আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ। অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা পদ্ধতি হলো ইউটিউব থেকে ইনকাম। ইউটিউব থেকে ইনকাম করার নানা রকম উপায় ও পদ্ধতি রয়েছে। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সেরা উপায় সমূহ নিয়ে আজকে আর্টিকেলে আলোচনা করব।
আপনি যদি এই বিষয়ে ইচ্ছুক থাকেন তাহলে মনোযোগ সহকারে শেষ পর্যন্ত আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। আশা করি আর্টিকেল থেকে একটু হলেও উপকৃত হবেন। কিছু না কথা না বাড়িয়ে শুরু করা যাক আজকের আর্টিকেলটি।
ইউটিউব থেকে ইনকাম করার সেরা পদ্ধতি সমূহ 2021?
১ পদ্ধতিঃ
এডসেন্স থেকে আয়: ইউটিউব থেকে সর্বপ্রথম ইনকাম হয় এডসেন্স থেকে। এডসেন্স হল গুগলের একটি প্রোডাক্ট। এই এডসেন্স বিজ্ঞাপন দাদা বলা যায়। কারণ এ অ্যাডসেন্সে নানা ধরনের এড রয়েছে।
বিভিন্ন বিজ্ঞাপন যা প্রতিদিন মানুষ তাদের কাছে দেয়। এবং এই এডসেন্স তাদের কাছ থেকে নিয়ে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে প্রচার কর।
তারমধ্যে ইউটিউব থেকে বিজ্ঞাপন দেখায় প্রচুর পরিমাণে। তাই আপনারা চাইলে গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেখে ইউটিউব থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম করা ইউটিউব এ সব থেকে সহজ ও সেরা একটি মাধ্যম। যে পদ্ধতি অবলম্বন করে হাজার হাজার লোক ইউটিউব থেকে ইনকাম করে থাকে। এমনকি গুগল অ্যাডসেন্স থেকে আপনারা চাইলে প্রতি মাসে লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করতে পারবেন।
স্পনসর্শিপ এর মাধ্যমে আয়: ইউটিউবে এডসেন্স থেকে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে আয় আরো অনেক বেশি। তবে ইনকাম করার জন্য আপনার ইউটিউব চ্যানেল ভালো ভিজিটর থাকতে হবে। তা না হলে আপনি স্পনসর্শিপ পাবেন না।
আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সর্বনিম্ন পাঁচ লাখ সাবস্ক্রাইব থাকতে হবে তাহলে আপনি স্পনসর্শিপ পেতে পারেন। তবে যত বেশি ভিজিটর পাবেন তত বেশি ইনকাম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে।
স্পন্সরশীপের মাধ্যমে আপনি কত আয় করতে পারবেন সেটা নির্ভর করবে আপনাদের চুক্তিতে। হ্যাঁ স্পনসর্শিপ নিতে হলে তাদের সাথে চুক্তি করে স্পনসর্শিপ নিতে হয়। তবে এডসেন্স থেকে স্পন্সরশীপের আয় অনেক বেশি।
স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে বেশ ভালো পরিমাণে ইনকাম করতে পারবেন। এই স্পন্সরশীপের মাধ্যমে বাংলাদেশ সহ সারা বিশ্বের লোকই আয় করে। তাই আপনারা চাইলে স্পন্সরশীপের মাধ্যমে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন।
২ পদ্ধতিঃ
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়: খুবই জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয়। এফিলিয়েট মার্কেটিং আপনারা চাইলে ইউটিউব এর মাধ্যমে আয় করতে পারেন। বিভিন্ন ইউটিউব চ্যানেল রয়েছে শুধু এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আই করে তারা।
এফিলিয়েট মার্কেটিং হল কোন কোম্পানির প্রোডাক্ট গুলো সেল করে দেওয়া। কোম্পানি গুলোর লিংক দিবে আপনাকে। এই লিংকে ক্লিক করে যারা প্রোডাক্ট কিনবে প্রতিটা প্রোডাক্ট এর জন্য আপনার কমিশন দেওয়া হবে।
তবে এক এক রকম প্রোডাক্টের জন্য আপনার একাউন্টে এক একরকম অ্যামাউন্ট যোগ করা হবে।যদিও এই মাধ্যমটি খুবই সহজ তবে অনেকে আমরা পারিনা। মনে রাখবেন প্রতিটা প্রতিষ্ঠান কাজ করার জন্য কিছু নিয়ম-নীতি থাকে সেই নিয়মনীতি না মানলে তারা একাউন্ট সাসপেন্ড করে।
তাই অবশ্যই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জন্য তাদের নিয়ম-নীতিগুলো মেনে কাজ করবেন আশা করি। সারা বিশ্বের লোকই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অনলাইন থেকে বেশি ভালো পরিমাণ ইনকাম করছে।
তাই আপনারা চাইলে নিঃসন্দেহেই ইউটিউব এর মাধ্যমে এই পদ্ধতি অবলম্বন করে ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন। তাদের কোম্পানির লিংক গুলো আপনার ইউটিউবের ভিডিওতে অথবা ডিসক্রিপশন এর ব্যবহার করে প্রচার করতে পারেন।
এভাবে আপনারা ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে আয় করতে পারবেন সহজেই। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে প্রতিমাসে হাজার হাজার ডলার ইনকাম করা সম্ভব।
পরিশেষে বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলটি এ পর্যন্তই। সবাই ভাল থাকুন সুস্থ থাকুন এবং নিরাপদে থাকুন।এসে কামনা করে আজকের মত বিদায় নিচ্ছি আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ।
মানুষ নতুন কিছু শিখতে আসে, একই কথা ঘুরেফিরে ৫-৬ বার পোস্ট হলে কিভাবে, বিষয়গুলা ভাত দিয়ে ডাল আর ডাল দিয়ে ভাত এমন টাইপের হয়ে গেলো
এই সেইম পোস্ট আপনি চারবার করেছেন ২-৩ টা লাইন বাড়িয়ে কমিয়ে, ভাই আর নতুন কিছু লিখবেন নাকি একই পোস্ট আরো কয়েকবার চলবে…?