মাইক্রোসফটের বহু প্রতীক্ষিত উইন্ডোজ ১০ বাজারে এসেছে। এ
নিয়ে বিশেষজ্ঞরা নানা বিশ্লেষণ আর গবেষণা করে যাচ্ছেন।
ভালো-মন্দ সব বিষয়ে নানা মন্তব্যের পাহাড় জমছে ব্লগসহ
বিভিন্ন সাইটে। আপনার মন্তব্য যেমনই হোক, ডেস্কটপ
সংস্করণে উইন্ডোজ ১০-এর ১০টি দারুণ ফিচার জেনে নিন।
১. ফিরে এসেছে অতি জনপ্রিয় স্টার্ট মেনু। এই মেনুতে রয়েছে
সার্চ বার যাতে কাজ করবে ডিজিটার অ্যাসিসটেন্ট কর্টানা।
এর টাচ সংস্করণে পুরো পর্দাজুড়ে স্টার্ট মেনু আনার ব্যবস্থা
রয়েছে।
২. কমান্ড প্রম্পট ইন্টারফেসে আরো উন্নত ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এখন কমান্ড প্রম্পট কিবোর্ডের শর্টকাট কপি এবং পেস্টের
কমান্ড নেবে।
৩. উইন্ডোজ ১০-এ নতুন ফিচার এসেছে যার নাম ‘হ্যালো’। এর

মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের চেহারা চিনে নেবে কম্পিউটার।
একটি ফিঙ্গারপ্রিন্ট সেন্সর বা বায়োমেট্রিক সেন্সর রয়েছে
লগ ইন করার জন্যে। এই ফিচারের মাধ্যমে ডেপথ-সেন্সিংয়ের
মাধ্যমে ইন্টেল রিয়েলসেন্স থ্রিডি ক্যামেরা ব্যবহার করা
যাবে।
৪. ইন্টারনেট এক্সপ্লোরারের পরিবর্তে ‘এজ’ নামে নতুন একটি
ব্রাউজার দেওয়া হয়েছে। পরিষ্কার ইন্টারফেস নিয়ে ব্রাউজটি
অনেকটা গুগল ক্রোমের মতো। এতে কর্টানার মাধ্যমে কমান্ড
দেওয়া যাবে।
৫. স্মার্টফোন, ট্যাবলেটসহ সব যন্ত্রে উইন্ডোজ ১০ চলবে। এতে
‘কন্টিনাম’ নামে নতুন একটি ফিচার দেওয়া হয়েছে। কিবোর্ডটি
টাচ স্ক্রিনে লাগালে এটি নতুন কিবোর্ড শনাক্ত করবে।
৬. উইন্ডোজ ১০-এর নতুন আকর্ষণ কর্টানা। বহু কাজে ভয়েস
কমান্ডের মাধ্যমে কর্টানা ব্যবহার করতে পারবেন।
৭. নতুন মেসেজ, ইমেইল এবং নোটিফিকেশ দেখানোর জন্যে
আলাদা স্থান রাখা হয়েছে এতে। যেকোনো সোশাল অ্যাপস
বা অন্য কোনো উৎস থেকে নোটিফিকেশন দেখানো হবে।
সিস্টেম ট্রে’র নিচের ডান পাশ থেকে এতে ক্লিক করে ফায়ার
আপ করা যাবে।
৮. কর্টানার সঙ্গে রয়েছে একটি ইউনিভার্সাল সার্চ বক্স। সব
ফাইল, অ্যাপ এবং সেটিংসয়ে সার্চ দেওয়া যাবে এর মাধ্যমে।
৯. নতুন ‘কোয়াড্রান্ট লে আউট’-এর মাধ্যমে চারটি অ্যাপ একটি
স্ক্রিনে দেখা যাবে।
১০. অন্যান্য চলন্ত অ্যাপ এবং প্রোগ্রাম স্ন্যাপ করে একটি
স্ক্রিনে দেখার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

Leave a Reply