ আগের তুলনায় দ্রুত হবে।
৫. তবে হার্ডডিক্সের বিপরীতে এসএসডি ব্যবহার করলে, কম্পিউটারের স্পিড আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে।

• ভার্চুয়াল Ram এর অসুবিধা:
১. ভার্চুয়াল Ram যেহেতু আপনার হার্ডডিক্স এর কিছু জায়গা ব্যবহার করবে, তাই আপনি হার্ডডিক্সের ওই জায়গা ব্যবহার করতে পারবেন না।
২. Ram বাড়লেও আপনার কতটুকু Ram বেড়েছে, সেটা ডিফল্ট ভাবে দেখার কোন উপায় নেই। তবে বর্তমানের লেটেস্ট মোবাইল এবং কম্পিউটার গুলোতে এই ফিচার যুক্ত করা হচ্ছে।
৩. আপনার ফিজিক্যাল Ram এর মতো স্পিড ভার্চুয়াল Ram এ পাবেন না। তাই ফিজিক্যাল Ram এর মতো পারফর্মেন্স ও পাবেন।

যে কোনো কিছুরই ভালো এবং খারাপ দিক আছে, তাই বলে সেই জিনিসটা ব্যবহার করা ছেড়ে দিবেন, এটা হবে বোকামির কাজ।

আপনার ডিভাইসের যদি ভার্চুয়াল Ram ডিফল্ট ভাবে থাকে, সেক্ষেত্রে সেটা ব্যবহার করতে পারেন। এটা আপনার ডিভাইসকে সামান্য হলেও ফাস্ট করতে সাহায্য করবে।

আশা করি আজকের পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে।

সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

 

অনলাইনে বাসের টিকিট কাটার নিয়ম

ই-সিম (Embedded Sim) কি? ই-সিম এর সুবিধা এবং অসুবিধা What is esim in Bengla

Leave a Reply