সকালে অফিসে ঢুকতে না ঢুকতেই হোয়াটস অ্যপ বসের মেসেজটা পেলাম। বিনা ইন্টারনেটেই নাকি হোয়াট্সঅ্যাপ করা যাবে। সত্যি! তা হলে তো আমার-আপনার মতো সকলের পোয়াবারো। ভাবুন, এই অ্যাপ দিয়ে প্রতি দিন অজস্র ছবি বা মেসেজ চালাচালি তো রয়েইছে। অফিস কলিগদের কাছ থেকে কত অসংখ্য গান যে নিজের মুঠোফোনে পুরেছেন, সে খেয়াল আছে। এখন সেই হোয়াটস অ্যাপ যদি ফ্রি অব কস্টে আপনার মোবাইল জীবনের সঙ্গী হয় তবে কী কাণ্ডই না হবে। হোয়াটস আ্যাপ মেসেজ, ছবি বা গান চালাচালি করতে গ্যাঁটের কড়ি খরচ করতে হয় না ঠিকই। কিন্তু, ইন্টারনেটের কানেকশন না থাকলে যেমন আপনার মোবাইলে ওয়েবসাইট ব্রাউজ করা যায় না তেমন ভাবেই হোয়াটস অ্যাপও করা যায় না। ফলে, এই অ্যাপের ব্যবহারে ঘুরিয়ে নাক ধরার মতো সামান্য হলেও আপনার পকেট ফাঁকা হয়। সকালের এই খবর শোনামাত্রই স্মার্টফোনের দুনিয়ায় তো বটেই অফিস কলিগদের মধ্যেও হইচই শুরু হয়েছে। অতএব সত্যিটা জানতে মাঠেই নেমে পড়লাম। বসের সেই মেসেজের সঙ্গে একটা লিঙ্ক দেওয়া ছিল। ওতে ক্লিক করলেই জাদুকাঠির দরজা চিচিং ফাঁক! তবে একটা গেরো আছে। জনা পনেরো বন্ধুকে ইনভাইট না করলে ফ্রি হোয়াট্সঅ্যাপ কাজ করবে না। তবে উপায়? ইনভাইট বাটনে ক্লিক করার আগে খানিক ক্ষণ দোনামনা করে অতএব এক টেক স্যাভি বন্ধুর পরামর্শ নিলাম। আর তখনই জানতে পারলাম আসল সত্যিটা! আর সেটা জেনে রাখুন আপনিও। যে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এই ধরনের মেসেজ আসছে তা আসলে একেবারেই ভুয়ো। ফাঁদে পা দিয়ে এ ধরনের কোনও লিঙ্কে ক্লিক করলেই আপনার পনেরো জন বন্ধুর নাম-সহ লিঙ্ক তিনটে র্যান্ডম গ্রুপের কাছে চলে যাবে। অদ্ভুত ভাবে, এ বার আপনার ওই বন্ধুদের কাছে এই বলে নোটিফিকেশন পৌঁছে যাবে যে, তা ভেরিফায়েড হয়ে গিয়েছে। তবে, তত ক্ষণে আপনি যে স্প্যামের মতো মারাত্মক ভুলভুলাইয়ায় ঢুকে পড়েছেন তা নিশ্চিত। ফলে, এ ধরনের মেসেজ যতই লোভনীয় হোক না কেন, সাবধান!
Share:
7 thoughts on "ইন্টারনেট ছাড়াই চলবে হোয়াটস অ্যাপ"