আলোচনা:
অনেকদিন পর ট্রিকবিডিতে লিখছি।
লিখতে ইচ্ছে করছিলোনা আসলে।
পুরাতন ট্রেইনারদের পোস্ট নেই, পোস্টে মেম্বারদের রেসপন্স নেই, মাঝেমধ্যে গুটিকয়েক মানসম্মত পোস্ট দেখা যায়।
তাও আবার কালেভদ্রে।
বেশিরভাগই দেখা যায় আর্নিং পোস্ট আর এপ/থিম/মুভি রিভিউ।
তাও আবার শুধু কয়েকটা ফিচার উল্লেখ করে।
ঐ নির্দিষ্ট গণ্ডির বাইরে গিয়ে কেউ কিছু লিখেনা।
কেনো লিখেনা তা জানিনা।
তবে আমার মনে হয়, যারা নিয়মিত লিখেন তারা প্রয়োজনে সপ্তাহে একটা করে পোস্ট করুন।
তবুও চেষ্টা করুন যা জানেন তার সবটুকু ঢেলে দেয়ার।
ঘনঘন পোস্ট করলে হয়তো আপনি ৫-১০ টাকা করে বেশি পাবেন, তবে মানুষের ভালোবাসা কমই পাবেন।
দেখা যায় অনেকেই ভালো পোস্টেও গালি দেয় আজকাল।
এরকম করলে আপনাদের জন্য কে লিখবে?
যাইহোক,
লিখালিখি করলে আপনাদেরই লাভ।
যেমন:
- কোনোকিছু একদম পারফেক্টলি লিখতে হলে ভালোভাবেই তা জানতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার জানাও হয়ে গেলো।
- যত জানবেন তত জ্ঞান সমৃদ্ধ হবে। যেহেতু প্রযুক্তি বিষয়ক আর্টিকেল লিখবেন, সেহেতু আপনার অনেক ইংলিশ ওয়ার্ড জানা হবে যা অনেকের কাছেই দুর্বোধ্য মনে হবে।
- সবচেয়ে বড় উপকার যেটা হবে সেটা হলো, আপনার রাইটিং স্কিল তো বাড়বেই বাড়বে, সাথে কিছু বলার স্টাইলেও পরিবর্তন আসবে। শব্দপ্রয়োগ অসাধারণ হবে। বানান ভুলের হার দিনদিন কমবে। যা আপনার একাডেমিক লাইফেও বেশ ভালো কাজে দিবে।
যাক, অনেক জ্ঞান দিলাম।
এবার আমি একটা অফার দিবো।
অফারটি হলো,
এখন থেকে ট্রিকবিডির পোস্টগুলো আমি পার্সোনালি মনিটরিং করবো।
কোনো পোস্ট খুব ভালো লাগলে সেই পোস্টে কমেন্ট করে যোগাযোগের জন্য বলবো।
গরিব মানুষ আমি।
৫-১০ টাকা মোবাইল রিচার্জ দিতে পারবো সর্বোচ্চ। ?
তবে এক্ষেত্রে পিসি রিলেটেড পোস্টগুলো প্রাধান্য পাবে বেশি।
আইফোনের জটিল ট্রিকস পেলে তাও কাউন্ট করা যাবে।
এটা কিন্তু কোনো কম্পিটিশন নয়।
যাস্ট ভালো লাগা থেকে হাদিয়া দেয়া হবে।?
যাকগে,
এবার মূল আলোচনায় যাওয়া যাক।
মূল টপিক:
শিরোনাম দেখেই তো ধারণা হয়ে গেছে যে আজকের আলোচনা হবে BDIX এবং FTP নিয়ে।
প্রথমেই শুরু করি FTP দিয়ে।
কারণটা পুরো লেখাটা পড়লেই বুঝতে পারবেন।
FTP-
FTP বা File Transfer Protocol হলো এমন একটি পদ্ধতি, যা দিয়ে খুব খুব খুব সহজে ফাইল শেয়ার করা যায়।
তবে এক্ষেত্রে একটি সীমাবদ্ধতা কিন্তু থেকেই যায়।
এই সীমাবদ্ধতা হলো, এর রেঞ্জ।
অর্থাৎ এটি শুধু একটি নির্দিষ্ট এরিয়াতেই কাজ করে।
এর বাইরে গেলে আপনি ঐ সার্ভারের ফাইলগুলোতে আর এক্সেস করতে পারবেন না।
সহজভাবে বুঝাই,
আমরা এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ShareIt/ShareMe/Zapya/Xender ইত্যাদি এপস দিয়ে যে পদ্ধতিতে ফাইলগুলো আদানপ্রদান করি, এটাই হলো FTP সার্ভার।
এক্ষেত্রে এই এপগুলো WiFi নেটওয়ার্কের মাধ্যমে FTP সার্ভার ক্রিয়েট করে।
তবে চাইলে তারের মাধ্যমেও এই সার্ভার তৈরি করা যায়।
উদাহরণস্বরূপ আমার লাইনের কথা ই ধরুন।
মূল স্পিড কিনেছি 8 mbps অর্থ্যাৎ 1 MBps
কিন্তু আমাদের ISP (Internet Service Provider) এর প্রোভাইড করা FTP সার্ভারের স্পিড কত জানেন কী?
100 mbps বা 12 MBps
এবার ভেবে দেখুন তো, ১ জিবির একটা ফাইল ডাউনলোড হতে কতক্ষণ লাগবে?
কত সময় আপনার সাশ্রয় হচ্ছে?
এখন কথা হলো,
এই সার্ভারগুলো কিভাবে তৈরি করা হয়?
এই সার্ভারগুলো চাইলে যে কেউই তৈরি করতে পারবে।
ধরি, আপনার বাসায় একটা ওয়াইফাই রাউটার আছে।
আপনি চাচ্ছেন যেনো সবাই নিজ নিজ ফোন থেকে আপনার কম্পিউটারে থাকা ফাইলগুলোতে এক্সেস পাক যাতে যার যা ইচ্ছে সে তা দেখতে/নিতে পারে।
এক্ষেত্রে আপনি চাইলে আপনার কম্পিউটার/মোবাইল থেকেও FTP সার্ভার তৈরি করতে পারবেন।
আবার সরাসরি রাউটারে স্টোরেজ কানেক্ট করে ও করতে পারবেন। (ISP রা এভাবেই অনলাইন সার্ভারের খরচ বাঁচাতে Local FTP সার্ভার তৈরি করে ইউজারদের বেশি স্পিডের সুবিধা দিয়ে থাকে।)
কিভাবে তৈরি করবেন সেই প্রসেস বুঝতে না পারলে কমেন্ট-এ জানাবেন।
অন্য কোনোদিন এ নিয়ে পোস্ট করবো।
তো, মনে করুন আপনি FTP সার্ভার তৈরি করে ফেলেছেন।
এবার এর ভালো/খারাপ দিকগুলো একটু দেখি।
সুবিধা হলো:
- হুবহু আপনার মোবাইল/পিসি/স্টোরেজ (মেমোরি/পেন ড্রাইভ) এ ফাইলগুলো যেভাবে আছে সেভাবেই দেখতে পাবেন।
- কোনো ঝামেলা ছাড়াই এক ক্লিকে সব ফাইলে এক্সেস করতে পারবেন
- অনলাইনের যেকোনো সাইটের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি স্পিড পাবেন।
- রিড/রাইট পারমিশন দিলে নেটওয়ার্কে যুক্ত সকলেই নিজেদের কাছে থাকা ফাইল সার্ভারে এড/রিমুভ করতে পারবে
- বিনামূল্যে/স্বল্পখরচে তথ্য ও ফাইল আদান-প্রদান করা যাবে।
অসুবিধা হলো:
- একটি নির্দিষ্ট দূরত্বের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে।
- অনেক বেশি ধারণ ক্ষমতার মেমোরি/স্টোরেজ দরকার হবে।
- সিকিউরিটির বিষয়ে পর্যাপ্ত আইডিয়া না থাকলে তথ্যের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা থেকেই যাবে।
আশা করি FTP এর মূল বিষয়গুলো ক্লিয়ার হয়েছে।
এবার যদি বলি,
“FTP শুধুমাত্র একটি নির্দিষ্ট এরিয়াতেই সীমাবদ্ধ নয়“
ভাবছেন হয়তো,
এতক্ষণ কী বললো তাহলে?
হ্যাঁ,
আপনাদের জানাতে চাই যে FTP সার্ভারকে শুধু একটি নির্দিষ্ট গণ্ডিতে না রেখে এখন সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেয়া যায়।
তবে সেটা অনেকটা ব্যয়বহুল বলা চলে।
এর জন্য আলাদাভাবে অনলাইনে ডোমেইন, হোস্টিং কিনতে হয়।
তাই খরচ তো একটু হবেই।
এক্ষেত্রে আপনার লোকাল যে FTP সার্ভার ছিলো, সেটি এখন WorlWide অনলাইন সার্ভার হয়ে যাবে।
অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটে পরিণত হবে।
তবে এক্ষেত্রে ফাইলগুলো আপনার বাসাতেই থাকবে।
অনলাইনের কোনো হোস্টিং সাইটে নয়।☺
তাহলে কী শিখলেন এতক্ষণ?
FTP দুই প্রকার।
- Local FTP
- Online FTP
উল্লেখ্য যে, Local FTP সার্ভারের লিংকগুলো আইপি এড্রেসের মতো হয়।
যেমন:
ftp://172.20.0.19
ftp://192.25.0.1
Diagram:
এবার আসি BDIX এর বিষয়ে:
BDIX কী আসলে?
চলুন একটু ব্যাখ্যা করা যাক।
BDIX এর অর্থ হলো Bangladesh Internet Exchange
অর্থাৎ এটি বাংলাদেশের ISP (Internet Service Provider) দের তৈরি করা এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে প্রত্যেক ISP (যারা ওয়াইফাই/ব্রডব্যান্ড কানেকশন দেয়) এর যে নির্দিষ্ট সাইটগুলো থাকে সেগুলো অন্য ISP এর ইউজারদের ও বেশি স্পিডে ব্যবহার করার সুযোগ দেয়া হয়।
এই BDIX হলো একটি সংগঠন।
যেখানে দেশের প্রায় সব ISP এড আছে।
এর প্রধান উদ্দেশ্য-ই হলো অপটিক্যাল ফাইবারের মাধ্যমে ব্যান্ডউইথ কেনার খরচ বাচিয়ে বেশি স্পিড/ফাইল বিনিময়।
এর ফলে ইউজারদের কাছে কম খরচে ডেডিকেটেড সার্ভারের (FTP/Site) মাধ্যমে বেশি স্পিড প্রোভাইড করা সম্ভব হয়।
এই শেয়ারিং সিস্টেমটি হলো,
মনে করুন,
আপনি Orange Communication থেকে ইন্টারনেট নিলেন।
এদের প্রোভাইড করা সার্ভার থেকে আপনি ভালোই স্পিড পাচ্ছেন।
কিন্তু ঐ সার্ভারে পর্যাপ্ত পরিমাণ ফাইল নেই।
এমতাবস্থায় ISP চাইবে তার গ্রাহকদের অধিক সুবিধা দিতে।
তাই সে অন্য ISP এর সাথে চুক্তি করবে।
আপনারা আমাদেরকে আপনাদের রিসোর্স শেয়ার করুন/আমরা আপনাদের রিসোর্স এ এতো MBps স্পিড দিবো, বিনিময়ে আপনাদের ও তা রিটার্ন করতে হবে।
এভাবে চুক্তির মাধ্যমে দেশে স্পিড ও রিসোর্স এর মধ্যে সামঞ্জস্য তৈরির লক্ষ্যে BDIX এর যাত্রা।
তবে BDIX এ যেহেতু শুধু বাংলাদেশের ISP রাই যুক্ত, তাই তাদের ডেডিকেটেড সার্ভারে আপনি অন্যকোনো দেশ থেকে চাইলেও এক্সেস করতে পারবেন না।
তাছাড়া কিছু সার্ভারে যেমন: Google সার্ভারে তাদের দেয়া এক্সট্রা স্পিডও পাবেন না।
নরমালি সবার যেরকম স্পিড সেরকমই পাবেন।
Diagram:
আশা করি FTP ও BDIX এর আদ্যোপান্ত বুঝতে পেরেছেন।
নিচে কিছু প্রয়োজনীয় সফটওয়্যারের লিংক দিলাম।
প্রয়োজন হলে ডাউনলোড করে নিবেন।
প্রয়োজনীয় লিংক ও সফটওয়্যার:
BDIX Official Web Site
BDIX Tester – TrickBD Team
Prox – WiFi Booster – TrickBD Team
BDIX Tester
BDIX Tools
দৃষ্টি আকর্ষণঃ
বরাবরের মত আবারও বলছি,
আমার লিখা কপি করার চিন্তাও করবেন না।
সুস্থ্য মস্তিকের মানুষ হলে,
আশা করি মনে রাখবেন কথাটা।
আর একান্তই যদি কোনো প্রয়োজন হয়,তবে ফেইসবুকে নক করতে পারেন।
আর ইচ্ছে করলে আমার YouTube চ্যানেল থেকে ঘুরে আসতে পারেন।
নিয়মিত আপডেট পেতে আশা করি Subscribe করে রাখবেন।
দুইমাস ধরে ড্রাফট এ পড়ে ছিলো।
দেখে শান্তি পাচ্ছিলাম না, তাই এপসগুলো সম্পর্কে কয়েকলাইন না লিখেই পাবলিশ করে দিলাম।
আশাকরি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
জানার থাকলে কমেন্ট করতে পারেন।
ব্রাউজার, ডিভাইস সবই চেঞ্জ করছি তাও কাজ হয় না
অনেকসময় কাজ চলে।
তাই সার্ভার বন্ধ রাখে।
BDIX Tester দিয়ে সার্ভার অফলাইন, নাকি অনলাইন চেক করে নিতে পারবেন।
আপনার প্রোভাইডারকে কল দিয়ে লোকাল FTP আছে কিনা জেনে নিন।
আলাদা করে স্পিড বরাদ্দ থাকে।
আগ্রহ পাইনা।?
আমার জন্য না হলে অন্যকারো জন্য হয়তো।
তাই সবগুলোই ভালো পোস্ট।
কোনোটা হয়তো একটু বেশি ভালো হয়।?
but, problem hosse je, ami s.s.c exam ar por uttara cole jabo, thole tw wifi network bodlate hobe. tahole tader ftp o onno rokom hobe. but, ami CIRCLE NETWORK ar ftp te jei service gola pai, oi gola ki onno kothao pabo ??
এটা লোকাল FTP.
এগুলো অন্য প্রোভাইডার দিতে পারবেনা।
তাদের নিজেদের সার্ভার থাকতে পারে।
ওখানে আপলোড করা থাকলে, তবেই এই ফাইলগুলো পাবেন।
তবে প্রথম শর্ত হলো, যেকোনোভাবে কাস্টম রিকভারি ইন্সটল করা।
এরপর যা ইচ্ছে করতে পারবেন।
https://9khdmovies.blogspot.com