আমাদের জীবনের প্রধান একটি অংশ হল ছাত্রজীবন। বিদ্যার্জনের জন্য মনবজীবনের যে অংশ শিক্ষাঙ্গণে ব্যয় করা হয়, তাকে ছাত্রজীবন বলে।
ছাত্রজীবনের গুরুত্ত্বঃ
এটাই এখন সময় যখন একজন ছাত্র জ্ঞান অর্জন এবং ভবিষ্যত জীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করে। এ জীবনের প্রস্তুতির উপর ছাত্রের ভবিষ্যত নির্ভর করে। যদি সে সময়ের সদ্ব্যবহার করে, সে সুখী হবে। আর যদি সে সময়ের সদ্ব্যবহার না করে এবং তার কাজ সঠিকভাবে না করে তবে তাকে অবশ্যই জীবনে কষ্ট ভোগ করতে হবে।
মনুষ্য জীবনে বপনের সময়ঃ
ছাত্র জীবনকে বলা হয় মনুষ্য জীবনের বপনের সময়। যদি একজন ছাত্র বাল্যকালে এবং যৌবনে জ্ঞানের বীজ বপন করতে পারে, সে পরবর্তী জীবনে অবশ্যই ভাল ফসল কাটতে পারবে এটা নিশ্চিত। যদি সময়ের সদ্ব্যবহার করে যাথাযথ তার কাজ সম্পন্ন না করে, সে অবশ্যই অনুতপ্ত হবে।
একজন ছাত্রের প্রথমিক কর্তব্যঃ
ছাত্রজীবনের প্রাথমিক কর্তব্য হল বিদ্যা অর্জন করা। কোন ছাত্র ঠিকমত তার পাঠ শিখলে, সে জীবনে উন্নতি করবে। তাই পড়াশুনা হল একজন ছাত্রের একমাত্র ধ্যান-ধারণা। ছাত্র জীবনে চরিত্র গঠন করা যায়। মহাপুরুষদের মহান আদর্শ তার অনুকরণ করা উচিত। এতে মানবজীবনের মুকুট নামক চরিত্র সে গঠন করতে পারবে।
অন্যান্য কাজেঃ
দেশের শান্তি, শৃঙ্খলা ও উন্নতির জন্য ছাত্রদের কাজ করা উচিত। সব দিক দিয়ে তারা লোকদের সহায়তা করতে পারে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের সময় তারা দূর্গতদের সাহায্যার্থে এগিয়ে আসতে পারে।
শেষ কথাঃ
ছাত্র তার গুরুজনকে মান্য করবে, খারাপ সংগ বর্জন করবে এবং ভাল ভাল বই পড়বে। তাকে বদ অভ্যাস পরিহার করতে হবে। মোট কথা, উত্তম বীজ বপনের এটাই একমাত্র সময়।
সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন, ভালো লাগলে আমার TechlikeBD.Com সাইট টায় ঘুরে আসতে পারেন। আল্লাহ হাফেজ।
2 thoughts on "ছাত্রজীবন- ছাত্রজীবনের দায়িত্ব ও কর্তব্য"