আসসালামু আলাইকুম,
সকলে কেমন আছেন…??
আশাকরি সবাই ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছি।আর যারা নিয়মিত ট্রিকবিডির সাথে থাকেন তাদের ভালো থাকারই কথা। কেননা এখান থেকে আমরা প্রতিনিয়ত অনেক অজানা বিষয়গুলো জানতে ও শিখতে পারি।
আজকের পোষ্টে আপনাদের মাঝে নবম শ্রেণির ৬ষ্ঠ সপ্তাহের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এ্যাসাইনমেন্টের উত্তরপত্র শেয়ার করতে করতে যাচ্ছি। যারা নবম শ্রেণির স্টুডেন্ট তারা পোষ্টটি সম্পূর্ণ পড়ুন কেননা ১০০% নির্ভুলসহকারে সমাধান দেওয়া হয়েছে। তাই আপনি ঠিকভাবে খাতায় লিখলে সম্পূর্ণ মার্কসটিই পাবেন।

এ্যাসাইনমেন্ট শিরোনামঃ তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি এবং আমাদের বাংলাদেশ।

★যে প্রশ্ন দেওয়া হয়েছে দেখুন

উত্তরঃ বর্তমানে কোভিট ১৯ পরিস্থিতিতে শিক্ষা কার্যক্রম চলমান রাখার ক্ষেত্রে ই-লার্নি এর ভূমিকা বিষয়ক ২৫০ শব্দের মধ্যে একটি প্রতিবেদন তৈরি করে নিম্নে উপস্থাপন করা হলো।

ভূমিকা:

শিক্ষা এবং জ্ঞান হলাে মানুষের জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। এই মহামূল্যবান সম্পদ ভিন্ন কোনাে মানুষই জীবনে সম্পূর্ণতা লাভ করতে

পারে না। শিক্ষা শুধুমাত্র বইয়ের পাতায় কিংবা চার দেওয়ালের বন্ধনীতে আবদ্ধ নয়। শিক্ষার প্রকৃত রূপ হল ব্যাপক। কিন্তু সাবেকি শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে শিক্ষার এই ব্যাপক রূপের উন্মেষ ঘটতে পারে না।

সেই কারণেই আধুনিক যুগের সূচনা কাল থেকে বিভিন্ন শিক্ষাবিদরা শিক্ষার পাঠ্যক্রমগত এবং পদ্ধতিগত উন্নয়নের কথা বলেছেন। সেই সঙ্গে

আরও জোরদার হযেছে সমাজের সর্বস্তরে শিক্ষার ব্যাপক প্রসার এর প্রযােজনীযতার দাবী। এমতাবস্থায় তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তির ব্যাপক

প্রসারকে কাজে লাগিযে শিক্ষাব্যবস্থার রঙ্গমঞ্চে আবির্ভাব ঘটেছে ই-লার্নিং পদ্ধতির।

এই পদ্ধতিকে কাজে লাগিয়ে অভিনব উপায়ে সৃজনশীল পদ্ধতির দ্বারা পৃথিবীর যেকোন প্রান্ত থেকে অন্য যেকোন প্রান্তে বিশ্বমানের শিক্ষার

প্রচার ও প্রসার সম্ভব। এই ধরনের শিক্ষার মাধ্যমে একদিকে শিক্ষার্থীদের সৃজনমূলক প্রতিভার যেমন বিকাশ ঘটে,আবার অন্যদিকে শিক্ষার পথে সকল বাধাকে অতিক্রম করে অত্যন্ত সহজে যেকোনাে জাযগায়,যে কোন সমযে, যেকোনাে মানুষের কাছে শিক্ষাকে পৌঁছে দেওয়া যায়। সেকারণে একবিংশ শতকে শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারের আধুনিকতম মাধ্যম হিসেবে সংযােজিত হযেছে ই লার্নিং পদ্ধতি।

করােনাকালে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু না রাখার যৌক্তিকতা:

পৃথিবীর ইতিহাসে ২০২০ একটি চিরস্মরণীয় বছর হযে থাকবে। এই বছর করােনা নামক এক ভয়ঙ্কর ভাইরাসের থাবা প্রাণ কেড়ে নিযেছে বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের। এই ভাইরাস এতটাই সংক্রামক যে মুহুর্তের মধ্যে মানুষ থেকে মানুষে রােগ ছড়িয়ে পড়ছে। সেজন্যেই বিশ্বব্যাপী

ঘােষিত হযেছে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন।

সামাজিক দূরত্ববিধি না মেনে এই ভাইরাসঘটিত রােগ থেকে রক্ষা পাওয়ার আপাতত আর কোন উপায় নেই। পৃথিবীজুড়ে সমস্ত প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সময় বন্ধ হয়ে গিযেছে। করােনা ভাইরাসের প্রকোপ খানিকটা কমলেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে আবার আগের মতন করে

চালানাের ঝুঁকি নেওযা যায় নি। কারণ এই সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি পূর্বের মতন চালু থাকলে শারীরিক দূরত্ববিধি বজায় রাখা আদৌ সম্ভবপর হবে না। আর ছাত্র-ছাত্রীরা হল পৃথিবীর ভবিষ্যৎ

এই মারণ ভাইরাসের প্রকোপকালে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে পুনরায় ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম চালু রাখার ঝুঁকি নেওযার অর্থ হলাে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাস্থ্য তথা ভবিষ্যতকে এক চরম অনিশ্চয়তার মুখে ঠেলে দেওয়া। সে কারণে এমতাবস্থায় স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম পুনর্বহাল

করার মতন ঝুঁকি নেওযা একেবারেই যুক্তিযুক্ত হতে পারে না।

ই লার্নিং এর ধারণা:

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলি বন্ধ হয়ে স্বাভাবিক শ্রেণী কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য অস্থায়ীভাবে স্তব্ধ হয়ে গেলেও শিক্ষার প্রচার এবং প্রসারকে থেমে

থাকতে দেওযা যায় না। এইরকম সমযেই ঘরে ঘরে বিশ্বমানের শিক্ষা পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে উঠে এসেছে ই-লার্নিং এর ধারণা। তবে ই লার্নিং

এর এই ধারণা পুরােপুরি মহামারী পরিস্থিতি থেকে উদ্ভূত ফল নয়। এই মহামারীর বহু আগে থেকেই দূরবর্তী শিক্ষা, মুক্ত শিক্ষাব্যবস্থা,সৃজনমূলক শিক্ষা তথা শ্রেণী কার্যক্রমের সমান্তরাল কোচিং ক্লাস ইত্যাদি ক্ষেত্রে আধুনিক তথ্য ও যােগাযােগ প্রযুক্তিকে কাজে লাগিযে ই-লার্নিং এর ব্যবহার প্রচলিত ছিল। এই মহামারীর কালে ই লার্নিং এর প্রয়োজনীয়তার ব্যাপকতা অনুভূত হয়েছে মাত্র। 

ই লার্নিং এর সুবিধাসমূহ:

ই-লার্নিং পদ্ধতির অসংখ্য সুবিধাগত দিক রয়েছে। সেইসব দিকগুলির কথা ইতিপূর্বে প্রচলিত থাকলেও তা অত্যন্ত সীমিত পরিসরে আবদ্ধ ছিল।

বর্তমানে ই লার্নিং বা ইলেকট্রনিক লার্নিং ব্যবস্থার ব্যাপক প্রসারের ফলে

সমাজের সর্বস্তরে এর সুবিধাগুলি বিশেষভাবে অনুভূত হচ্ছে। তেমনি বিশেষ কয়েকটি সুবিধার কথা নিম্নে উল্লেখ করা হলাে।

১)ই লার্নিং পদ্ধতিতে যেকোনাে স্থানে বসে ইন্টারনেট সংযােগ ব্যবহার করে পাঠ গ্রহণ করা যায়। অর্থাৎ দূরত্ব শিক্ষা গ্রহণে বাধা হযে দাঁড়াতে

পারে না।

২)এই পদ্ধতিতে একজন দক্ষ শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাছে অত্যন্ত বিস্তারিতভাবে কোন বিষযকে অডিওভিজুয়াল-এর মাধ্যমে ব্যাখ্যা

করতে পারেন।

৩)একসাথে সামাজিকভাবে সমবেত হওয়ার প্রযােজনীযতা না থাকায় বয়সও শিক্ষা গ্রহণের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না।

৪) ই লার্নিং পদ্ধতিতে শিক্ষা গ্রহণ করবার খরচ তুলনামূলক ভাবে কম হওয়ায় সমাজের সর্বস্তরে এই পদ্ধতিকে প্রযােগ করে শিক্ষাবিস্তার

সম্ভব। এই পদ্ধতিকে ব্যবহার করে সামাজিকভাবে সমবেত হওযার প্রয়োজনীয়তা ফুরানাের ফলে কোভিড-১৯ এর মতন যে কোনাে সংক্রামক ব্যাধি এড়ানাে সম্ভব।

ই লার্নিং এর বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ সমুহ:

যেকোনাে নতুন ধরনের আধুনিক ব্যবস্থা বাস্তবায়নের পথে বিভিন্ন ধরনের প্রতিকূলতা কাজ করে। ই-লার্নিং পদ্ধতিও তার ব্যাতিক্রম নয়।

ইতিপূর্বে সীমিত কিছু স্তরে এই পদ্ধতি প্রচলিত থাকলেও শিক্ষার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে এই পদ্ধতির প্রযােগ বর্তমান মহামারীর কালেই প্রথম।

সুবিধাজনক এই পদ্ধতিটিকে বাস্তবে রূপদান করতে গিযে সমাজকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মুখােমুখি দাঁড়াতে হয়েছে। তেমনি কয়েকটি হলাে:-

১)ই লার্নিং পদ্ধতি সমাজের অধিকাংশ মানুষের কাছেই একেবারে নতুন ধরনের হবার ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উভয়কেই এই পদ্ধতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার জন্য বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

এখনাে অবধি তৃতীয় বিশ্বের অধিকাংশ দেশে সর্বস্তরে ইন্টারনেট সংযােগ না পৌঁছনাে প্রান্তিক অঞ্চলের সেইসব মানুষের পক্ষে ই-লার্নিং এর সুবিধা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না।

২)তাছাড়া বিশেষত তৃতীয় বিশ্বের বহু মানুষ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হওয়ার কারণে অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণ এখনাে তাদের কাছে বিলাসিতাস্বরূপ।

ই লার্নিং এর মাধ্যমে কাঙ্খিত দক্ষতা অর্জন:

বর্তমানে শিক্ষার মূল লক্ষ্য হলাে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে নির্ধারিত পাঠ্যক্রমের মাধ্যমে বিশেষ দক্ষতা অর্জন করা যা একজন শিক্ষার্থীর ভবিষ্যৎ-এর

পথকে প্রশস্ত ও মসৃণ করবে। ই লার্নিং পদ্ধতির প্রযােগের প্রথম দিকে মনে করা হতাে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীর মুখােমুখি মিথস্ক্রিয়া না হওয়ার

দরুণ এই পদ্ধতির মাধ্যমে নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কাঙ্ক্ষিত দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব নয়।

তবে এই ব্যবস্থা যত প্রসারিত হযেছে ততই ই লার্নিং সম্বন্ধে ভুল ধারণা মানুষের মন থেকে অপসারিত হয়েছে। বর্তমানে প্রমাণ হয়ে গেছে

মুখােমুখি মিথস্ক্রিযার না হওয়া সত্ত্বেও ই লার্নিং পদ্ধতিতে অডিও-ভিজুয়াল প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে প্রথাগত শিক্ষা পদ্ধতির থেকে আরাে ভালাে ভাবে কোন বিষযকে উপস্থাপন করা যায়। ফলে ই লার্নিং পদ্ধতি সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কোনাে ব্যক্তির কাঙ্খিত দক্ষতা

অর্জনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। বরং সুবিধা অনুযায়ীরেকর্ডেড ক্লাস,শিক্ষাগত উপাদান-এর সহজলভ্যতা,শিক্ষার বহুমুখী

রূপের প্রসার ইত্যাদির দ্বারা এই পদ্ধতিতে মানুষের ব্যক্তিগত দক্ষতায পূর্বের তুলনায় আরও বেশি বৃদ্ধি ঘটানাে যায়।

স্বাভাবিক সময়ে শিক্ষা সহায়তা হিসেবে ই-লার্নিং এর সম্ভাবনা:

ই লার্নিং পদ্ধতিকে এই করােনা মহামারী কালে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হলেও এই পদ্ধতি স্বাভাবিক সমযেও শিক্ষার প্রসারে এবং

কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভাবে ফলপ্রসূ হতে পারে। এই পদ্ধতিকে ব্যবহার করে তৃতীয় বিশ্বের দেশ গুলি স্বল্প খরচে দেশের প্রান্তিক

অঞ্চলেও শিক্ষার বিকাশ ঘটাতে পারে।

তাছাড়া এই পদ্ধতি অবলম্বন করে শিক্ষাগত বিষয়বস্তুর আকর্ষণীয় উপস্থাপনা শিক্ষার্থীদের কাছেও কোন কঠিন বিষয়কে সহজভাবে

উপস্থাপিত করতে সাহায্য করছে। এছাড়া উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালযগুলি ই-লার্নিং পদ্ধতিকে প্রযােগ করে দূরবর্তী স্থানে

বিশ্বমানের শিক্ষা প্রদান করতে পারে। বর্তমানকালে বিশ্বব্যাপী ইন্টারনেট সংযােগের ব্যাপক প্রসার ভবিষ্যতে ই লার্নিং পদ্ধতির

সম্ভাবনাময় বিস্তারের ইঙ্গিতই বহন করে।

উপসংহার:

ই-লার্নিং বা ইলেকট্রনিক লার্নিং পদ্ধতি হলাে ভবিষ্যতের জন্য অনন্ত সম্ভাবনাময় একটি শিক্ষা ব্যবস্থা। একথা সত্য যে এই ব্যবস্থাকে

বাস্তবায়নের পথে অসংখ্য বাধা এবং বিপত্তি রযেছে এবং আরাে উদ্ভূত হবে। কিন্তু সেই বাধা-বিপত্তিগুলিকে দূর করে ই-লার্নিং-এর চূড়ান্ত

সুবিধাগত দিকগুলি সকলের মধ্যে প্রসারিত হলে তবেই সমাজ শিক্ষা বিস্তারের সার্থক আলােয় আলােকিত হবে।

আশাকরি এ্যাসাইনমেন্ট উত্তর পেয়ে গেছেন । ভালোভাবে বুঝতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

“প্রতিনিয়ত সবার আগে সকল সকল শ্রেণির এ্যাসাইনমেন্টের উত্তরপত্র পেতে হলে সাবস্ক্রাইব করুন আমার ইউটিউব চ্যানেল SK TECH VOICE
★ইউটিউবে গিয়ে সার্চ করলেই চ্যানেলটি পেয়ে যাবেন।”

★★যেকোনো সমস্যার সমাধানের জন্য আমাদের টেলিগ্রাম গ্রুপে জয়েন করুনঃSK TECH VOICE

সকলে ভালো থাকুন,সুস্থ থাকুন {{খোদাহাফেজ}}

Leave a Reply