একাদশ শ্রেনী/ কলেজে ভর্তির আবেদন
করুন অনলাইনেই । গতবারের মতো এবারো
একাদশ শ্রেণিতে ডিজিটাল সিস্টেম এ অনলাইন
এর ম্যাধ্যমে ভর্তি কার্যক্রম চলবে। ১২ মে
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে
একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা প্রকাশ
করেছে। ডিজিটাল পদ্ধতিতে এই ভর্তি সম্পন্ন
হবে। একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ ১০টি
কলেজের জন্য অনলাইনে আবেদনের
সুযোগ পাবেন। সরকারি-বেসরকারি
কলেজগুলোতে ২৬ মে থেকে একাদশ
শ্রেণিতে ভর্তির কার্যক্রম শুরু এবং ১০ জুলাই
ক্লাস শুরুর কথা আছে।
১০ জুলাই ক্লাশ শুরুর কথা আগেই জানিয়েছিলেন
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
ভর্তি নীতিমালায় বলা হয়েছে, সব শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানকে বাধ্যতামূলকভাবে অনলাইনে
শিক্ষার্থী ভর্তি করাতে হবে। টেলিটক
মোবাইল থেকে এসএমএস করেও আবেদন
করা যাবে।
*২৬ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত অনলাইন ও
টেলিটক মোবাইল থেকে এসএমএস করে
আবেদন করা যাবে। যারা ফল পুনঃনিরীক্ষণের
আবেদন করেছেন তাদেরকেও এই সময়ের
মধ্যে আবেদন করতে হবে।
১৬ জুন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য
মনোনীত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করা
হবে। বিলম্ব ফি ছাড়া ১৮ থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত
ভর্তি হওয়া যাবে।
আর বিলম্ব ফি দিয়ে ১০ থেকে ২০ জুলাই পর্যন্ত
ভর্তি হতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। একাদশের
ক্লাস শুরু হবে ১০ জুলাই।
নীতিমালায়ঃ
অনলাইনে ১৫০ টাকা ফি জমা দিয়ে সর্বোচ্চ ১০টি
কলেজে আবেদন করা যাবে। গত বছর
অনলাইনে একাধিকবার আবেদনের সুযোগ
থাকলেও এবার একবারই আবেদন করা যাবে।
তবে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করতে
প্রতি কলেজের জন্য ১২০ টাকা ফি দিতে হবে
শিক্ষার্থীদের।
অনলাইনে কীভাবে আবেদন করা যাবে সে
করবে বলে নীতিমালায় উল্লেখ করা
হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, কোনো কলেজ চাইলে
তাদের প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থী ভর্তিতে ন্যূনতম
যোগ্যতা নির্ধারণ করতে পারবে। স্কুল ও
কলেজ সংযুক্ত প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা
অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিজ প্রতিষ্ঠানে ভর্তির
সুযোগ পাবে।
বিভাগীয় সদরের কলেজে ভর্তির ক্ষেত্রে
সংশ্লিষ্ট কলেজের ৮৯ শতাংশ আসন সবার জন্য
উন্মুক্ত থাকবে বলে নীতিমালায় বলা
হয়েছে।
“অবশিষ্ট ১১ শতাংশ আসনের মধ্যে ৩ শতাংশ
সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় সদরের বাইরের এলাকার
শিক্ষার্থীদের জন্য, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা
কোটা এবং ২ শতাংশ শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর
অধীনস্ত দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিক্ষা
প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারী এবং স্ব স্ব
প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের
সন্তানদের জন্য সংরক্ষিত থাকবে।”
এছাড়া এবার থেকে প্রবাসীদের সন্তান এবং
বিকেএসপির শিক্ষার্থীদের জন্য শূন্য দশমিক ৫
শতাংশ করে কোটা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণরা যে
কোনো বিভাগে ভর্তি হতে পারবে। মানবিক
শাখা থেকে উত্তীর্ণরা মানবিকের পাশাপাশি
ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ভর্তি হতে পারবে। ব্যবসায়
শিক্ষায় শিক্ষার্থীরা ব্যবসায় শিক্ষা ও মানবিক
বিভাগে ভর্তি হতে পারবে।
জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে
সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বরের ভিত্তিতে
মেধাক্রম নির্ধারণ করা হবে।
*বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে সমান জিপিএ
প্রাপ্তদের মেধাক্রম সাধারণ গণিত, উচ্চতর গণিত
অথবা জীববিজ্ঞানে প্রাপ্ত জিপিএ বিবেচনায়
আনা হবে।
*আর মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে সমান জিপিএ
প্রাপ্তদের ভর্তির ক্ষেত্রে পর্যায়ক্রমে
ইংরেজি, গণিত ও বাংলায় অর্জিত গ্রেড পয়েন্ট
বিবেচনা করা হবে।
*এক বিভাগের প্রার্থী অন্য বিভাগে ভর্তির
ক্ষেত্রে মোট গ্রেড পয়েন্ট একই হলে
পর্যায়ক্রমে ইংরেজি, গণিত ও বাংলা বিষয়ে অর্জিত
পয়েন্ট বিবেচনায় আনতে হবে।
শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের কোনো
কলেজে ভর্তি হতে চাইলে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড
থেকে সনদের মান নির্ধারণ করে নিতে
হবে।
ভর্তি ফি
মফস্বল/পৌর (উপজেলা) এলাকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে
সেশনচার্জসহ সর্বসাকুল্যে এক হাজার টাকা, পৌর
(জেলা সদর) এলাকায় দুই হাজার টাকা এবং ঢাকা ছাড়া অন্য
মেট্রোপলিটন এলাকায় তিন হাজার টাকার বেশি ফি
নেওয়া যাবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় এমপিওভুক্ত শিক্ষা
প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী ভর্তিতে পাঁচ হাজার টাকার
বেশি নিতে পারবে না।
ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকায় আংশিক এমপিওভুক্ত
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন ও
এমপিও বর্হিভূত শিক্ষকদের বেতনভাতা দেওয়ার
জন্য ভর্তির সময় মাসিক বেতন, সেশন চার্জ ও
উন্নয়ন ফি বাবদ বাংলা মাধ্যমে নয় হাজার টাকা এবং
ইংরেজি মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ
করে দিয়েছে সরকার।
নীতিমালা অনুযায়ী, উন্নয়ন খাতে কোনো
প্রতিষ্ঠান তিন হাজার টাকার বেশি নিতে পারবে না।
দরিদ্র, মেধাবী ও প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী
ভর্তিতে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে ফি যতদূর
সম্ভব মওকুফ করতে বলেছে শিক্ষা
মন্ত্রণালয়।
কোনো শিক্ষার্থীর কাছ থেকে
অনুমোদিত ফি’র বেশি নেওয়া যাবে না উল্লেখ
করে নীতিমালায় বলা হয়েছে, অতিরিক্ত ফি
নিলে পাঠদানের অনুমতি, অ্যাকাডেমিক স্বীকৃতি
বাতিলসহ এমপিও বাতিল করে ওই প্রতিষ্ঠানের
সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
2 thoughts on "কলেজে ভর্তি হওয়ার জন্য যেভাবে ঘরে বসে আপনে নিজেই আবেদন করবে"