পবিত্র রমজান মাস শুরু হওয়ায় অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে। 

তবে চিন্তা করবেন না কারণ এই পোস্টে রমজান মাসে কীভাবে পড়াশুনা করতে হয় সে সম্পর্কে অনেক ইনফরমেশন দিয়েছি আশা করি এই পোস্টটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে।

আপনি যখন রোজা রাখেন এবং সারাদিন না খেয়ে থাকেন, তখন বেশিরভাগ শিক্ষার্থীর মনে হয় যে তাদের মস্তিষ্ক আর কাজ করছে না । অলস ভাব এবং ঘুম ঘুম ভাব ফিল করে । এর কারণ হল আপনার শরীরে কম শক্তি থাকে, আপনার মস্তিষ্ক স্লো হয়ে যায়।

সময় এবং শক্তি মানেজ করা

যখন আপনাকে রোজা রাখতে হবে এবং পরীক্ষার জন্যও প্রস্তুতি নিতে হবে, তখন পড়াশোনার জন্য সঠিক সময় নির্ধারণ করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। রমজান এবং পরীক্ষার সময় ম্যানেজ একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। রমজানে আপনার কাছে দুটি সময় সূচি থাকে যখন আপনি সেহেরী এবং ইফতারের সময় খেতে পারেন।

আপনি খাওয়া শেষ করার সাথে সাথে আপনার শরীরে শক্তি আসবে এবং আপনার শক্তি থাকলে আপনি আরও ভালভাবে পড়াশোনা করতে পারবেন। তাই সেহরির পর ঘুমানোর কথাও ভাববেন না। তখন বই নিয়ে পড়াশোনা করতে পারেন ।

আমরা জানি যে সেহেরীর পরে বিছানায় গিয়ে একটি আরামদায়ক ঘুম দেওয়া যায় , তবে আপনি সেই সময়টাতে পড়াশোনা করতে পারেন ভোর পর্যন্ত।

আরেকটি পরামর্শ হল আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য জন্য ভোরে পড়াশুনা করুন। এবং এবং সারাদিন পড়াশোনা থেকে বিরত থাকুন কারণ দিনের বেলায় মস্তিষ্কের জন্য অনেক শক্তির প্রয়োজন হয় । আপনি ইফতারের পরে সতেজতা অনুভব করবেন তখন পড়াশোনা করতে পারেন ।

এককথায়, সেহেরী ও ইফতারের পর পড়াশুনা করবেন কেবল তখনই আপনার মস্তিষ্ক বেশি একটিভ থাকবে ।

পড়াশোনার স্থান পরিবর্তন করুন

বাড়ির চারপাশে হাঁটার সময় পড়াশুনা করার পরামর্শ দেওয়া হয় । আপনি আপনার বন্ধুদের কল করতে পারেন যে কোন সাহায্যের জন্য বা ধারণার কোন বা বিভ্রান্তি দূর করতে।

আপনি আপনার পরীক্ষার প্রস্তুতি সম্পর্কিত বিষয় গুলো নিয়ে যত ভাবনা চিন্তা করবেন , আপনার মন তত বেশি পড়াশোনার দিকে আগ্রহ হবে ।

পড়াশুনার স্থান পরিবর্তন করা, বাড়ির চারপাশে হাঁটা বা প্রতি আধ ঘন্টা বা ঘন্টায় স্ট্রেচিং আপনার শরীর ও মনকে সচল রাখবে।

শক্তি বাড়াতে সঠিক খাদ্য

যদিও আমরা সবাই রমজান মাসে ভাজাপোড়া, সুস্বাদু খাবারের স্বাদ পছন্দ করি, এটি আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকারক হতে পারে। সেহেরী এবং ইফতারের সময় স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে আপনার পড়াশুনা ভালো হবে ।  স্বাস্থ্যকর খাবার শরীরে দীর্ঘ সময় শক্তি যো যোগায়।

তাই আপনাকে দীর্ঘস্থায়ী শক্তি দেওয়ার জন্য তাজা ফল, তাজা জুস এবং প্রোটিন যুক্ত ও সুষম খাবার দিয়ে আপনার পেট করতে হবে । মনে রাখবেন আপনি এই ধরণের ভাজা খাবার এবং জাঙ্ক ফুডে পেট ভরলে পড়াশোনা করতে পারবেন না। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার সময় বাড়তি মানসিক চাপ কমানো যায় সাধারণ খাবার খেলে।

ঠিকভাবে রেস্ট নিন

শুয়েবসে থাকায় অধিকাংশ মানুষ রমজানে অলসতা অনুভব করেন। নিয়মিত ঘুম এবং ব্যায়াম রুটিনের অভাব আপনাকে অলস বোধ হতে পারে। প্রশ্ন মনে না থাকার কারণে স্টুডেন্টরা মানসিক চাপে ভুগেন । তাই অনেকে একই প্রশ্নের জন্য অনেক সময় ব্যায় করে ।

আপনার পড়াশোনার সময় আপনাকে কিছু বিরতি নিতে হবে, বাইরে যেতে হবে এবং কাছাকাছি কোনো পার্কে জগিং বা হাঁটাহাঁটি করতে হবে। মনে রাখবেন ভিটামিন ডি আপনার মস্তিষ্কের জন্য সুপারফুড হিসেবে কাজ করে।

আমরা আশা করি এই টিপসগুলি আপনাকে রমজান মাসে আপনার পড়াশোনা করতে অনেক সহায়তা করবে।

রমজান মোবারক, আপনাকে আপনার পরীক্ষার জন্য শুভ কামনা করছি

Leave a Reply