আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা কি অবস্থা আপনাদের সবার?

আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন।

আজকের এই পোষ্টের টপিক হচ্ছেঃ 

  1. Liquidity
  2. Liquidity Pool
  3. Liquidity Locked

আমরা সবাই জানি যে ক্রিপ্টো ট্রেডিং করতে হলে, আমাদের এই জিনিসগুলো সম্পর্কে অবশ্যই জানতে হবে।

তাই সে চিন্তা থেকে আপনাদের সাথে আজকের এই পোস্টটি শেয়ার করা।

তো চলুন অতিরিক্ত কথা না বাড়িয়ে, নিচে এগুলোর ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করা যাকঃ

Liquidity কি ?

মনে করুন  আপনার কাছে কোন Crypto asset আছে, এবং আপনি সেটাকে খুব সহজে বিক্রি করে টাকায় কনভার্ট করতে পারছেন। এর মানে এটা যে  সেই Crypto asset টির Liquidity রয়েছে। এর মানে এটাই যে লিকিউডিটির মানে হচ্ছে ইজি টু কনভার্ট ইন ক্যাশ। এর এক্সাম্পল হিসেবে আমরা স্বর্ণকে ধরে নিতে পারি। আপনার কাছে যদি স্বর্ণ থাকে তাহলে আপনি খুব সহজেই কিন্তু স্বর্ণ বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিতে পারবেন। এর মানে এটা যে স্বর্ণের লিকুইডিটি রয়েছে। আর যেই জিনিসগুলো বিক্রি করতে মার্কেটে সমস্যা হয়, এর মানে এটা যে সেই জিনিস গুলোর লিকুইডিটি মার্কেটে কম রয়েছে । তো আশা করি এই কনসেপ্ট থেকে, আপনি খুব সহজে বুঝে গেছেন যে, লিকুইডিটি কি?

তো ! তাহলে আমরা এবার আমাদের নেক্সট টপিকে চলে যাই… 

Liquidity Pool কি ?

আপনি হয়তো প্রায় প্রায় ক্রিপ্টোকারেন্সিতে দেখে থাকেন যে, Liquidity Pool নিয়ে কথা হচ্ছে। তো এইখানে Pool  এর মানে ধরে নিলাম একটি বাকেট, অনেক বড় বাকেট। তো এই বাকিটি কেন বানানো হয়? যখন কোন ডেভেলপার নতুন কোন টোকেন বানায়, তখন সে তার টোকেনের নিজের মন মোতাবেক ৮০% থেকে ৯০%  যতটুকু তার মন চায়, সে সেই Liquidity Pool মধ্যে রেখে দেয়।

আর যে কয়েনের সাথে সে টোকেনটির পেয়ার রয়েছে, ধরে নিলাম USDT এর সাথে EXE টোকেনের পেয়ার রয়েছে।

এখন আমরা যতবারই EXE টোকেনটিকে ক্রয় করব , তার বিনিময়ে আমরা যে USDT দিব তা কিন্তু  Liquidity Pool এর মধ্যে গিয়ে জমা হবে।

এবং যখন EXE টোকেনটিকে বিক্রয় করব, তাও কিন্তু Liquidity Pool এর মধ্যে গিয়ে জমা হবে, এবং তার বিনিময়ে সেই Pool এর মধ্যে থাকা USDT নিয়ে নিতে পারবো ।

Liquidity Pool না থাকলে অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়। ধরুন আপনি যে টোকেনটি ক্রয় করতে চাচ্ছেন, সেটা কোন মানুষের কাছে রয়েছে, এবং সে যদি সেটা বিক্রিই না করতে চায় তাহলে আপনি তার কাছ থেকে কিভাবে কিনবেন? আবার ধরুন আপনার কাছে সেই টোকেনটি রয়েছে, কেউ যদি সেটা কিনতেই না চায় তাহলে আপনি সেটা বিক্রি করবেন কি করে?

আর মূলত এসব কারণের জন্যই Liquidity Pool বানানো খুবই জরুরী যখনই কোন নতুন টোকেন বানানো হয়।

Liquidity Locked/Liquidity Pool Locked কি?

আপনি হয়তো Crypto কারেন্সিতে প্রায় শুনেছেন অমুক কারেন্সির Liquidity Locked রয়েছে একমাস অথবা তিন বছরের জন্য.

এখন এটা কেন করা হলো? এটা করার মানে হচ্ছে যে, সেই Liquidity Pool মধ্যে যদি একবার সে টোকেন গুলো লক হয়ে গেছে, ধরে নিলাম ডেভেলপার তার টোকনের ৯০% টোকেন Liquidity Pool এর মধ্যে দিয়ে দিয়েছে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য সেটাকে লক করে দিয়েছে। ধরে নিলাম সময়টা তিন বছর।

এবার সেই ডেভলপার চাইলেই তিন বছর পর্যন্ত সেখান থেকে তার টোকেন গুলোকে বের করতে পারবেনা। এতে করে সাধারণ যে ট্রেডাররা রয়েছে তারা খুব বিশ্বাসের সাথে সেই টোকিনের উপরে ট্রেডিং করতে পারবে।  এর ফলে ডেভলপার চাইলেই আমাদের USDT  Liquidity Pool থেকে বের করে বিক্রি করতে পারবে না। এতে করে আমাদের টোকেন আর USDT  দুটাই সুরক্ষিত থাকে। আর আমরা নিশ্চিন্তে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত সে টোকেনের উপরে ট্রেডিং করতে পারি।

 

আশা করি যে আজকেরে পোস্ট থেকে আপনারা সবকিছু বুঝে গেছেন যা বুঝানোর কথা ছিল।

আর অবশ্যই যারা আমার টেলিগ্রামে জয়েন করেননি জয়েন করে নিবেন।

https://t.me/freepremiumtips24

One thought on "আসুন জেনে নেই ক্রিপ্টো ট্রেডিংয়ের Liquidity/Liquidity Pool/Liquidity Locked এই তিনটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ টপিকস এর ব্যাপারে।"

  1. MD_Jakaria Contributor says:
    অসাধারণ 💓

Leave a Reply