অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনের একটি কমন
সমস্যা হচ্ছে এটি সময়ের
সাথে সাথে কিছুটা ধীর
গতির হয়ে যায়।তাই,
আজকে আমি কিছু টিপস
শেয়ার করব যার সাহায্যে
সম্পুর্ন না হলেও
আপনারস্মার্টফোনটিকে
অনেকাংশেই স্মুথ করে
তোলা সম্ভব হবে।১।
আপনার স্মার্ট
ফোনটিরফার্মওয়্যার
আপডেট করুনঃআপডেটেড
ফার্মওয়্যার অনেক
ক্ষেত্রেই কিছু ল্যাগের
সমস্যা দূর করে থাকে।
‘আপডেট’ এর অর্থই হচ্ছে
আগেরতুলনায় নতুন কিছু
সুবিধা যোগ করা।আর,
ফার্মওয়্যার আপডেটের
মাধ্যমে স্মার্টফোন
ছাড়াও প্রতিটি
ডিভাইসেরই কম-বেশি
ক্যাপাবিলিটি বৃদ্ধি
পেয়েথাকে। অনেক সময়
হয়ত সেই পরিবর্তন আপনার
চোখে পরবে না তবে এমন
অনেক ত্রুটি মুক্ত করার জন্য
স্মার্টফোনের ফার্মওয়্যার
আপডেট করা জরুরী।২।
আপনার অ্যান্ড্রয়েড
ফোনটি‘রিসেট’
করুনঃআমরা সবাই জানি
যে ‘রিসেট’ করার
অর্থহচ্ছে ‘পুনঃস্থাপন করা’
বা ‘নতুন করে করা’, আর
স্মার্টফোনের
ক্ষেত্রেও‘রিসেট’ অপশনটি
ঠিক এর অর্থের মতই কাজ
করে।আপনার নিশ্চয়ই মনে
আছে যে আপনিযখন
আপনার স্মার্টফোনটি
কিনে এনেছিলেন তখন
আপনার স্মার্টফোনটির
অপারেটিং ছিল
ভীষনস্মুথ? কিন্তু,সময়ের
সাথে আপনার
অ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনটিরমধ্যে নানা
রকম ফাইল জমা পরার
কারনে সেই
স্মার্টফোনটি হয়ে
গিয়েছেল্যাগি।
এক্ষেত্রে আপনিযদি
আপনার স্মার্ট
ফোনটি‘ফ্যাক্টোরি
রিসেট’ করেনতবে স্মার্ট
ফোনটি থেকে সব
ফাইলমুছে গিয়ে ঠিকসেই
প্রথম কিনে আনার দিনের
মতস্মুথ হয়ে যাবে। সবফাইল
বলতে আমি আপনার
ব্যবহারেরজন্য যে
ফাইলগুলো জমা হয়েছিল
সেগুলোইবুঝাচ্ছি। কিন্তু
এতে করেযেহেতু সিস্টেম
ফাইল মুছেযাচ্ছেনা তাই
আপনিরিসেট করার পর
পাবেন একদম স্মুথএকটি
স্মার্টফোন।
সতর্কতাঃ‘ফ্যাক্টোরি
রিসেটের’ফলে আপনার
স্মার্টফোনের ইন্টারন্নাল
স্টোরেজেথাকা
প্রয়োজনীয়কন্টাক্ট, ক্ষুদে
বার্দা,
ক্যালেন্ডারএনট্রি,
মেমো এবংআপনি যে
অ্যাপলিকেশন
গুলোব্যবহার করতেন –
এগুলোসব মুছে যাবে। তাই,
রিসেট করারপূর্বে
অবশ্যইপ্রয়োজনীয় সব তথ্য
গুলো ব্যাক-আপনিয়ে
রাখুন। যদিও,গুগলের
অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের
ফলেকন্টাক্ট
এবংক্যালেন্ডার এন্ট্রি
সহ কিছুক্ষেত্রে ক্ষুদে
বার্তাওসিনক্রোনাইজড
হয়ে থাকে।৩। মাঝে
মাঝেই আপনার
ফোনেরইন্টারনাল
স্টোরেজচেক করুনঃস্মার্ট
ফোনের মেমরীর
পরিমানকমে গেলেস্মার্ট
ফোনে আপনি ল্যাগ
অনুভবকরতে পারেন।
এজন্য,আপনি মাঝে মাঝে
আপনারইন্টারনাল ফাইলে
জমেথাকা গেমস,
অ্যাপলিকেশন,মিডিয়া
ফাইল যেমন,গান, ভিডিও
ইত্যাদি
এক্সটার্নালস্টোরেজ
তথামেমরী কার্ডে
চালান (ট্রান্সফার)করে
দিন। তবে,বেশির ভাগ
লো-এন্ডস্মার্টফোনের
ইন্টারনালস্টোরেজের
পরিমাণ কম হয়েথাকে
বিধায় এই টিপসটিসেই সব
স্মার্ট ফোনে কাজ
নাওকরতে পারে।৪।
প্রয়োজনীয় অ্যাপ্লিকেশন
ব্যবহারকরতে
পারেনঃআপনি গুগল প্লে
স্টোর থেকে
টাস্ককিলারের মত
কিছুপ্রয়োজনীয়
অ্যাপলিকেশন ইন্সটলকরে
ব্যবহার করতেপারেন।●
পুরোনো স্মার্ট ফোন
গুলোরক্ষেত্রে ব্যবহার
করতেপারেন ‘auto task
killer’অ্যাপলিকেশনটি।
এটি আপনারনির্ধারিত ‘n’
সময় অন্তর অন্তর

আপনারনির্ধারিত
কিছুঅ্যাপলিকেশনের
প্রোসেস কিলকরে স্মার্ট
ফোনেরর্যাম ফ্রি করতে
সাহায্য করবে
এবংস্বাভাবিকভাবেই,
বেশি র্যাম ফ্রি
থাকারঅর্থ হচ্ছে
স্মার্টফোন দ্রুত অপারেট
হবে।● ভালো মানের
একটিএন্টিভাইরাস
অ্যাপলিকেশনব্যবহার
করতে পারেন।
কম্পিউটারের মত
স্মার্টফোনওনানা রকম
ভাইরাস এবং
ম্যালওয়্যারদ্বারা
আক্রান্তহয়ে থাকে এবং
একটি
ভালোএন্টিভাইরাস এই
সকলভাইরাস এবং
ম্যালওয়্যারকেসনাক্ত করন
এবং পরে মুছেফেলে
আপনার
স্মার্টফোনটিকেকিছুটা
হলেওগতিশীল করবে।●
ব্যবহার করতে পারেন ‘start
upmanager’ এর মত
কিছুঅ্যাপলিকেশন।
এইঅ্যাপলিকেশনের ফলে
আপনিআপনার ফোন বুট বা
রিস্টার্ট হবারসময়
নির্ধারন করেদিতে
পারবেন যে ঠিক
কোনঅ্যাপলিকেশন
গুলোসক্রিয় হবে আর কোন
গুল নিষ্ক্রিয়থাকবে।●
‘Juice defender’
টাইপেরঅ্যাপলিকেশনগুলো
অনান্যঅ্যাপলিকেশন
গুলোকেব্যাকগ্রাউন্ডে
অটোমেটিকস্টার্ট হতে
না দিয়ে আপনারফোনের
এবং আপনারফোনের
ব্যাটারীকে
সাপোর্টদিয়ে যাবে।●
‘cache cleaner’
অ্যাপলিকেশনগুলোমোবাইলেরমেমরীতে
জমে থাকা বিভিন্ন
রকমকেচ ফাইল মুছেদিয়ে
স্মার্টফোনকে স্মুথ করবে।●
‘Apps to SD card’
অ্যাপলিকেশনটিএকটি
প্রয়োজনীয়অ্যাপলিকেশন।
এর সাহায্যে
আপনিআপনার
স্মার্টফোনের ইন্টারনাল
স্টোরেজেইন্সটলড
থাকাঅ্যাপলিকেশনগুলো
আপনার
ফোনেরএক্সটার্নালমেমরী
কার্ডে ট্রান্সফার
করতেপারবেন এবং
এতেকরে ইন্টার্নাল
স্টোরেজ ফ্রী হবে,বিধায়
কিছুটাহলেও স্মার্ট ফোন
দ্রুত কাজ করবে।তবে মনে
রাখবেন,এই
অ্যাপলিকেশনটির
সাহায্যেসকল
প্রকারঅ্যাপলিকেশনই
মেমরী কার্ডেট্রান্সফার
করা সম্ভবহবেনা, কিছু কিছু
অ্যাপলিকেশনট্র্যান্সফার
করার জন্যআপনার
ফোনটিকে ‘রুট’ করে
নিতেহবে।● ’Spare parts’
জাতীয়অ্যাপলিকেশনগুলো
কিছুটাঅ্যাডভান্স
লেভেলেরকনফিগারেশন
প্যানেলেআপনাকে
এক্সেস করতে দিবে,যেমন
ধরুন-
ট্র্যানজিশানঅ্যানিমেশন
কনট্রোল।৫। অপ্রয়োজনীয়
অ্যাপলিকেশন গুলোমুছে
ফেলুনঃআমরা বিভিন্ন
সময়ে প্লে স্টোরেঘুরতে
ঘুরতে দেখাযায় অনেক রকম
অ্যাপলিকেশন ইন্সটলকরি
কিন্তুপরবর্তী সময়ে সেই
অ্যাপলিকেশনগুলো খুব
একটাব্যবহার করিনা। এরকম
অপ্রয়োজনীয়অ্যাপলিকেশনমুছে
ফেলা উচিৎ। এতে
করেস্মার্টফোনের র্যাম
ফ্রিথাকবে এবং ফলাফল
স্বরূপ আপনারস্মার্ট
ফোনটিআগের তুলনায়
কিছুটা হলেও ল্যাগফ্রি
হবে।৬। স্মার্ট ফোনটি
রিস্টার্ট করুনঃআমরা
কম্পিউটারেকোন সমস্যায়
পরলে কম্পিউটাররিস্টার্ট
দিয়ে থাকি,তাতে করে
কম্পিউটারের সমস্যাকিছু
ক্ষেত্রে দূর হয়েযায়।
স্মার্ট ফোনের ব্যপারটি
একই।যদিও, এই
ট্রিকসটিএকটি
টেম্পোরারী অপশন, তবুও
এটাকাজ করে।৭। আপনার
স্মার্ট ফোনটি রুট
করুনঃস্মার্ট ফোন ‘রুট’করার
ফলে আপনি কিছু
অ্যাডিশনালসুবিধা
পাবেনএবং সেই সুবিধা
গুলোকে কাজেলাগিয়ে
আপনিআপনার স্মার্ট
ফোনটি আরও
ভালোভাবে
কাজেলাগাতে পারবেন।
যদিও এক্ষেত্রেরুটিং
প্রোসেসটিএক প্রকারের
রিস্কি সমাধানেরপর্যায়
পরে তবে এখনইন্টারনেটে
বিভিন্ন সাইট
এবংফোরামের
কল্যাণেস্মার্ট ফোন ‘রুট’
করা এখন বলা চলেঅনেক
সহজ এবংঝুঁকির পরিমানও
ঠিক আগের মত নেই।ঝুঁকির
কথাবললাম কেননা, আপনি
যদি রুট করারসময় সফল না
হনতবে আপনার স্মার্ট
ফোনটি ব্রিকঅবস্থায় চলে
যেতেপারে। আবার,
আপনি সফল ভাবেরুটিং
প্রোসেসসম্পন্ন করলেও
আপনার স্মার্ট
ফোনেরসাথে
দেয়া‘ওয়ারেন্টির’
অফারটা শেষ হয়েযাবে
যদিও এখন আপনিচাইলেই
আপনার রুটেড
অ্যান্ড্রয়েডডিভাইসটি
আন-রুটকরতে পারবেন এবং
ওয়ারেন্টিফিরে পাবেন।
এখন বলিযে, একটি
অ্যান্ড্রয়েডঅপারেটিং
সিস্টেম চালিতস্মার্ট
ফোন স্পিড আপ এর সাথে
এইরুটিং এর কীসম্পর্ক।●
ওভার ক্লকঃ আপনি
আপনারঅ্যান্ড্রয়েড
ডিভাইসটিরুট করার পর
ডিভাইসের
প্রসেসরটিওভারক্লক
করতেপারবেন এবং একটি
ওভার ক্লকডপ্রসেসর
স্বাভাবিকভাবেই
স্বাভাবিক অবস্থায়
থাকাপ্রসেসরের
তুলনায়বেশি পরিমান
কাজ করতে সক্ষমহবে। তাই,
প্রসেসরওভার ক্লক করার
মাধ্যমে আপনিএভাবেই
আপনারঅ্যান্ড্রয়েড
স্মার্টফোনটির গতিবৃদ্ধি
করতে পারবেন।● কাস্টম
রমের ব্যবহারঃ
আপনিআপনার
অ্যান্ড্রয়েডডিভাইসটি রুট
করার পরডিভাইসটিতে
কাস্টম রমব্যবহারের সুবিধা
পাবেন। যদিও,কাস্টম রম
ব্যবহারকিছুটা অ্যাডভান্স
লেভেলেরপর্যায়ে পরে
এবং ঝুঁকিপূর্ন তবুও কাস্টম রম
ব্যবহার করেস্মার্টফোনের
গতিবৃদ্ধি করা যায় খুব
সহজেই। কেননা,কাস্টম
রমেঅপ্রয়োজনীয়
অ্যাপলিকেশন থাকেনা
বললেই চলেএবং এর ফলে
কোন
অ্যাপলিকেশনঅহেতুক
স্মার্টফোনের র্যামের
রিসোর্স ব্যবহারকরেনা
এবংএছাড়াও কাস্টম রম
ব্যবহারের ফলেস্মার্ট
ফোনের কিছুবাগ ফিক্স
হয়ে যায়। তবে ঝুঁকির
কথাবললাম এজন্যেইযে
মাঝে মাঝে কাস্টম রম
গুলোস্ট্যাবল হয় না এবং
এরফলে নানা রকম সমস্যা
দেখা দিয়েথাকে।●
অপ্রোয়োজনীয় সিস্টেম
অ্যাপমুছে
ফেলতেপারবেনঃ
প্রতিটি
অ্যান্ড্রয়েডস্মার্ট
ফোনের স্টকরমে দেখা
যায় নানা
রকমঅ্যাপলিকেশন প্রি-
ইন্সটলডকরা থাকে যা
অনেকেই ব্যবহারকরেন না।
‘রুট’ করারফলে আপনি
যেহেতু
আপনারডিভাইসেরঅ্যাডমিনিস্ট্রেশন
ক্ষমতা হাতেপাচ্ছেন সে
কারনেআপনি চাইলে
সিস্টেমে ইন্সটল্ডথাকা
অপ্রয়োজনীয়অ্যাপগুলো
মুছে ফেলতে
পারবেনফলে আপনার
স্মার্টফোনটি কিছুটা
হলেও হবে স্মুথ এবংদ্রুত
গতির।সতর্কতাঃ সিস্টেম
অ্যাপ মুছেফেলার
ক্ষেত্রে অবশ্যইঅ্যাপ
গুলোর ব্যাক-আপ
নিয়েরাখবেন।
এক্ষেত্রেচমৎকার একটি
অ্যাপলিকেশন
হচ্ছে‘Titanium
Backup’অ্যাপটি।কিছু কথা
মনে রাখবেনঃ** রুটিং
এবং কাস্টম রম ইন্সটল
করাঅ্যাডভান্সলেভেলের
সমাধান। এজন্যে,
অন্যপদ্ধতি গুলো
প্রথমেচেষ্টা করে
দেখবেন। যদি অন্যপদ্ধতি
গুলো ব্যবহারকরেই আপনার
সমস্যা দূর হয়ে যায়তবে
আপনাকে আরকোন ঝুঁকি
পূর্ন প্রসেসর মধ্যে
দিয়েযেতে হবে না।**
আপনি যদি সফল ভাবে
রুটিংপ্রসেস সম্পন্ন
করতেপারেন তবে আপনি
আপনার স্মার্টফোনের
অ্যাপড্রয়ারে SU (Super
User) নামের
একটিঅ্যাপলিকেশনদেখতে
পাবেন। আর মেন্যুতে
SUনামের
কোনঅ্যাপলিকেশন যদি
দেখতে নাইপান তবে বুঝে
নিতেহবে যে আপনার
রুটিং প্রসেসটিসফল
ভাবে সম্পন্নহয়নি।

Leave a Reply