বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিষ্টেমের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। কিন্তু মাঝে মাঝে এই প্রিয় অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে আমরা কিছু সমস্যায় ভুগি। সেই সব প্রাধান সমস্যার গুলির মধ্যে একটি হল মোবাইল হ্যাং হয়ে যাওয়া । কিছু পদ্ধতি আনুসরন করলে আমরা এর থেকে মুক্তি পেতে পারি। তার আগে চলুন জেনে নিই আমাদের মোবাইল কেন হ্যাং হয়।

মোবাইল হ্যাং হওয়ার কারনঃ

১. অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল হ্যাং হয়ে যাওয়ার প্রাধান কারন দেখা গেছে এর মোবাইল স্পেস। অর্থাৎ আপনি যখন একই সময়ে অনেক গুলি আপ্লিকেশন ব্যবহার করেন তখন প্রয়োজনের তুলনায় মেমরি (RAM) কম হলে মোবাইল হ্যাং হতে পারে।

২. যদি আমরা মেমোরি কার্ড (Memory card /External Memory) এর পরিবর্তে ফোন মেমরিতে (Internal Memory/ROM) যথেচ্ছ পরিমানে অ্যাপ্লিকেশন ইনষ্টল (Install) করি তবে রোম (ROM) এর ঘাটতির কারনে ফোন হ্যাং হতে পারে।

৩. যদি cookies, caches, log files. না পরিষ্কার করা হয়। তবে এগুলি মেমরি জ্যাম করে মোবাইল হ্যাং হওয়ার ক।রন হয়ে দাড়ায়।

৪. মোবাইল এর মেমরির তুলনায় ভারি অ্যাপলিকেশন, গেম চালালে মোবাইল হ্যাং হয়।

সমাধানঃ

১. কোন কিছু ইনষ্টল (Install ) করতে চাইলে চেষ্টা করুন মেমোরি কার্ডে ইনষ্টল (Install ) করার। অর্থাৎ ফোন মেমরিকে যতটা সম্ভব ফাঁকা রাখার।

২. যে অ্যাপ গুলি ব্যবহার করেন না তা আনইনষ্টল(Uninstall) করেদিন।

৩. আপনার মোবাইল এর মেমরি (RAM) যদি কম থাকে তবে কখনই ভারি অ্যাপলিকেশন চালাবেন না।

৪. লক্ষ রাখুন একই সঙ্গে অনেক অ্যাপলিকেশন চলছে কিনা।

৫. অ্যাপ বন্ধ করে মেমরি (RAM) ফাঁকা রাখতে “Advanced task killer”, “Easy task killer” ব্যবহার করতে পারেন।

মোবাইল হ্যাং করলে যা করনীয়

মোবাইল ফোনের ওপর মানুষের নির্ভরতা এতটাই বেড়েছে যে, এখন এই যন্ত্র ছাড়া কেউ এক দিন পার করার চিন্তাও করতে পারেন না। মোবাইল ফোন যদি কিছুক্ষণ ঠিকমতো কাজ না করে, এতে অনেকে অধৈর্য হয়ে পড়েন। মোবাইল ফোন একটানা ব্যবহার করতে করতে কখনো তা ‘হ্যাং’ বা অচল হয়ে যেতে পারে। সাধারণত বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন, গেম ও ভিডিও মেমোরি ফোনের অনেক জায়গা দখল করে নিলে মোবাইল ফোন ‘হ্যাং’ হতে শুরু করে।

গুগলের নতুন অ্যান্ড্রয়েড সফটওয়্যার মার্সম্যালোচালিত ফোন ব্যবহারকারীরা সহজেই তাঁদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনের মেমোরি ও র‍্যামে কতখানি জায়গা খালি আছে তা দেখে নিতে পারেন। ফোন যদি হ্যাং করে তবে তা দূর করার জন্য যা করতে পারেন:

১. ফোনের সেটিং অপশনে যান এবং সেখান থেকে মেমোরি কতখানি আছে তা দেখে নিতে পারেন। ভিডিও, ছবি ও অ্যাপ কতখানি মেমোরি দখল করেছে তা পরীক্ষা করে দেখুন।

২. অ্যাপ অপশন থেকে মেমোরি ব্যবহারের অপশনটি নির্বাচন করুন। ফোন বা এসডি কার্ডে অ্যাপস ঠিক কতখানি জায়গা নিয়েছে তার বিস্তারিত জানা যাবে।

৩. কোনো অ্যাপ যদি অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ে, তা আনইনস্টল করে দিতে পারেন। এ ছাড়া অপ্রয়োজনীয় ছবি বা ভিডিও মুছে মেমোরি ফাঁকা করে দিলে ফোনের ‘হ্যাং’ সমস্যা দূর হবে।

মোবাইল হ্যাং করলে যা করনীয়:

ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস সাধারণত পুরোন হয়ে গেলে নতুনের মত সার্ভিস দেয় না। মোবাইলের ক্ষেত্রে এ কথাটা আরো বেশি প্রযোজ্য। এক্ষেত্রে আপনি যা করতে পারেন তা হলো-

১। অনেকসময় Memory card এ সমস্যা থাকলে ফোন হ্যাং হয়। তাই Memory card খুলে ফোনটা ব্যবহার করে দেখুন।

২। আপনার Phone memory থেকে ফটো, মিউজিক, ভিডিও, ওয়ালপেপার, ই-বুক এসব Memory card এ সরিয়ে ফেলুন।

৩। Nokia PC Suite ব্যবহার করে sms backup নিন। এরপর ফোন থেকে অতিরিক্ত ম্যাসেজগুলো ডিলিট করে দিন। এতেও আপনার Phone memory কিছুটা খালি হবে।

৪। সাধারণ এবং হালকা Theme ব্যবহার করুন। Theme ভারি হলে, মোবাইল এর ফাংশন স্লো হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

৫। যদি আপনি কোন app install করে থাকেন তাহলে সেটা phone memory তে ইন্সটল না করে memory card এ করুন।

৬। অপ্রয়োজনীয় app remove করুন। . এরপরেও যদি কাজ না হয় তাহলে Nokia PC Suite ব্যবহার করে Firmware re-install করে দেখুন। ধন্যবাদ।

মোবাইল হ্যাং করলে যা করনীয়

সাধের মোবাইল ফোনটি যদি হ্যাং হয়ে যায় তাহলে তো মোবাইলের ওপর রাগ হবেই।মোবাইলের র‍্যাম বা রেনডম একসেস মেমরি যদি ফুল হয়ে যায় বা জায়গা কমে যায় তাহলেই সাধারণত মোবাইল হ্যাং হয়।তাছারাও মোবাইলে থার্ড পার্টি এপ্সের নানা ত্রুটির কারনে মোবাইল হ্যাং হতে পারে।

মোবাইল যদি হ্যাং হয়ে যায় তাহলে জলদি হোম বাটন চেপে বেরিয়ে আশুন।রিসেন্ট থেকে সব এপ্সের লিস্ট ক্লিয়ার করে ফেলুন।অ্যান্ড্রয়েড ফোনের সেটিং এ গিয়ে Apps এ যান।সেখান থেকে running apps এ গিয়ে সকল অপ্রয়োজনীয় রানিং এপ্স স্টপ করে দিন।আর যদি এমন হয় যে মোবাইল হ্যাং হওয়ার পর আর কোনো রিসপন্স করছে না তাহলে মোবাইল টি কিছুক্ষন রেখে দিন।অযথা ডিসপ্লের ওপর এলোমেলো ভাবে টাচ করবেন না।তাহলে আরো খারাপ অবস্থা হবে।হ্যাং হওয়ার ২ মিনিট পর টাচ করে দেখুন যে কাজ করছে কিনা।না করলে ব্যাটারি খুলে আবার চালু করুন।

মোবাইল যাতে হ্যাং না হয় সে জন্য আরো কিছু টিপস:

মোবাইলে অপ্রয়োজনীয় কোনো এপ্স ইন্সটল করবেন না।

স্মার্ট ফোনগুলুতে এন্টিভাইরাস এর বেশি প্রয়োজন হয় না।তাই এন্টিভাইরাস ইন্সটল না করাই ভাল।এতে ফোনের র‍্যাম বেশি দখল হয়।

মোবাইলে ভাল মানের র‍্যাম ক্লিনার ব্যাবহার করা।তবে খেয়াল রাখতে হবে যেন সেটি উলটো বেশী র‍্যাম নষ্ট না করে।

 মোবাইল কেনার সময় অন্যান্য ফিচারের সাথে র‍্যাম এর বিষয়টাও খেয়াল রাখতে হবে।১ জিবি র‍্যামের নিচের কোনো মোবাইল না কেনাই উত্তম।

কোনো এপ ক্লোজ করার সময় সম্পুর্ন ভাবে ক্লোজ করতে হবে।হোম বাটন প্রেস করে ক্লোজ করলে তা ব্যাকগ্রাউন্ডে চলতে থাকবে।তাই সময় বেশি লাগলেও অপশন থেকে ক্লোজ করতে হবে।

 

আরো পড়ুন:

••• অ্যান্ড্রয়েড ফোন রুট করার সুবিধা ও অসুবিধা

••• অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সেরা ৭টি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইট

••• ঘুমানোর সময় মোবাইল কাছে রাখলে যেসব ক্ষতি হয়

 

আজ তাহলে এই পর্যন্তই। ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন ট্রিকবিডির সাথেই থাকুন। ?

One thought on "মোবাইল হ্যাং হওয়ার কারন ও সমাধান"

  1. paradoxical_sazid Contributor says:
    internal memory is much faster than external memory card.
    RAM cleaner app is useless.
    You should not clear recent apps that will help you to open the app again faster.
    You should not clear cookies that will cause the website load slower.
    You should install apps on internal memory rather than external memory card.

Leave a Reply