কম দামের স্মার্টফোন কেনার সময় কয়েকটি বিষয় মনে
রাখা জরুরি। বেশি দামের স্মার্টফোনের সঙ্গে তুলনা
না করা, প্রয়োজনীয় ফিচারগুলো আছে কি না পরীক্ষা
করে দেখা, অপারেটিং সিস্টেম ও হার্ডওয়্যার উন্নত
কি না যাচাই করা এবং বিক্রয়োত্তর সেবা আছে কি
না।
প্রয়োজনীয় ফিচার: কম দামের স্মার্টফোন নির্মাতারা
প্রয়োজনীয় বেশ কিছু ফিচার স্মার্টফোনে দেয় না।
ইন্টারনাল স্টোরেজ চার গিগাবাইটের পরিবর্তে দুই
গিগাবাইট দিয়ে দেয়। রেজুলেশন কমিয়ে দেয়। ৪.৭ ইঞ্চি
মাপের স্ক্রিনের রেজুলেশন ৮০০ বাই ৪০০ পিক্সেলের কম
হতে পারে। অনেক সময় ওয়াই-ফাই, ব্লুটুথের মতো
সুবিধাও থাকে না। ক্যামেরায় অটো ফোকাস সুবিধাও
থাকে না। কম দামের স্মার্টফোন কেনার সময় আপনার
দরকারি ফিচারগুলো সব আছে কি না তা যাচাই করে
নিন।
হার্ডওয়্যার: কম দামের স্মার্টফোন কেনার আগে
একেবারে নিম্নমানের হার্ডওয়্যার থাকবে তা ঠিক নয়।
শুরুতেই প্রসেসর দেখে নিন। এখন সাশ্রয়ী স্মার্টফোনেও
অক্টা কোর প্রসেসর পাওয়া যায়। যত বেশি র্যাম হবে
তত ভালো। স্মার্টফোনে বাড়তি জায়গার জন্য কার্ড
লাগানো যাবে কি না তা যাচাই করে নিন। ইন্টারনাল
স্টোরেজ বেশি হলে ভালো। এছাড়া ডিসপ্লের
রেজুলেশন ও আকার, ব্যাটারিতে চার্জ কতক্ষণ থাকে
তা দেখে নিন।
অপারেটিং সিস্টেম: বাজারে সাশ্রয়ী ফোনের মধ্যে
অ্যান্ড্রয়েডচালিত বেশ কয়েকটি মডেলের ফোন,
উইন্ডোজ ফোন ও পুরোনো মডেলের ব্ল্যাকবেরি ফোন
পাবেন। স্মার্টফোন কেনার আগে আপনার ফোনটিতে
হালনাগাদ অপারেটিং সিস্টেম আছে কি না তা যাচাই
করে নিন। একেক অপারেটিং সিস্টেমের জন্য
হার্ডওয়্যারের প্রয়োজনীয়তা একেক রকম। উইন্ডোজ
ফোনের সাম্প্রতিক সংস্করণগুলোতে অ্যান্ড্রয়েডের
তুলনায় (উইন্ডোজ ফোন ৮ এর ওপরে) প্রসেসর ও র্যাম কম
হলেও অসুবিধা নেই। ফোনে থার্ড-পাটির কতগুলো অ্যাপ
আগে থেকে ইনস্টল করা আছে তা পরীক্ষা করুন এবং তা
সরানো যাবে কি না দেখে নিন। এই অ্যাপগুলো ফোনের
বিক্রয়োত্তর সেবা: অধিকাংশ স্মার্টফোনে এক বছর
পর্যন্ত বিক্রয় পরবর্তী সেবার নিশ্চয়তা থাকে। কিন্তু
কাছাকাছি সেবাকেন্দ্র না থাকলে এই ওয়ারেন্টি
কোনো কাজে আসে না। আপনার পছন্দের
স্মার্টফোনটির বিক্রয় পরবর্তী সেবার বিষয়টি ওই
ব্র্যান্ডের ওয়েবসাইটে দেওয়া আছে কি না দেখে নিন
জিপি সিমে ফ্রি নেট চালাতে
এখানে ক্লিক করুন
koran please