আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
কি হবে যদি সূর্যের উপর পানি ঢেলে দেওয়া যায় ?
কি ঘটবে যদি একটি বিশাল বালতির এক বালতি জল সূর্যের উপর ছড়িয়ে দেওয়া যায়। বহু বছর পর সূর্যের তেজস্ক্রিয় তা ও আলো দুটোই শেষ হয়ে যাবে এটা নিশ্চিত কিন্তু প্রশ্ন হল আমাদের কি হবে আমাদের পৃথিবীর কি হবে আনসার টা খুবই সিম্পল মানবজীবন ও আমাদের পৃথিবীর দুটোয় মারা যাবে আর এই মৃত্যু হবে যন্ত্রণাদায়ক।
তবে চিন্তার কোন কারণ নেই কারণ ভাগ্যবশত বা বলতে পারেন দুর্ভাগ্যবশত হিউম্যান অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে যাবে যেহেতু আমরা দেখতে পাবো না তাহলে কি আমরা সূর্যকে একটু আগেই নিভিয়ে দেয়ার চেষ্টা করতে পারি না মানে আগুন নেভানোর জন্য যা আমরা করে থাকি আর কি আছে বিশাল এক বালতি জল যদি সূর্যের উপর ঢেলে দেওয়া যায় তাহলে কি ঘটবে।
যদি সাধারণভাবেই আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করি এমন কি আছে যা সূর্যকে নেভাতে পারে যদি আমরা সমস্ত সূর্যালোকে নেই যা আমাদের পৃথিবীতে প্রতিদিন পৌঁছায় তবে আমরা যা এনার্জি যা শক্তি পাব তা প্রায় 170 ট্রিলিয়ন কিলোওয়াট এত পরিমাণ এনার্জি এত পরিমান শক্তি আমাদের পৃথিবীতে হাজার হাজার বছর ধরে চালানোর জন্য যথেষ্ট।
কিন্তু এটা কিছুই নয় সূর্য মোট যে এনার্জি তার চারিদিকে ছড়ায় সেটা আমাদের পৃথিবীতে পৌঁছায় এনার্জির ২ মিলিয়ন বেশি কিন্তু এত শক্তি এত এনার্জি সূর্য কোথায় ছড়ায় সাধারন আনসার মহাকাশে একবার ভাবুন এই শক্তি এই এনার্জিকে যদি আমরা ধরে রাখতে পারতাম তাহলে পেট্রোলের দাম বাড়লো কিনা গ্যাসের দাম কমলো কিনা সে সমস্ত কিছু নিয়ে আমাদের কোন মাথাব্যাথাই থাকতো না
এমনকি হয়ত ইলেকট্রনিক বিল ও আমাদের দিতে হতো না এবার এই সমস্ত ভাটের গল্প বাদ দিয়ে সাইনসে ফিরে আসা যাক রিলেটিভিটি থিওরি অনুযায়ী যদি কোন বস্তু থেকে শক্তি বা এনার্জি বেরিয়ে যায় তবে তার ভর কমতে থাকে সুতরাং সূর্য কিন্তু প্রতি সেকেন্ডে তার ভর বা বাংলা ভাষায় যাকে বলে ওজন হারাচ্ছে মোটামুটি চল্লিশ লক্ষ টন প্রতি সেকেন্ড মোদ্দা কথা হল সূর্যের ওজন কমছে।
কারণ সূর্য পুড়ে যাচ্ছে মানে সূর্য থার্মো নিউক্লিয়ার ফিউশন প্রক্রিয়া শক্তি উৎপাদন করছে সূর্য যদি পৃথিবীর মত সাইজের হতো তবে 50 হাজার বছরের মধ্যেই পুড়ে শেষ হয়ে যেত কিন্তু সূর্য পৃথিবী থেকে প্রায় 3 লক্ষ 50 হাজার গুণ বড় সুতরাং প্রতিদিন যদি 170 বিলিয়ন টন করে পড়ে তবে সূর্য প্রায় 10 মিলিয়ন বছর ধরে পড়তে পারে অর্ধেক সময় তো প্রায় হয়েই গেল।
মানে আমাদের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে এখনো 5 বিলিয়ন বছর আছে ভাবার জন্য তারা কি করবে ওই ধ্বংসাত্মক ঘটনা থেকে বাঁচার জন্য না-না-না-না-না এত দেরি করা যাবে না তাই আমার মাথায় এলো যদি বড় এক বালতি জল সূর্যের ওপর ঢেলে ওটাকে নেভানো যায় তাহলে সবথেকে বড় সমস্যা হল বালতিটা খোঁজা যেটা আমার মনে হয় পাওয়া সম্ভব নয়।
আচ্ছা ধরে নিচ্ছি বালতিটাও আছে আর সূর্যের উপর সেই জল ছড়ানোর প্রযুক্তি ও আছে কিন্তু কি হবে তারপর এর একুরেট উত্তর কোন এস্টোফিজিস্ট কি দিতে পারবে তাও কোন স্পেশাল সফটওয়্যার ব্যবহার করে কারণ এরকম ঘটনা প্রকৃতিতে আগে ঘটেনি আর ঘটবে বলে মনে হয়না নরমালি আমাদের পৃথিবীতে যদি কিছু করে তবে তার জলন প্রক্রিয়ায় করে। যার জন্য তিনটি প্রধান উপাদান প্রয়োজন ইন্দন, বাতাস ও উত্তাপ।
যদি আমরা কোন জলন্ত জিনিসকে জল দিয়ে নেভায় তবে ওই জল ইনধোনের উপর একটি লেয়ার তৈরি করে যার ফলে আগুনটা নিভে যায় কিন্তু মহাকাশের ব্যাপারটা একটু আলাদা কারণ সেখানে বাতাস নেই জল থার্মো নিউক্লিয়ার ফিউশন আটকাতে পারবেনা সে আমরা যতই জল ব্যবহার করিনা কেন সূর্যকে নেভানো যাবে না যতক্ষণ ওর ফিউশন রিএকশন চলতে থাকবে।
সোজাসুজি বললে সূর্য জলকেও কেউ পুড়িয়ে ফেলতে পারে সুতরাং যদি আমরা বড় বালতির এক বালতি জল সূর্যের উপর ঢালি সূর্য আরো উত্তপ্ত হয়ে উঠছে আরও ছয় গুণ উজ্জ্বল হয়ে উঠবে জলের মধ্যে 89 শতাংশ অক্সিজেন থাকে আর সূর্যের ঘনত্ব জলের থেকে প্রায় দেড় গুণ বেশি অতএব জলের আয়তন সমান সূর্যের আয়তন একসাথে মিশিয়ে 0.7 গুন ওজন বাড়িয়ে দেবে সূর্য।
তার ফলে যে নতুন নক্ষত্রটা তৈরি হবে তা সূর্যের প্রায় দিগুণেরও বড়। তবে যাই হোক আমরা যতই পানি ঢালিনা কেন সূর্যকে আমরা নেভাতে পারবোনা। যত পানি ঢালবো সূর্য আগের থেকে আরো বেশি শক্তিশালী ও উত্তপ্ত হয়ে উঠবে। আর আমরা পৃথিবীর উপর দাড়িয়ে দেখবো এক নতুন সূর্যের জন্ম যা আগের থেকে আরো বড় আরো উত্তপ্ত।
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
লিখেছেন , সময় নষ্ট । পড়বেন , সময় নষ্ট ।