বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
হেলো । আসসালামু আলাইকুম । আপনারা সবাই কেমন আছেন ? আমি ট্রিকবিডি থেকে তামিম আছি আপনাদের সাথে। আজকে আমরা Realme এর C সিরিজের একটি ফোন নিয়ে কথা বলব । এর মডেল হলো Realme C33 । রিয়েলমি এর C সিরিজের ফোন গুলোর ডিজাইন অনেকটা আইফোনের মত করা করা হয় । আমরা Realme C33 এর স্পেসিফিকেশন দেখে আসি –
- প্রসেসর – Unisoc Tiger T612 (12 nm)
- ডিসপ্লে – IPS LCD ক্যাপাসিটিভ টাচস্ক্রিন
- র্যাম – ৩/৪ জিবি
- রম- ৩২/৬৪/১২৮ জিবি
- প্রাইমারী ক্যামেরা – ৫০ + ০.৩ মেগাপিক্সেল
- সেলফি ক্যামেরা – ৫ মেগাপিক্সেল
- ব্যাটারি – ৫০০০ এম্পিয়ার (১০ ওয়াট চার্জিং )
ডিসপ্লে-
এই মোবাইলটিতে রয়েছে ৬.৫ ইঞ্চি সাইজের IPS LCD ডিসপ্লে। যার মধ্যে ১৬ মিলিয়ন কালার সাপোর্ট করে। সাথে আছে ৬০ হার্জ রিফ্রেশ রেট । ব্রাইটনেস জনিত কোন সমস্যা নেই । সরাসরি সূর্যের আলোর নিচে চালাতেও কোন সমস্যা হয় না।
ক্যামেরা-
এই মোবাইলের পিছনে ২ টি ক্যামেরা রয়েছে । ৫০ মেগাপিক্সেল এর মেইন ক্যামেরা আর একটি সেকেন্ডারি ক্যামেরা । মেইন ক্যামেরা দিয়ে সহজে ফোকাস করে ছবি তোলা যায়। মাঝে মাঝে ছবিতে অতিরিক্ত কালার দিয়ে থাকে । ডেপ্ত সেন্সর ক্যামেরা ঠিক আছে । পোট্রেট মোড দাম অনুযায়ী ঠিক আছে । ১০৮০ পি / ৩০ এফপিএস এ ভিডিও করা যায় ।
৫ মেগাপিক্সেল এর সেলফি ক্যামেরা রয়েছে । দিনের আলোতে সেলফি ক্যামেরা দিয়ে ভালো ছবি পাওয়া যায় । পোট্রেট মোড ও ঠিক আছে । তাছাড়া Gcam এর মতো অন্য ক্যামেরা ব্যবহার করা যায় না ।
ব্যাটারি-
মোবাইলটিতে ৫০০০ এমএএইচ ব্যাটারি রয়েছে । সাথে ১০ ওয়াট এর চার্জার দেওয়া হয়েছে । মোবাইলটি সম্পূর্ণ চার্জ করতে ৩ ঘণ্টা সময় লাগে । বেসিক ইউজ করলে ১ দিন এর বেশি ব্যাকআপ পাওয়া যায় । আর রাফ ইউজে ৫ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের মতো স্ক্রীন অন টাইম পাওয়া যায় ।
পারফরম্যান্স-
মোবাইলটির প্রসেসর হলো Unisoc Tiger T612 (12 nm) যা একটি গেমিং প্রসেসর । মোবাইলটিতে জিপিইউ রয়েছে Mali-G57 । ৩ জিবি র্যাম এর ভেরিয়েন্ট দিয়ে পাব্জি খেললে অনেক সময় ই লেগ এর দেখা পাওয়া যায় । Freefire এর মত গেম মোটামোটি ভালো মত খেলা যায় । COD গেম টি ও ভালো মত খেলা যায় । অতিরিক্ত সময় ধরে গেম খেললে ভালোই গরম হয় ।
এই মোবাইল টি ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে লঞ্চ করা হয় । ৪ জিবি র্যাম ও ৬৪ জিবি রম এর ভেরিয়েন্ট টি ১৫ হাজার টাকায় মার্কেট এ পাওয়া যায় । মোবাইল টিতে মাইক্রো ইউ এস বি চার্জিং পোর্ট দেওয়া হয়েছে ।চার্জার টা আর একটু বেশি ওয়াট এর দিলে ভালো হতো । এখন কার সময়ে এসে টাইপ-সি পোর্ট দিলে আরও উপকার হতো । মোবাইলটির স্পিকার ও ভালো ছিলো । এই মোবাইল দিয়ে যদি আপনাদের গেম খেলার ইচ্ছা থাকে তাহলে ৩ জিবি র্যাম এর ভেরিয়েন্ট টা না নিয়ে আপনারা ৪ জিবি র্যাম এর ভেরিয়েন্ট টা নেওয়ার চেষ্টা করবেন । আশা করি আপনারা মোবাইলটি সম্পর্কে ভালো একটি আইডিয়া পেয়ে গিয়েছেন । যদি অন্য কোন ফোনের রিভিউ দেখার ইচ্ছা হয় তাহলে কমেন্ট করতে পারেন ।
ভাই এটা কই তেকে পেলে এটা ভুল তথ্য সঠিক করেন এটা