ইউটিউবারদের সফলতা দেখে হয়তো, আপনি ভাবছেন। আপনিও হবেন একজন সফল ইউটিউবার।
স্বপ্ন দেখা কিংবা ইন্সপায়ার হওয়া দোষের কিছু নয়। বরং বাস্তবায়ন করতে যত ঝামেলা।
ইউটিউবে এমন হাজারো ভিডিও পাবেন।
যে কিভাবে আপনি ১টি ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন ইউটিউবার আপনাকে বলবে না, আপনি কি ধরনের চ্যানেল খুলবেন। আর এটা একদম সবাবিক একটি ব্যাপার, কারণ ওই ইউটিউবার কখনোই জানে না আপনার কোন বিষয়ের উপর এক্সপেরিয়েন্স আছে।
আজকের আর্টিকেল এটাকে ঘিরেই অর্থাৎ আপনার ঠিক কী ধরনের চ্যানেল খোলা উচিত। এই ভিডিওর মাধ্যমে আপনারা বেশ কয়েকটি আইডিয়া পাবেন। যার মাধ্যমে আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন, আপনার কোন ধরনের চ্যানেল খোলা উচিত।
নিচে কয়েকটি আইডিয়া দেওয়া হলো:
১) বেশি করে ইউটিউবে ভিডিও দেখুন। বলা হয়ে থাকে, যে কোন কাজে সফলতা পেতে চাইলে। অবশ্যই ওই কাজের প্রতি ভালোবাসা যুক্ত করুন। ধরুন আপনার ভালো লাগে ফ্রিল্যান্সিং করতে। আপনাকে দিয়ে কিন্তু কখনোই ওয়েটারের কাজ করানো সম্ভব না।
তাই যত পারুন আগের তুলনায়, বেশি ইউটিউব এ ভিডিও দেখুন। কারণ আপনি যত ভিডিও দেখবেন আপনার ইউটিউবিং করতে ততটাই সাহায্য করবে। ইউটিউবে প্রতিনিয়ত ভিডিও দেখার ফলে আপনার কাঙ্খিত ভিডিওর উপর একটা ভালোলাগা তৈরি হবে অর্থাৎ যেটা নিয়ে আপনি আগামীতে শুরু করতে যাচ্ছেন ইউটিউবিং।
২) সময়ের উপর নির্ভর করে চ্যানেল খুলুন। আমাদের ভেতর অনেকেই রয়েছেন, যারা দিনের বেলায় চাকরি করে আর রাতে ফ্রিল্যান্সিং কিংবা ইউটিউবিং করে।
ধরুন আপনি একটি চাকরি করছেন দিনের বেলায়। কিন্তু আপনার স্বপ্ন রয়েছে বিনোদনমূলক চ্যানেল নিয়ে সামনের দিকে আগানোর।
এটা কিন্তু কখনোই সম্ভব না, আপনার চাকরি থাকা অবস্থায়। কারণ এই বিনোদনের জন্য আপনার প্রয়োজন অবশ্যই দিনের আলো , কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু ব্যতিক্রম হলেও আপনার কিন্তু অবশ্যই দিনের আলো প্রয়োজন পড়বে।
যদি আপনি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন। তাহলে অবশ্যই ওই সমস্ত ক্যাটাগরি সিলেক্ট করুন। যেটাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ সময় ব্যয় করার প্রয়োজন হয় না।
উদাহরণস্বরূপ যেমন ধরুন গেমিং চ্যানেল।
৩) বাকি ইউটিউবারদের ইন্সপায়ার থেকে দূরে থাকুন।
অন্যের চ্যানেলে পর্যাপ্ত পরিমাণ সাবস্ক্রাইবার। প্রচুর পরিমাণে ভিউ, আপনি কখনই ওগুলোর দিকে তাকাবেন না।
সাময়িক সময়ের জন্য আপনার মনে হবে, আমি যদি এইরকম একটি চ্যানেল খুলি। তাহলে হয়তো আমারও এরকম সাবস্ক্রাইবার আর ভিউ এর বন্যা বসে যাবে।
বিষয়টা একদমই রিভার্স অর্থাৎ উল্টো।
ধরুন আপনার কাঙ্ক্ষিত ইউটিউবার তার চ্যানেলে আপলোড করে। কিভাবে থ্রিডি এনিমেশন তৈরি করা হয়।
এই কাজটি কিন্তু আপনার করার অভিজ্ঞতা নেই।
শুধু রয়েছে ইন্সপায়ার।
এই ইন্সপায়ার এর জেরে আপনিও খুলে বসলেন তার মত একটি চ্যানেল।
দুর্ভাগ্যবশত: চ্যানেলে ভিডিও তৈরি করার জন্য যে এক্সপিরিয়েন্স টুকো আপনার প্রয়োজন। তার বিন্দুমাত্র আপনার ভেতর নেই। এবার আপনি কি করলেন? এই থ্রিডি এনিমেশন এর পেছনে ব্যয় করলেন 6 মাস। এবং সম্পূর্ণরূপে শিখে গেলেন কিভাবে থ্রিডি এনিমেশন বানাতে হয়।
যদি আপনি এই 6 মাস আপনার নিজের অভিজ্ঞতা দিয়ে ভিডিও তৈরি করে যেতেন। তাহলে হয়তো আজ আপনার চ্যানেলটি অনেকদূরে, এগিয়ে নিয়ে যেতে পারতেন।
তাই সব সময় বাকিরা কি করলো এটা দেখার বিষয় না। আপনি কি করলেন এটা দেখার বিষয়।
৪) ব্যয় এর দিকে নজর দিন। ধরুন আপনি ইউটিউবে ইতিমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিডিও ইতিমধ্যে দেখে ফেলেছেন। তার ভেতরের লাইফ হ্যাকস এর ভিডিও গুলো আপনার খুব ভালো লেগেছে। তার মানে কি আপনি লাইফ হ্যাকস এর ভিডিও নিয়ে কাজ করা শুরু করবেন?
যদি আপনার ইচ্ছের পাশাপাশি ভালো লাগাটাও থাকে। তাহলে আমি বলব এখনই শুরু করুন।
তবে মাথায় রাখবেন এই ধরনের ভিডিও তৈরি করার জন্য। প্রচুর পরিমাণে এলিমেন্ট এর ও প্রয়োজন পড়ে।
যদি আপনি আমার মত মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন। তাহলে ভাই ইচ্ছে গুলো এখনই মাটি চাপা দিন।
কারণ এত টাকা মধ্যবিত্ত পরিবারের জোগাড় করা। সত্যি এটা চ্যালেঞ্জিং ব্যাপার।
সর্বোপরি কথা হচ্ছে এটা: চ্যানেল খোলার পূর্বে কাঙ্খিত ভিডিওর ভিতর ভালোবাসা জুড়ে দিন। নির্দিষ্ট সময় বের করুন। টাকা পয়সার দিকে খেয়াল রাখুন। যদি আপনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান হয়ে থাকেন। বাকিদের ইন্সপায়ার দূরে থাকুন। সর্বশেষে নিজের অভিজ্ঞতা কাজে লাগান। তাহলে আপনি নিজে থেকেই বুঝতে পারবেন আপনার ঠিক কী ধরনের চ্যানেল খোলা উচিত। ধন্যবাদ
এই আর্টিকেল এর উপর ভিত্তি করে, একটি ভিডিও তৈরি করা হবে খুব তাড়াতাড়ি।
চাইলে আমাদের চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন।
চ্যানেল লিংক: ভিজিট করুন
এছাড়াও ইউটিউব সম্বন্ধে যেকোন প্রশ্ন করতে পারেন আমাদের ফেসবুক গ্রুপে।
গ্রুপের লিংক: ভিজিট করুন
http://www.techpro24.ml/index.html
we provied you most popular backlinks and seo too
so visit the site and do guest post on it now
https://techrobolab.blogspot.com/
facebook: https://facebook.com/MR.ABDULLAH.43