ইউটিউব_চ্যানেলের_জন্য_কয়েকটি_কার্যকরী_টুলস
আমরা যারা ইউটিউবে কাজ করি তাদের অনেকেই জানি না যে ইউটিউব চ্যানেলকে গ্রো করার জন্য অনেক কার্যকরী টুলস আছে, এইসব টুলস ব্যাবহার করে আপনি আপনার ভিডিও এস ই ও, ভিডিও র্যাংক, ভিডিও মার্কেটিং করতে পারবেন। এর ফলে আপনি আপনার ভিডিওতে আগের চেয়ে অনেক বেশী ভিউ পেতে পারেন। তাহলে চলুন দেখে নেই সেই সব টুলের ব্যবহার:
চ্যানেল_ম্যানেজমেন্ট
VidIQ: এটি একটি ব্রাউজার এক্সটেনশন। এই এক্সটেনশনটি ব্যবহার করা হয় ভিডিও এস ই ও, কিওয়ার্ড রিসার্চ, ট্যাগ ম্যানেজমেন্ট, এস ই ও স্কোর, এনলাইটিকের কাজে। ভিডিও অপটিমাইজেশন করার জন্য খুব হেল্পফুল একটি টুল কারন এই এক্সটেনশন ব্যবহার করে আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে ভিডিও আপলোড করছেন তার পজিশন আপনাকে জানাবে, পাশাপাশি বিভিন্ন কিওয়ার্ড আপনাকে সাজেস্ট করবে। VidIQ এর আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে আপনার ভিডিও স্কোর দেখাবে, আপনি যদি আপনার ভিডিওগুলি ১০০ স্কোর করে আপলোড করতে পারেন তাহলে আপনার ভিডিওর এস ই ও করার কাজ অনেকটাই হয়ে যায়। VidIQ এর ফ্রি এবং পেইড ভার্সন আছে, পেইড ভার্সনে সব ফিচার গুলি পাওয়া যায়।
TubeBuddy নামেও আরেকটি চ্যানেল ম্যানেজমেন্ট টুল আছে তবে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কাছে VidIQ এর পেইড ভার্সনটি ভালো লেগেছে।
এনালাইটিক
Social Blade: এটি একটি কম্পেটিটর এনালাইসিস টুলস। এই টুল ব্যবহার করে আপনি যে কিওয়ার্ড নিয়ে কাজ করেন সেই কিওয়ার্ডের অন্য কম্পেটিটরদের কাজ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এই টুলসের আরেকটি বড় সুবিধা হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন চ্যানেলের আয় সম্পর্কে জানতে পারবেন ও আপনার কম্পেটিটররা কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ব্যাবহার করছে সেটা জানতে পারবেন।
এনালাইটিকের জন্য গুগল এনালাইটিক খুব ভালো একটি টুলস আর ইউটিউবে যে এনালাইটিক আছে তা থেকে আপনি আপনার চ্যানেলের ডাটা, রিপোর্ট, ট্রাফিক সোর্স সহ অন্যান ডেমোগ্রাফিক রিপোর্টও পাবেন।
এস_ই_ও_এবং_কিওয়ার্ড
আমি এস ই ও কিওয়ার্ডের এর জন্য বেশ কয়েকটি সাইট ব্যাবহার করি
Keyword Planner: এটি গুগলের একটি সার্ভিস, আমি এই সার্ভিসটি মূলত ব্যাবহার করি কারন এই সাইট থেকে একটি কিওয়ার্ডের প্রতি মাসের সার্চ এভারেজ, কিওয়ার্ডের কম্পিটিশন, কিওয়ার্ডের আইডিয়া, কিওয়ার্ডের সম্ভাব্য সিপিসি রেট সহ আরো অনেক কিছু জানা যায়।
Google Trends: এটিও গুগলের একটি সার্ভিস এবং ইউটিউবের জন্য খুব কাজের একটি সাইট, আপনি এই সাইটের মাধ্যমে বর্তমান সময়ের বিভিন্ন ট্রেন্ডিং কিওয়ার্ড সম্পর্কে জানতে পারবেন, পাশাপাশি কোন দেশের প্রতিদিনের সবচেয়ে বেশী সার্চ কিওয়ার্ড এবং তার ভলিউম সম্পর্কে জানতে পারবেন। যারা নিউজ নিয়ে কাজ করেন তারা যদি এই সাইট এনালাইসিস করে কাজ করতে পারেন তাহলে খুব দ্রুত আপনার চ্যানেল গ্রো করাতে পারবেন।
এছাড়াও আমি Google Search Console, Keywords Everywhere, Keywordtool.io এই সাইটগুলো ব্যাবহার করি কারন এই সাইটগুলো থেকে অনেক কিওয়ার্ড সাজেশন, ও বিভিন্ন কিওয়ার্ডের ডাটা, ট্যাগ সাজেশন পাওয়া যায়।
সোশ্যাল_মিডিয়া_ম্যানেজমেন্ট
HOOTSUITE: হুটসুট সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এ খুব জনপ্রিয় একটি ওয়েবসাইট। এর সাহায্যে আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার ভিডিওর মার্কেটিং করতে পারবেন।এটি আপনার অডিয়েন্সকে আপনার নির্বাচিত সোশ্যাল মিডিয়ায় এনগেজ হতে সাহায্য করবে। আপনি এর মাধ্যমে একাধিক সোশ্যাল নেটওয়ার্কের সবগুলোতেই একযোগে পোস্টিং করতে পারবেন। আপনি এখানে একবার স্ট্যাটাস আপডেট করলেই সেটি ব্যবহারকারীর টুইটার অ্যাকাউন্টে চলে যাবে একই সঙ্গে লিংকড্ইন ও ফেসবুকের স্ট্যাটাস আপডেট হিসেবেও কাজ করবে। তিনটি সাইটে আলাদা আলাদাভাবে পোস্টিং করার দরকার হবে না। আপনি আপনার পোস্টকে এই সাইটের সাহায্যে শিডিউল করে রাখেতে পারবেন। ধরুন আপনি চাচ্ছেন আগামী ১২ ঘন্টা পর আপনার ফলোয়ারদেরকে একটি স্ট্যটাস দিতে Hootsuite এর মাধ্যমে আপনি আপনার স্ট্যাটাসকে শিডিউল করে রাখবেন এবং আপনার নির্ধারিত সময়ে পাবলিশ হবে এবং সবগুলো মিডিয়ায় তা যথাসময়ে চলে যাবে।
থাম্বনেল_ও_চ্যানেল_আর্ট
Canva: এটি একটি ওয়েব ভিত্তিক গ্রাফিক ডিজাইনের সাইট। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের জন্য চ্যানেল আর্টের ছবি, ভিডিওর জন্য থাম্বনেল আপনি এই সাইট থেকে বানাতে পারেন। এখানে কাজ করার জন্য আপনাকে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হতে হবে না, এখানে প্রচুর ছবি, ডিজাইন এবং লেখার বিভিন্ন ফ্রন্ট আছে ও বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ার জন্য আগে থেকে তাদের সাইজ অনুযায়ী কিছু টেমপ্লেট রাখা আছে আপনি চাইলে এর টুলগুলো ব্যবহার করে প্রোফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনারের মত ছবি তৈরি করতে পারবেন।
থাম্বনেল ইউটিউবের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি জিনিষ সুতরাং কখনো অন্যের থাম্বনেল কপি করতে যাবেন না বা গুগল থেকে ছবি ডাউনলোড করে থাম্বনেল হিসেবে ব্যাবহার করবেন না, এতে কপিরাইট স্ট্রাইক পেতে পারেন তাই সবসময় চেস্টা করবেন নিজে থাম্বনেল বানানোর, যদি ক্যামেরা কন্টেন্ট হয় তাহলে চেস্টা করবেন আপনার কন্টেন্ট থেকে কোন একটা অংশকে থাম্বনেল হিসেবে ব্যাবহার করতে।
ইউটিউব নিয়ে যদি কোন প্রশ্ন থাকে তবে কমেন্টে জানাবেন, যথাসাধ্য চেষ্টা করবো উত্তর দেয়ার জন্য। পরবর্তীতে কোন বিষয়ের উপর পোস্ট চান সেটাও কমেন্টে জানাতে পারেন। ধন্যবাদ
?? আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্কাইব
করে রাখতে পারেন??
Article Credit: Stephen Koel Soren
ধন্যবাদ ট্রিকবিডির সংগেই থাকুন।
One thought on "ইউটিউব চ্যানেলের জন্য কয়েকটি কার্যকরী টুলস"