আসসালামুয়ালাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করি সবাই ভালো আছেন।
১.শুদ্ধ নিয়ত।অর্থাৎ আপনার পড়ালেখা করতে বসার মুল কারণ কি?যদি উদ্দেশ্য হয় শেখানো তবে দিন শেষে সেটাই হহে,যদি নিয়ত হয় শিখার তাহলে দিন শেষে সেটাই হবে,যদি লেখাপড়া করতে বসার কারন হয় কাউকে দেখানো র উদ্দেশ্যে তাহলে দিন শেষে সেটাই হবে।অর্থাৎ আপনার নিয়ত বা উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে আপনার ফলাফল।
২.সহজতা পরিহার করুন।এটাই সোজা বাংলা কথা।ইমাম মুসলিম রহমাতুল্লাহ আলাই
বলেছেন ”আরামে কখনোই বিদ্যা অর্জন হয় না”কথা টা কিন্তু প্রকৃতপক্ষে প্রকৃত।অর্থাৎ প্রায় ই আপনি খেঁয়াল করবেন জীবনে এমন অনেক কিছুই যেমন ধনসম্পদ,ভালোবাসা,দায়িত্ব,আগ্রহ,মনোযোগ ইত্যাদি যদি আপনার কাছে সহজে আসে তাহলে সেটার প্রতি আগ্রহ থাকে না এবং সাময়িক থাকে এবং টিকতে পারে না।ধরেন আপনি,
বাজারে গেলেন লাল শাক কিনতে।একটা বুড়া মানুষ টাটকা লাল শাক বেচ্ছে ১০ টাকার ৬ আটি,আপনি মনে করলেন ক্রেতা নাই বুলি ৬টা,,,আরেকটু পর আসলে ১০ টাকায় ৭,৮টা দিতে পারে কিন্তু পরে আসে দেখলেন শেষ,তখন ই আপনাকে পাশের দোকান হতে ১০টাকার ৪টা লাল শাকের আটি কিনতে হলো।তো এই হলো মুল প্রসঙ্গ মানুষ সহজকে মনে রাখতে পারে না।
৩.পড়ার মূল বিষয় মুখস্থ করা।
তাহলে অন্যান্য বিবরণ এমনিতে মনে থাকবে।
অপ্রয়জনীয় বা সৃজনসীল কোন কিছু মুখস্থ করবেন না।যেমন বাংলা সাহিত্য,অংকের উত্তর এগুলো অনুধাবনমূক যা বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে পরিক্ষা নিরিক্ষার পর বের করতে হয়।
৫.আগেও বলেছি সহজাত প্রবৃত্তির চাবি হতে পারে,তাই সহজাত পরিহার করুন।যেখানে জ্ঞান শিখা হয় সেখানে জ্ঞান শিখুন,যেখানে জ্ঞান শিখানো হয় সেখানে জ্ঞান দিন। আলাদা দুটি কক্ষ বানান, একই টেবিলে দুটি কাজ অতো সোজা নয়!
আরেকটি কথা ফুসকা,চটপটি,ফাস্ট ফুড বেশি না খেয়ে বাদাম কিনে খান। এছাড়া দান ছদকা করুন ভাগ্য খুলে যেতে পারে!
আজ এখানেই সমাপ্তি। দেখা হবে অন্য কোন দিন ইনশাআল্লাহ। ধন্যবাদ এতক্ষণ পোস্ট টি পড়ার জন্য।