কেমন আছেন আশা করি ভাল।

আগেই বলে রাখি যদি কাজে Help লাগে তবে এখুনি আমার সাথে ফেসবুকে লাইক দিয়ে কানেক্ট থাকুন এখানে ক্লিক করুন
কাজের কথায় আসি

সরকারি প্রতিষ্ঠান হলেও টেলিটককে বাড়তি কোন সুবিধা দেওয়া হবে না। প্রতিযোগিতার বাজারে প্রবেশ করার পরেও যদি টেলিটক নিজের পায়ে দাঁড়াতে না পারে তাহলে সেটা হবে টেলিটকের জন্য দুর্ভাগ্য। শুক্রবার রাতে এনটিভির ‘নিউজ ইনসাইড’ অনুষ্ঠানে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। প্রশ্নকর্তা জানতে চান, বিটিসিএল কেন অলাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে? এর সরাসরি উত্তর না দিয়ে তিনি টেলিটকের প্রসঙ্গ তুলে এসব কথা বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, আসলে টেলিটকে ইনিশিয়ালি ইনভেস্টমেন্ট কম ছিল। তবে এটাও সত্য যে টেলিটক সবার আগে থ্রিজি সেবা চালু করার পর নিজেদের উন্নতির একটি বড় সুযোগ পেয়েও তা কাজে লাগাতে পারেনি।
তারানা হালিম নিজে দায়িত্ব নেওয়ার পর টেলিটকের অনেক উন্নতি হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমি যখন দায়িত্ব গ্রহণ করি তখন টেলিটকের রিটেইলার ছিল ২৬ হাজার। আর এখন এ সংখ্যা ৩৬ হাজার ২৭৬। আগে গ্রাহক সেবা কেন্দ্র ছিল ৩৬টি আর এখন হয়েছে ৮৬টি। গ্রাহক সংখ্যাও তুলনামূলক অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। তিনি বলেন, আমার অগ্রাধিকার তালিকায় টেলিটকের নাম সব আর আগে রয়েছে। তবে টেলিটককে কোন অবৈধ সুযোগ দেওয়া হবে না।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতি সিম নিবন্ধন প্রসঙ্গে তিনি বিষদ বিবরণ দিয়েছেন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কিভাবে এ ব্যাপারে কাজ করছে তার একটি পরিসংখ্যান দেন। এ ছাড়া সম্প্রতি সৌদি আরব এবং প্রতিবেশি দেশ ভারতে বৃহৎ পরিসরে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি নিয়ে কাজ শুরু করেছে সে সব বিষয়ে উপস্থাপন করেন। প্রধানমন্ত্রী স্বয়ং এ ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বলেও তিনি জানান। ফলে যে কোনভাবেই দেশে সকল সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধনে কাজ করবেন বলে জানান।

এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট নিয়ে বাংলাদেশে একটি কোম্পানি হচ্ছে এখানে বাংলাদেশের মানুষ চাকরি পাবে। তাদেরকে দিয়েই পরবর্তীতে স্যাটেলাইট সংশ্লিষ্ট সকল কাজে অংশগ্রহণ করানোর মাধ্যমে বিশ্বমানের একটি প্রতিষ্ঠান তৈরি করবো। অবৈধ ভিওআইপি প্রসঙ্গে বলেন, আমি নিজে বিভিন্ন অভিযানে অংশগ্রহণ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীদের মনোবল বৃদ্ধি করি। অবৈধ ভিওআইপি ব্যবসায়ী যে দলেরই হোক না কেন তাঁকে ছাড় দেওয়া হবে না।
একজন প্রশ্ন করেছিলেন, বাংলাদেশে ফেসবুকসহ অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করার মাধ্যমে আদৌ সরকার কোন সুবিধা পেয়েছে কিনা? উত্তরে তারানা হালিম বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তথ্যের ভিত্তিতেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা দেওয়ার জন্য ফেসবুক বন্ধ করা হয়েছিল। আর আমি বারবার বলেছি, ইন্টারনেট বন্ধ করা ছাড়া এ ছিদ্র কোনভাবেই বন্ধ করা সম্ভব নয়। নাম না বলার শর্তে এক প্রযুক্তিবিদের প্রসঙ্গে টেনে তারানা হালিম বলেন, তিনি বিভিন্ন টেলিভিশনে গিয়ে বলেছেন ইন্টারনেট বন্ধ করা ছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধ করা সম্ভব। পড়ে আমি তাঁকে ডেকে এনে এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি। শুধু বলেছেন, এটা বললে মানুষ খুশি হয় বলে আমি বলেছি।
সাইবার নিরাপত্তার বিষয়ে প্রশ্ন উঠলে তিনি বলেন, আমরা এ ব্যাপারে বৃহৎ পরিসরে কাজ করছি। আমি নিজে এ ব্যাপারে গুগল, মাইক্রোসফট ও ফেসবুকের সাথে কথা বলেছি। তারা আমাদেরকে এ ব্যাপারে যে কোন সহযোগিতা ২৪ ঘন্টার মধ্যে করতে আশ্বাস দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা দেশে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়, বিডিসার্ট, বিটিআরসিসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করছি। এছাড়া আমাদের শিশুদের জন্য কোন সাইট ক্ষতির কারণ বা পর্নগ্রাফি রয়েছে সেগুলো ব্লক করার চেষ্টা করছি।
সব শেষে অনুষ্ঠান উপস্থাপক প্রতিমন্ত্রীকে বলেন, স্টুডিওতে উপস্থিত শিক্ষার্থীদের কাছে কোন প্রশ্ন আছে কিনা। এরপর তারানা হালিম, তাদের কাছে জানতে চান তোমাদের মধ্যে কে রাজনীতিবিদ হতে চাও? তোমাদের মধ্যে রাজনীতি সম্পর্কে ভুল ধারণা আছে হয়তো। কেউ রাজনীতিতে আসার সুযোগ পেলে আসবে কিনা? উত্তরে অবশ্য কেউই এ ব্যাপারে কোন আগ্রহ দেখায়নি।

Leave a Reply