[Root] SetCPU: আন্ডারক্লকিং এর
মাধ্যমে বাড়িয়ে নিন
ব্যাটারি ব্যাকআপ
আমাদের দেশে অ্যান্ড্রয়েডচালিত
স্মার্টফোন বর্তমানে বেশ বড় একটা
জায়গা দখল করে নিয়েছে এবং
অধিকাংশেরই একটা কমপ্লেইন হল
ব্যাটারি ব্যাকআপ নিয়ে ।
ব্যাটারি বাঁচানোর জন্য
অনেক ব্যাটারি সেভারই আমরা
ইউজ করি, কিন্তু সত্যিকার অর্থে
সেগুলা কোন কাজের হয় না। আবার
রুটেড ইউজাররা Greenify/UUcleaner
টাইপের এ্যাপ ব্যবহার করে
ব্যাকগ্রাউন্ডের অ্যাপ হাইবারনেট
করে। তাতে RAM অনেকটাই
বাঁচলেও ব্যাটারিতে খুব বড় প্রভাব
ফেলে না। কিন্তু প্রসেসর
আন্ডারক্লকিং এর মাধ্যমে
ব্যাটারির ব্যাকআপ সত্যিকার
অর্থেই বাড়ানো যায়, রুট করার
সুবিধার মধ্যে এটা অন্যতম।
বিনিময়ে ফোনের পারফরমেন্স এ
একটু ছাড় দেওয়া লাগে কিন্তু তেমন
লক্ষণীয় অসুবিধা হয় না
কাজের কথায় যাই! এই
আন্ডারক্লকিং করার জন্য অনেক
অ্যাপই আছে। সবগুলার মুল কাজ একই
কিন্তু উপস্থাপনা ভিন্ন। কয়েকটা
ঘাটাঘাটি করে মনে হল
SetCPU এ্যাপটা তুলনামুলক ভাবে সহজ
এবং ইউজার ফ্রেন্ডলি।
আর…বিশ্বের সমস্ত ভালো
জিনিসের মত এইটাও পয়সা দিয়ে
কেনা লাগে প্লে-স্টোর এ
setcpu এর দাম $1.99 -_-।
। এখানে ক্লিক করে থেকে নামিয়ে নিন।
…এই এ্যাপটা দিয়ে
আন্ডারক্লকিং, ওভারক্লকিং
দুইটাই করা যায়…
কিন্তু আমজনতার মাঝে একটা বড়
অংশই MediaTek Chipset ইউজার (আমি
নিজেও :p)। আর যেহেতু
মিডিয়াটেকের কার্নেল ওপেন
সোর্স না, সুতরাং মিডিয়াটেক
ফোনে ওভারক্লকিং, কিছু এক্সট্রা
সি.পি.ইউ. গভর্নর.. এগুলা পাওয়া
যাবে না। কিন্তু চিন্তার কোন
কারন নাই! যতটুকু পাওয়া যায়, তা
দিয়েই আরামসে চলবে আপনার।
এ্যাপটি নামানোর পর নরমালি
ইন্সটল করুন। চালু করার পর এই জিনিস
দেখতে পাবেন:
উপরের ওয়ার্নিংটা পইড়েন, কামে
দিবে।
আপনার ফোনের চিপসেট যদি NVidia
Tegra 2 বাদে আর কিছু হয়, তাহলে
Continue recommended এ যান। Tegra 2
হলে custom setup advanced এ যেয়ে
nVidia Tegra 2 সিলেক্ট করেন।
আর যদি আপনি এই এ্যাপ নিয়া অনেক
বড় লেভেলের এক্সপার্ট হয়ে
থাকেন, তাইলে custom frequency তে
যাইয়া ঘাঁটাইতে পারেন :p
যাই হোক, কম ঝামেলায় কাজ শেষ
করতে চাইলে continue recommended
দেন।
দেওয়ার পর রুট এ্যাক্সেস গ্র্যান্ট করুন।
তারপর আপনি অ্যাপের মেইন স্ক্রিন
টা পাবেন।
1. এটা আপনার প্রসেসরের বর্তমান
ক্লকস্পিড।
2. প্রসেসরের সর্বোচ্চ ক্লকস্পিড।
এটা আপনি নিজে র ইচ্ছামত
রাখতে পারেন। এটাই মুলত
আন্ডারক্লকিং এর কাজটাটা
করে।
3. সর্বনিম্ন ক্লকস্পিড। ৫৯৮ mhz এ
রাখাটাই ভাল। কারন আমাদের
উদ্দেশ্য ব্যাটারি বাঁচানো।
যদি সর্বনিম্নই ১০২৪ mhz দিয়ে
রাখি, তাহলে ব্যাটারি
অতিরিক্ত খরচ হবে।
4. এখানে টিক দিয়ে রাখবেন।
তাহলে ফোন রিস্টার্ট দিলেও
এপটির সেটিংস অনুযায়ী
প্রসেসর চলবে।
5. ব্যাটারি গভর্নর। ব্যাটারি এবং
প্রসেসর কখন কিভাবে কাজ
করবে সেটা নির্ধারণ করার জন্য
এটি লাগে।
6. I/O scheduler বা ইনপুট/আউটপুট
স্কেজিউলার। এটি আপনার
ডিভাইসের মেমরিতে সমস্ত
ইনপুট ও আউটপুট কমান্ডকে বিভিন্ন
উপায় সাজিয়ে নেয়, যাতে
করে নির্দিষ্ট কাজের জন্য
নির্দিষ্ট পারফরমেন্স পাওয়া
যায়।
প্রথমেই মিনিমাম সি.পি.ইউ.
ফ্রিকোয়েন্সি কমিয়ে ৫৯৮ তে
নামান। ডিভাইসভেদে ৫৯৮ এর কম
বেশি হতে পারে। মোট কথা,
সর্বনিম্ন যতটুকু যায়, সেই
ফ্রিকোয়েন্সিতে রাখুন।
তারপর মাক্সিমাম ফ্রিকোয়েন্সি
টা নিজের পছন্দমত করতে পারেন।
ধরেন, আপনার ডিভাইস ১.৩ ghz,
আপনি ম্যাক্সিমাম ও দিয়ে
রাখলেন ১.৩। তাহলে তো কোন
লাভই হল না :/। ব্যাটারি যা ছিল
তাই থাকবে কারন এতে প্রসেসরের
ক্লক্সপিড আগের মতই থাকল। কিন্তু
আপনি যদি ১.৩ থেকে কমিয়ে
রাখেন, তাহলে আপনার প্রসেসর
অপ্রয়োজনীয় শক্তি খরচ করবে না।
ফলে আল্টিমেটলি, আপনার
ব্যাটারির ওপর প্রেশারটা কম পড়বে।
মুলত এটাই আন্ডারক্লকিং এর
উদ্দেশ্য।
সাধারনত কিটক্যাট ওএস ঠিকমত বুট
করতে ৫০০+ mhz লাগে। আমার মতে
সর্বোচ্চ ৭৪৭ mhz তে রাখাটাই ভাল।
তাহলে ফোনে লক্ষণীয় কোন ল্যাগ
পাবেন না।
cpu governor এখানে বিভিন্ন রকমের
দেওয়া আছে। মিডিয়াটেক
ডিভাইসে ৪ টি, আর অন্যান্য
ডিভাইসে আরও বেশ কয়েকটি
থাকে।
ব্যাকাপ বৃদ্ধির জন্য powersave governor
এ রাখুন।
I/O scheduler মুলত ফোনের মেমরি
স্টোরেজের ইনপুট ও আউটপুট
কমান্ডগুলো ঠিকমত সাজিয়ে নেয়,
যাতে আপনার ফোনের ডাটা
এ্যাক্সেসে সমস্যা না হয়। এটি
আপাতত cfq তে রাখাটাই বেটার।
সবকিছুর পর এরকম দেখাবে:-
…দিনে চৌদ্দবার যাতে এই
এ্যাপে ঢুকে সেটিংস
পাল্টানো না লাগে, তার জন্য
আপনি প্রোফাইল রেডি করে
রাখতে পারেন…
প্রোফাইল ট্যাবটি থেকে অনেক
রকমের শর্তের ভিত্তিতে আলাদা
আলাদা প্রোফাইল তৈরি করতে
পারেন। যেমন, ফোনের স্ক্রিন অফ
থাকলে প্রসেসর কেমন থাকবে,
নির্দিষ্ট একটা এ্যাপ চালালে
কেমন থাকবে, সকালে কেমন
থাকবে আর বিকালে কেমন থাকবে
ইত্যাদি। প্রথমবার একটু ধৈর্য ধরে
কাজগুলো করে রাখলে আর এর ভেতর
ঢোকাই লাগবে না আপনার..
সবকিছু শেষ হবার পর একটা রিবুট দিন।
তারপর কয়েক ঘন্টা চালান। আপনি
নিজেই চেঞ্জটা টের পাইবেন
যদি ডিভাইস ল্যাগ করে, তাহলে
৭৪৭ mhz থেকে একটু বাড়িয়ে
দেখতে পারেন।
আর এটার পাশাপাশি uucleaner/
greenify চালালে আরও ভাল ব্যাকাপ
পাবেন।
আমার নিজের কথা বলতে গেলে,
আমার ১৮০০ mah ব্যাটারি দিয়ে
আমি wi-fi চালু রেখে (সাথে
messenger, uc browser চালু থাকে) ৭-৮
ঘন্টা স্ক্রিন-অন টাইম পাই। আর মজার
ব্যাপার হলো যে আন্ডারক্লক্ড
অবস্থায় স্ট্যান্ডবাই ব্যাটারি খরচ
খুবই কমে যায়।
রাত ১২ টায় যদি ৩০%
চার্জ রেখে ঘুম দেন, সকাল ১০ টায়
উঠে ২৭-২৮% দেখবেন :/ B|
(আনরুটেড
ভাইয়েরা কাইন্দেন না ;))
আজ এটুকুই
সমস্যা হলে কমেন্ট করুন,,,
ধন্যবাদ।
Author: RiadRox
FB: fb/myself.riadrox
Email: [email protected]
“ধন্যবাদ”
%20google.apk?
aisob link dile hoy na.
Please sobai uc dia try korun