বর্তমানে ইউটিউব পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অনলাইন ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম। বিভিন্ন কনটেন্ট ক্রিয়েটররা তাদের নিজস্ব কনটেন্ট ব্যবহার করে ইউটিউব এর মাধ্যমে ভালো পরিমাণ আয় করতে পারে এবং জনপ্রিয় হতে পারে। ইউটিউব চ্যানেল যত বেশি জনপ্রিয় হয়, সেটা হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যায়। তাই চলুন জেনে নেই কিভাবে আপনার চ্যানেলটি হ্যাক হওয়া থেকে বাঁচাতে পারবেন…

• কঠিন পাসওয়ার্ড এর ব্যবহার:
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি যে জিমেইল দ্বারা পরিচালিত হয়, সেই জিমেইল এর পাসওয়ার্ডটি সবসময় কঠিন দেওয়ার চেষ্টা করবেন। তবে এমন পাসওয়ার্ড দিবেন যে পাসওয়ার্ড আপনি মনে রাখতে পারবেন বা কোথাও লিখে রাখবেন।

• টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন এর ব্যবহার:
আপনার জিমেইলে টু-স্টেপ ভেরিফিকেশন চালু রাখবেন। এতে করে আপনার পাসওয়ার্ড হ্যাক হলেও, আপনার ফোনের টেক্সট মেসেজের পিন ছাড়া কেউ আপনার জিমেইলে প্রবেশ করতে পারবে না। এতে আপনার ইউটিউব চ্যানেল সুরক্ষিত থাকবে।

• অন্য ই-মেইল দিয়ে ইউটিউব চ্যানেল এ প্রবেশ:
আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর মূল ইমেইলটি সব সময় লুকিয়ে রাখবেন, এটা কাউকে দেখাবেন না। আপনি চাইলে আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ম্যানেজার হিসেবে নতুন আরেকটি ইমেইল যুক্ত করতে পারেন, সেই ইমেইলটির মাধ্যমে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেল এর সকল কিছু পরিচালনা করতে পারবেন।

এতে করে আপনার মূল ইমেইলটি সুরক্ষিত থাকবে। আর যদি কোন কারণে আপনার ম্যানেজার ইমেইলটি হ্যাক ও হয়, সেক্ষেত্রে আপনার মূল ইমেইলটি সরাতে একদিন সময় লাগবে। আর ওই একদিনের মধ্যে আপনি আপনার ঐ ইউটিউব চ্যানেলটি ফিরে পেতে পারবেন।

• ব্র্যান্ড একাউন্টে রূপান্তর:
আপনাকে ইউটিউব চ্যানেলটিকে ব্র্যান্ড একাউন্টে রূপান্তর করে, সেটাতে অন্য আরেকটি ইমেইল যুক্ত করে নিন। এবং সেই ইমেইল দিয়ে আপনি আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি ম্যানেজ করুন। যেটা আমি একটু আগে বলেছিলাম।

• অন্য ডিভাইসে লগ ইন:
আপনার ইউটিউব চ্যানেলটি অন্য ডিভাইসে বা অন্য জনের ডিভাইসে লগ ইন করা থেকে বিরত থাকুন। আর যদি লগইন করা লাগেই, সে ক্ষেত্রে আপনি “ইনকগনিটো মোড” এ ইউটিউব চ্যানেল লগইন করবেন। এতে করে আপনার লগইন ইনফর্মেশন সেইভ থাকবে না।

• অজানা লিংকে প্রবেশ:
আপনি অনলাইনে বিভিন্ন ভাবে অনেক লিংক পাবেন, সেসব লিংকে প্রবেশ করা থেকে বিরত থাকুন। আর যদি প্রবেশ করাই লাগে, সেক্ষেত্রে অন্য কোন ডিভাইস দিয়ে লিঙ্কে প্রবেশ করুন। যে ডিভাইসে আপনার ইউটিউব চ্যানেল লগইন নেই, সেই ডিভাইস দিয়ে প্রবেশ করার চেষ্টা করবেন।

লিংকে প্রবেশ করার আগে অবশ্যই লিংকটা ভেরিফাই করে নেবেন।

আশা করি সবাই বুঝতে পেরেছেন। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। আল্লাহ হাফেজ।

ভার্চুয়াল Ram (Virtual Ram) কি? ভার্চুয়াল Ram এর সুবিধা এবং অসুবিধা What is virtual Ram in Bangla

ই-সিম (Embedded Sim) কি? ই-সিম এর সুবিধা এবং অসুবিধা What is esim in Bengla

Leave a Reply