বর্তমান যুগে প্রযুক্তিবান্ধব লোকের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থাকবে না, এমনটা হতেই পারে না। সবাই এই সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমটি প্রতিদিন ব্যবহার করছেন, নিজের মনের অনুভূতি প্রকাশ করছেন, ছবি আপ করছেন, এমনকি ভিডিও চ্যাট বা লাইভও করছেন। তারপরও কিছু জরুরি সেটিংস কিন্তু অগোচরে রয়ে যেতে পারে। এই সেটিংসগুলো সম্পর্কে জানলে আপনার ফেসবুক ব্যবহার হয়ে উঠতে পারে আরো আনন্দময় ও সুবিধাজনক। অনলাইন গণমাধ্যম ব্রাইট সাইডের সৌজন্যে চলুন দেখে নিই ১০টি জরুরি, কিন্তু কম ব্যবহৃত সেটিংসের কথা।
১.পড়ুন গোপন মেসেজ
খুব কম লোকই জানেন যে ফেসবুকের দুটি ইনবক্স রয়েছে। একটি আপনার বন্ধুদের মেসেজ পড়ার জন্য; অন্যটি তাঁদের মেসেজ পড়ার জন্য, যাঁরা আপনার ফেসবুকের বন্ধু নয়। যদি দ্বিতীয় ইনবক্স সম্পর্কে এখনো আপনি না জানেন, তাহলে সম্ভবত আপনাকে প্রতিনিয়ত ফাঁকি দিয়ে যাচ্ছে আপনার ফেসবুক ফ্রেন্ডলিস্টে না থাকা অন্যদের আমন্ত্রণ ও বিভিন্ন ঘটনা। এই মেসেজগুলো পড়তে হলে আপনাকে ক্লিক করতে হবে ফেসবুকের ‘মেসেজ আইকনে’, সেখান থেকে ‘মেসেজ রিকোয়েস্টে ক্লিক’ করে ‘সি ফিল্টারড রিকোয়েস্ট’ ক্লিক করলেই দেখতে পাবেন গোপন মেসেজগুলো।
২. শেষ কোথায় লগইন করেছিলেন
বন্ধুর বাসার কম্পিউটার থেকে লগইন করেছেন? লগআউট দিয়েছেন কি না খেয়াল নেই? ভয় পাওয়ার কিছুই নেই। ফেসবুকের ‘সেটিংসে’ যান। বাঁ দিকের তালিকায় থাকা ‘সিকিউরিটি’ অপশনটি ক্লিক করে নির্বাচন করুন ‘হোয়ের ইউ লগড ইন’। এবার লগআউট দেওয়ার জন্য ক্লিক করুন ‘এন্ড অ্যাকটিভিটি।’ ব্যস, আর কোনো চিন্তার কারণ নেই।
৩. ফেসবুক আইডির নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করা
যদি আপনার ফেসবুকের নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে সন্দেহ থাকে, তাহলে নিতে পারেন বাড়তি নিরাপত্তাব্যবস্থা। ‘সিকিউরিটি সেটিংস’ থেকে ব্যবহার করতে পারেন ‘লগইন অ্যাপ্রুভালস।’ এই নিরাপত্তাব্যবস্থা আপনাকে বাড়তি একটা পাসওয়ার্ড পাঠিয়ে দেবে আপনার যে মোবাইল ফোন নম্বরটি দেওয়া রয়েছে, সেই নম্বরে। এরপর যদি কখনো অন্য কোনো কম্পিউটার বা মোবাইল থেকে আপনার আইডিতে ঢোকার চেষ্টা করেন, তখন ওই বাড়তি পাসওয়ার্ডের প্রয়োজন পড়বে। কাজেই বুঝতেই পারছেন, সচরাচর যে ডিভাইস থেকে আপনি ঢোকেন ফেসবুকে, তার বাইরে অন্য কোনো জায়গা থেকে আপনার অ্যাকাউন্টে ঢুকতে চাইলেই পারা যাবে না, কারণ এ জন্য প্রয়োজন পড়বে বাড়তি আরেকটি পাসওয়ার্ডের।
৪. আপনার অবর্তমানে ফেসবুক অ্যাকাউন্টের দায়িত্ব
৫. মেতে ওঠা কিছু নস্টালজিয়ায়
মাঝেমধ্যেই আমাদের পুরোনো স্মৃতিগুলো হাতড়ে দেখতে ইচ্ছে করে। ইচ্ছে করে নিজেদের পুরোনো হাস্যকর ছবিগুলো দেখতে কিংবা সেরা বন্ধুদের সঙ্গে সেই পুরোনো কথোপকথনগুলো পড়তে। আপনার ইচ্ছে পূরণের জন্য আপনাকে একটা একটা করে আর মেসেজগুলো খুঁজতে হবে না। কেবল ‘এলিপসিস’ আইকনে (তিনটি ফোঁটা দেওয়া আইকন) ক্লিক করে ‘সি ফ্রেন্ডশিপ’ অপশনে ক্লিক করলেই পেয়ে যাবেন বন্ধুদের সঙ্গে আপনার ফেসবুকে কাটানো পুরোনো দিনগুলো।
৬. ফেসবুকে নিজের অতীত কার্যক্রম স্মরণ করা
ফেসবুকে পাচ্ছেন আপনার এ পর্যন্ত সর্বাধিক ‘লাইক’ পাওয়া বা ‘কমেন্ট’ পাওয়া যেকোনো পোস্ট। শুধু ক্লিক করতে হবে ‘ভিউ অ্যাকটিভিটি লগ’ বাটনে।
৭. অন্যের চোখে দেখুন নিজের অ্যাকাউন্ট
যদি আপনি জানতে চান, যাঁরা আপনার ফ্রেন্ডলিস্টে নেই, তাঁদের কাছে আপনার প্রোফাইলটা কীভাবে দেখা যাচ্ছে, তাহলে আপনাকে ক্লিক করতে হবে ‘এলিপসিস’ আইকনে (তিনটি ফোঁটা দেওয়া আইকন)। সেখান থেকে যেতে হবে ‘ভিউ অ্যাকটিভিটি লগ’, সেখানে ‘ভিউ অ্যাজ’ ক্লিক করলেই আপনি অন্যের চোখে নিজের অ্যাকাউন্টটি দেখতে পাবেন। অনেক সময় আমরা নিজের বয়স বা ঠিকানা, ফোন নম্বর এগুলো লুকিয়ে রাখি। জিনিসগুলো আসলেই ‘হাইড’ হলো কি না তা বোঝার জন্য এই পদ্ধতি প্রয়োগ করতে পারেন।
৮. যোগাযোগ হবে চোখে চোখ রেখে
ফেসবুক আপনাকে শুধু লিখিতভাবে কথা চালাচালি নয়, বরং সরাসরি দেখা, শোনা ও কথা বলার কাজটিও করতে পারবেন। ভিডিও চ্যাট বা দৃশ্যমান যোগাযোগের জন্য আপনাকে চ্যাটবক্সের ওপরে ক্যামেরার আইকনে ক্লিক করতে হবে। তাহলেই আপনি আপনার ফ্রেন্ডের সঙ্গে ভিডিও চ্যাট করতে পারবেন।
৯. পছন্দের পোস্টগুলো আগে রাখা
‘সি ফার্স্ট’ এবং ‘ক্লোজ ফ্রেন্ডস’ এ দুটি আইকন নিশ্চিত করে, আপনি যে বিষয়ে আগ্রহী, সে বিষয়গুলো যেন আপনার চোখ এড়িয়ে না যায়। ‘সি ফার্স্ট’ আইকনটি আপনার বাছাইকৃত পছন্দের মানুষগুলোর পোস্টগুলো আগে স্থান দিলেও সে আপনাকে তাদের নতুন পোস্টগুলো সম্পর্কে সজাগ করবে না, যেমনটা ‘ক্লোজ ফ্রেন্ডস’ আইকন করে থাকে।
১০. লিংক সঞ্চয় করুন, পরে পড়ুন
Gp free 100MB Internet
9 thoughts on "ফেসবুকের ১০ দরকারি বিষয় জানেন কি?"