বাংলাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন
দেশে গতকাল সোমবার ফেসবুকের
‘সেফটি চেক’ নোটিফিকেশন পেয়ে
অনেক ব্যবহারকারীই মোটামুটি চমকে
উঠেছেন। অনাকাঙ্ক্ষিত এমন কী ঘটনা
ঘটল—এমন দুশ্চিন্তায় ছিলেন অনেকেই।

তবে নোটিফিকেশনটি ছিল
পাকিস্তানের লাহোরে বোমা
হামলার ঘটনায় ঘটনাস্থলের আশপাশের
মানুষ নিরাপদ আছেন কি না, এমনটা
বন্ধুতালিকার সদস্যদের জানানোর জন্য।
কিন্তু লাহোর তো বটেই, এমনকি
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ অনেক দেশের
ব্যবহারকারীরা একই নোটিফিকেশন
পেয়েছেন। যাঁরা মোবাইল ফোনে
খুদে বার্তা পেয়েছেন, তাঁরা
সবচেয়ে বেশি বিচলিত হয়ে পড়েন।

কারণ, তাতে লেখা ছিল ‘আপনি কি

এই বিস্ফোরণে আক্রান্ত হয়েছেন?’
ফেসবুকে ডিজাস্টার রেসপন্স পাতায়
এক লেখায় ফেসবুকের পক্ষ থেকে ক্ষমা
চেয়ে বলা হয়, ‘এই ধরনের ভুল আমাদের
অনিচ্ছাকৃত। আমরা দ্রুত সমাধান করার
চেষ্টা করেছি এবং আমরা সেই সব
ব্যবহারকারীর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি,
যাঁরা ভুল করে এমন নোটিফিকেশন
পেয়েছেন।’

২০১৪ সালের অক্টোবরে ফেসবুক সেফটি
চেক সুবিধা চালু করে। দুর্ঘটনাকবলিত
এলাকার ফেসবুক ব্যবহারকারীরা এই
সুবিধার মাধ্যমে বন্ধুতালিকার
সদস্যদের জানাতে পারে যে সে
নিরাপদ আছে কি না।

স্বয়ংক্রিয় এই সেফটি চেক সুবিধা
মাঝেমধ্যেই অবশ্য ভুল করে বসে, বিশেষ
করে ভূমিকম্পের মতো বড়সড় কোনো
দুর্ঘটনায়, যেখানে এ ধরনের ভুল জনমনে
আতঙ্ক সৃষ্টি করতে পারে। আবার সব
দুর্ঘটনায় সেফটি চেক চালু না করাতেও
সমালোচিত হয় ফেসবুক। উদাহরণ

হিসেবে বলা যায়, গত নভেম্বরে
প্যারিস হামলায় সুবিধাটি চালু করা
হলেও বৈরুত বোমা হামলায় তা চালু
করা হয়নি। প্রধান নির্বাহী মার্ক
জাকারবার্গ পর্যন্ত এ জন্য ক্ষমা
চেয়েছিলেন।

ধন্যবাদ


তথ্য প্রযুক্তি সেবায়, আপনাদের পাশে।

…♦ ♦….(ফেসবুকে আমি)..♦…♦.

Leave a Reply