২০২৩ সালে ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে?


এই পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে এমন পাঁচটি ইউটিউব চ্যানেলের আইডিয়া শেয়ার করব। যে আইডিয়া গুলোতে আপনার কাজ করতে কোন স্কেলের প্রয়োজন হবে না। আপনার কোন কাজ জানার প্রয়োজন হবে না। আপনার হাতে শুধুমাত্র একটি মোবাইল ফোন থাকলেই আপনি এই টপিক গুলোতে কাজ শুরু করে দিতে পারবেন। মোবাইল ফোন দিয়ে অনলাইনে ইনকামের সবথেকে বেস্ট উপায় হচ্ছে। ইউটিউব অথবা ফেসবুকের ভিডিও বানিয়ে ইনকাম করা।

আর এটার সবথেকে সহজ উপায়ে আপনি যদি একেবারে কিছু না জানেন। একেবারে অনলাইনে বিগেনার। অর্থাৎ আপনি শুধুমাত্র মোবাইল ফোন ইউজ করতে পারেন। আর তেমন কিছুই পারেন না সে ক্ষেত্রেও আপনি চাইলে ভিডিও বানিয়ে ইনকাম শুরু করে দিতে পারবেন। যখনই আমরা ইউটিউব এ ভিডিও বানাবো। বা ফেসবুকে ভিডিও বানাবো। এ ধরনের সিদ্ধান্ত নিই তখনই আমরা একটা বড় সমস্যার সম্মুখীন হই সেটা হচ্ছে একটা চ্যানেলের টপিক সিলেক্ট করা।

আপনার ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে। কোন ক্যাটাগরির ভিডিও দিবেন? আপনার আজকে একটা জিনিস ভালো লাগলো। কালকে একটা জিনিস ভালো লাগলো। একেক দিন তো আর এক এক রকম ভিডিও দিবেন না তাই না। যে কোন একটা নির্দিষ্ট টপিক এর উপরে কন্টিনুওসলি ভিডিও দিতে থাকবেন। তারপর আপনার চ্যানেল গ্রোথ করবে সেখান থেকে আপনি ইনকাম করবেন এরকমই তো।

আপনি যখনই ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে তা নিয়ে চিন্তা করবেন। তখনই আপনারা সমস্যার সম্মুখীন হবেন। কিভাবে ভিডিও বানাবো? একটা ভালো টপিক কিভাবে খুজে বের করবো, যেই টপিক আমার স্কিল না থাকলেও কাজ করতে পারবো। এমন টপিক কিভাবে খুজে বের করব যে টপিকে অনেক বেশি বেশি ইনকাম হবে। এমন টপিক কিভাবে খুজে বের করব যেটা আমার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটা দিয়েই ভিডিওগুলা বানাতে পারবো। তো এই ধরনের সমস্যার সম্মুখীন কিন্তু আপনারা শুরুতেই হন‌।

আপনাদের যাতে এই সমস্যা না হয় এবং আপনারা যাতে আজকে থেকেই ইউটিউব এ ভিডিও বানানো শুরু করে দিতে পারেন। সেটার জন্যই এই পোস্টটি যে পাঁচটি চ্যানেল আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব। সেগুলো একেবারেই যারা বিগিনার আর যাদের ইউটিউব সম্পর্কে তেমন কোন আইডিয়া নাই। বা ভিডিও বানানোর তেমন আইডিয়া নাই তারাও এই টপিক গুলোতে কাজ শুরু করতে পারবেন। এবং আস্তে আস্তে আপনি নিজেকে স্কিল করতে পারেন এবং আপনি টপিকগুলোতে আরো বেশি কোয়ালিটির ভিডিও বানাতে পারেন। তো চলুন দেখে নিই আপনার জন্য ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে।

১‌। মোবাইল গেমিং ভিডিও


এখন আপনারা বলতে পারেন মোবাইলের যে গেম খেলার ভিডিও গুলো কে দেখে? এখন আপনারা অনেকেই জানেন যে ফ্রী ফায়ার, পাবজি, এই ধরনের গেমস গুলো কিন্তু মূলত মোবাইল বেস্ট। আর এই গেম গুলা খেলে কিন্তু অনেকেই ইউটিউব এ ভিডিও আপলোড করছে। তার পরে সেখান থেকে কিন্তু ইনকাম করতেছে। কিন্তু এখানে আমি আপনাদেরকে ফ্রী ফায়ার, পাবজি, খেলে ভিডিও দেয়ার কথা বলবো না। কারণ এই গেমসগুলো কঠিন আপনি সেখানে গিয়ে স্কিল হতে হবে গেমস খেলা পারতে হবে। তারপরে কিন্তু আপনি সেখানে ভিডিও করে তারপর সেগুলো আপলোড করতে হবে।

তো এখানে আপনার অবশ্যই গেমটা ভালো খেলতে হবে। কিন্তু আপনারা মোবাইলে এমন কিছু গেম আছে যে গেম গুলো খেলে ভিডিও আপলোড করে ইনকাম করতে পারবেন। আপনি সিম্প্লি (কিং গেমস) লিখে যদি ইউটিউবে সার্চ করেন সেখানে আপনি একটা ইউটিউব চ্যানেল পাবেন। সেখানে আপনি দেখতে পারবেন বিভিন্ন সিমুলেটর টাইপ এর যে গেম গুলা আছে। যেমন- গাড়ির ড্রাইভিং এ ধরনের মোবাইল ফোনের মধ্যে গেমস আছে। রেসিং গেম আছে এই গেমগুলো তারা রেগুলারলি খেলে এবং দিনে দুই তিনটা করে ভিডিও আপলোড করে। আর সেই ভিডিও গুলিতে কিন্তু লাখ লাখ ভিউজ আসে। আপনি আপনার মোবাইল ফোন দিয়ে এই ধরনের গেম গুলা খেলে গেমিং কনটেন্ট ক্রিয়েটর হয়ে যেতে পারেন ইউটিউবে অথবা ফেসবুকে। তো এটাও কিন্তু আপনার জন্য একটি দারুন বিষয় হতে পারে youtube এ ভিডিও বানানোর জন্য।

২। স্ট্রিট ফুড ব্লগ


এখন আপনি ব্লগিং এর কথা শুনে পোস্টটি ইগনোর করে যাবেন না। কারণ ব্লগিং বলতে আমরা বুঝি যে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে হবে। তারপর ভালো ক্যামেরা থাকতে হবে, ভালো ক্যামেরা দিয়ে ন্যাচারালি সুট করতে হবে। তারপরে আমাদেরকে ভালো মানের এডিটিং করতে হবে। এই জিনিসগুলো মাথা থেকে ফেলে দেন। কারণ হচ্ছে স্ট্রিট ফুড ব্লগ বা ফুড ব্লগ জিনিসটা অনেকটাই ইজি। আপনি চাইলে মোবাইল ফোন দিয়েই আপনার আশেপাশে যে শহর রয়েছে। আশেপাশের যে বাজার রয়েছে সেখানে স্ট্রিট ফুড গুলো পাওয়া যায়। সেগুলোর বিভিন্ন ভিডিও বানিয়ে আপনি কিন্তু আপলোড করে ইনকাম করতে পারেন।

আর সেই ভিডিওগুলো বানায়তে হলে আপনার জাস্ট মোবাইল ফোন টা হলেই কিন্তু হচ্ছে। আপনি ইউটিউবে গিয়ে স্ট্রিটফুড লিখে সার্চ করেন সেখানে দেখবেন অসংখ্য ভিডিও আছে যা মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ। ফেসবুকে সার্চ করেন দেখবেন ফেসবুকে ও মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ। সেখানে দেখবেন নরমালি ঝালপুরি বানাচ্ছে। বা চানাচুর বানাচ্ছে। বা যে স্ট্রিট ফুড ভিডিও রয়েছে সেই স্টিট ফুড গুলোর ভিডিও মোবাইল ফোনে রেকর্ড করছে। সেখানে কোন কথা নাই তেমন একটা, মাঝেমধ্যে কিছু একটা কথা বলে বা অনেক ভিডিও গুলোতে কথাও বলে না। এই ধরনের ভিডিও কিন্তু তারা আপলোড দিয়ে তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং ফেসবুক পেজ থেকে লাখ লাখ টাকা ইনকাম করতেছে। আপনি চাইলে এই ধরনের টপিকে কাজ করতে পারেন। এবং আপনিও এই রকম ইনকাম শুরু করে দিতে পারেন। ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে এখন নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন।

৩। ফানি চ্যালেঞ্জিং গেম


এখন গেমস বলতে এখানে আমি কোন কম্পিউটার বা মোবাইল গেমস কে বুঝায় নি। আপনারা হয়তোবা ইউটিউবে ফেসবুকে দেখেছেন রিয়েল লাইফে বিভিন্ন ধরনের গেমস খেলে মানুষে। আপনি ইউটিউবে গিয়ে যদি চমলক্ক গ্রুপ লিখে সার্চ করেন বা ফেসবুকে লেখেন। তাহলে কিন্তু সেখানে একটা চ্যানেল পাবেন। দেখবেন যে তারা বিভিন্ন রিয়েল লাইফ চেঞ্জিং গেমস খেলে। যেগুলো আসলে খেলার জন্য আপনার কাছে তেমন কোন ডিভাইসের প্রয়োজন নাই। বা আপনার সেগুলোর ভিডিও রেকর্ড করার জন্য জাস্ট একটা মোবাইল ফোন হলেই হবে। আর একটা আপনাদের টিম হতে হবে। আপনারা ফ্রেন্ডরা মিলে এই ধরনের ভিডিও বানিয়ে সেখান থেকে কিন্তু ভালো লেভেলের ইনকাম করতে পারেন।

আর এই টপিকের ভিডিও গুলা কিন্তু অনেক বেশি চলে। ফেসবুক বলেন, ইউটিউব বলেন, যেখানে বলেন অনেক স্পিডে গ্রহ করে। আপনি ফেসবুকে বা ইউটিউবে দেখবেন এই ভিডিওগুলো তে মিলিয়ন মিলিয়ন ভিউজ পড়ে। বিভিন্ন ধরনের চ্যালেঞ্জিং গেমসগুলো। আমি আপনাকে টপিক দিয়ে দিলাম আপনার একটু রিসার্চ করে সেটা সম্পর্কে জেনে নিন। এবং আপনিও চাইলে এই ধরনের গেমস বা এধরনের টপিক নিয়ে কাজ শুরু করে দিতে পারেন।

৪। এক্সপেরিমেন্ট


এখন এক্সপেরিমেন্ট বলতে আপনাকে এখানে সাইন্টিফিক কোন এক্সপেরিমেন্ট করতে হবে না। বিভিন্ন ধরনের ফানি এক্সপ্রেমেন্ট আছে আপনি যদি মিস্টার ইন্ডিয়ান হ্যাকার চ্যানেল টা দেখে থাকেন। তাহলে আপনি দেখবেন তারা বিভিন্ন ধরনের পানি এক্সপেরিমেন্ট করে থাকে। বা ইন্ডিয়ান ক্রেজি এক্সওয়াইজেড নামে চ্যানেল আছে এই চ্যানেলগুলোতে দেখবেন। তারা সাইন্টিফিক এক্সপেরিমেন্ট তো করেই। এবং তার বাইরেও কিছু ফানি এক্সপেরিমেন্ট করে। যেমন হচ্ছে যে কোন একটা বেলুনের মধ্যে যদি কোন একটা ফায়ার ক্র্যাকার্স ঢুকায় দেয় তাহলে সেখানে কি ধরনের রিএকশন হতে পারে। অথবা এই ধরনের অসংখ্য ভিডিও আছে।

আপনি জাস্ট চ্যানেল গুলো একটু দেখেন। দেখলে আপনার আইডিয়া পেয়ে যাবেন। অনেক ধরনের ফানি এক্সপেরিমেন্টাল ভিডিও আপনি চাইলে করতে পারেন। যেগুলো করার জন্য আপনার হাতে থাকা মোবাইল ফোনটিই এনাফ আপনি মোবাইল ফোন দিয়েই ভিডিও শুট করতে পারেন। এবং আপনি এমন কিছু এক্সপেরিমেন্ট করেন যে এক্সপেরিমেন্ট গুলা করার জন্য আপনার কাছে তেমন কোন রিক্রুটমেন্ট এর প্রয়োজন নাই। বেসিক যে জিনিস গুলো রয়েছে যেগুলো আপনি হাতের কাছে পেয়ে যাবেন। সেগুলো দিয়ে আপনি এই ধরনের এক্সপেরিমেন্টাল ভিডিও বানাতে পারেন।

৫। ট্রেন্ডিং টপিক


এখন ট্রেন্ডিং টপিকসে কিন্তু অনেক ধরনের ভিডিও আছে। যেমন- বিজনেস রিলেটেড টপিক হতে পারে, ফানি ট্রেন্ডিং টপিক হতে পারে, বা ইমোশনাল ট্রেন্ডিং টপিক হতে পারে। এরকম অসংখ্য ক্যাটাগরি এখানে কিন্তু চলে আসে। তো আপনি এখান থেকে যেকোন একটা ক্যাটাগরি সিলেক্ট করতে পারেন। ধরেন- আপনি ইমোশনাল যে ট্রেন্ডিং টপিক গুলো রয়েছে- সেগুলো নিয়ে কথা বলবেন। বা ফানি ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে কথা বলবেন। অথবা আপনি বিজনেস রিলেটেড ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে কথা বলতে পারেন।

তো এখানে আপনাকে আগে একটু সিলেক্ট করে নিতে হবে। আপনি কি ফানি কনটেন্টে কাজ করবেন, নাকি ইমোশনাল কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবেন। নাকি এডুকেশনাল কনটেন্ট নিয়ে কাজ করবেন। তো এখন আপনি যদি ইমোশনাল ট্রেন্ডিং টপিক এ কাজ করেন সে ক্ষেত্রে যারা অলরেডি ইমোশনাল এসব ট্রেন্ডিং টপিক নিয়ে ভিডিও বানায়। সেই চ্যানেলগুলো আপনি একটু দেখতে পারেন। সেখান থেকে কিন্তু আপনি আইডিয়া পেয়ে যাবেন। এই ধরনের ট্রেন্ডিং টপিক গুলো নিয়ে কি ভিডিও বানায়? তারা নরমালে কি করে একটা ট্রেন্ডিং টপিক এর উপরে তারা জেস্ট কথা বলে। তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করে। তো এই জিনিসগুলো কিন্তু প্রচণ্ড ভিউজ হয়। আপনি ইউটিউবে জাস্ট এই ধরনের টপিক নিয়ে যদি একটু ঘাটাঘাটি করেন। আপনি কিন্তু অসংখ্য আইডিয়া পেয়ে যাবেন।

Sponsored by Freelancingtherapy
ইউটিউব চ্যানেল থেকে আয় করার উপায় সম্পর্কে জানার সময় অবশ্যই আপনাকে জানতে হবে ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে।

সর্বশেষ কথা:- তো বন্ধুরা এই ছিল ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং আইডিয়া। আর একটি কথা আপনি কন্টিনুওসলি কাজ করে যান। ভিডিও বানিয়ে যান দেখবেন আপনার ভিডিও একটা না একটা হঠাৎ করে ভাইরাল হয়ে যাবে‌। একটা-দুইটা ভিডিও আপলোড দিয়ে হাল ছেড়ে দিলে হবে না। আপনাকে কন্টিনুওসলি ভিডিও দিতে হবে। ডেলি আপনারা একটি অথবা দুই তিনটা করে পারলে দুই তিনটা করে ভিডিও আপলোড দেন। আপনার জাস্ট রেগুলারলি কন্টাক্ট দিতে হবে। আর আপনাকে কনটেন্টের কোয়ালিটির আস্তে আস্তে ইমপ্রুভ করার চেষ্টা করতে হবে। তো এই ছিল আজকের টপিক ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে। আর্টিকেলটি কেমন লাগলো তা কমেন্ট সেকশনে জানাতে পারেন।

2 thoughts on "ইউটিউবে কী কী বিষয়ে ভিডিও তৈরী করলে ভালো হবে"

  1. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    জানতাম এইগুলো
  2. Nurnabi909 Contributor says:
    Amazing post

Leave a Reply