যারা কম্পিউটার ব্যবহার করে তারা অবশ্যই মাউস এর সাথে পরিচিত। মাউস এর সাহায্যে আমরা খুব সহজেই একটি কম্পিউটারকে অপারেট করতে পারি। তবে ল্যাপটপের ক্ষেত্রে মাউসের কাজ টাচপ্যাডে করা যায়।
তাহলে চলুন মাউস সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে আসি…
• মাউস (Mouse) কি?
হাত দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা এবং ইঁদুরের মতো দেখতে কম্পিউটার ইনপুট ডিভাইস হলো মাউস, একে পয়েন্টিং ডিভাইসও বলা হয়।
মাউস, কিবোর্ড এর সাহায্য ছাড়াই একটি কম্পিউটারকে নিয়ন্ত্রন করতে পারে। ১৯৬৩ সালে ডগলাস এঙ্গেলবার্ট মাউস আবিষ্কার করে। কম্পিউটারের সিপিইউ সাথে মাউসের সংযোগ দেওয়ার জন্য একটি তার থাকে, তবে বর্তমানে মাউস গুলো ওয়ারলেস কানেকশনে ব্যবহার করা যায়।
• মাউস কিভাবে কাজ করে:
আগের মাউসগুলোতে, মাউসের নিচের দিকে একটি বেরিং এর মত বল থাকতো, যেটা চতুর্দিকে ঘুরতে পারত। সেই বেরিংটিকে যখন যেদিকে ঘুরানো হতো তখন মাউসের পয়েন্টার সেদিক নড়াচড়া করতো।
কিন্তু বর্তমানের মাউস গুলোতে আর বেরিংয়ের ব্যবহার হয় না। বর্তমানের মাউস গুলোতে একটি এনকোডিং ডিস্ক থাকে। সেই ডিস্ক এর মধ্যে অনেকগুলি ছিদ্র থাকে, এবং মাউস এর নিচের দিকে একটি এলইডি এবং সেন্সর থাকে। যখন আপনি মাউস নড়াচড়া করবেন, তখন মাউসের সেই এলইডি এবং সেন্সর সেটা বুঝতে পারে।
সেই সেন্সর থেকে একটি সংকেত মাউসের মাইক্রোপ্রসেসরের চলে যায় এবং সেই সংকেতকে মাইক্রোপ্রসেসর বাইনারিতে রূপান্তর করে। সেই বাইনারি সংকেত মাইক্রোপ্রসেসর কম্পিউটারে পাঠায় এবং কম্পিউটার সে অনুযায়ী কাজ করে।
• মাউস এর প্রকারভেদ:
২. মেকানিক্যাল মাউস
৩. অপ্টোমেকানিক্যাল মাউস
৪. ইনফ্রারেড বা রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি কার্ডলেস মাউস
৫. ট্র্যাকবল মাউস
৬. গেমিং মাউস
৭. স্টাইলাস মাউস
৮. টাচপ্যাড এবং
৯. কর্ডলেস থ্রিডি মাউস
বন্ধুরা পরবর্তী পোস্টে আমরা মানুষের এই প্রকারভেদ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।
সেই পর্যন্ত সবাই ভাল থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।