হ্যালো Trickbd, আপনারা সবাই কেমন আছেন? আপনাদের আশীর্বাদে আমিও ভালো আছি। আজকের পোস্ট এ Facebook কি আসলেই আমাদের মনের কথা বুঝতে পারে? এ বিষয়ে আলোচনা করব।
চলুন শুরু করি –
মেসেঞ্জারে কথা বললাম একটি ব্র্যান্ডের মোবাইল নিয়ে, কিছুক্ষণ পরে ফেসবুকের নিউজ ফিডে ওই ব্র্যান্ড অথবা পণ্য রিলেটেড বিজ্ঞাপন এসে হাজির! কিংবা গুগলে একটা পণ্য নিয়ে সার্চ করলাম , কিছুক্ষণ পর একই প্রোডাক্ট এর বিজ্ঞাপন এসে হাজির ফেইসবুকের নিউজফিডে কিংবা মেসেঞ্জারে। অথচ এর আগে কখনই ওই ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন নিউজ ফিডে কিংবা মেসেঞ্জারে আসেনি। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চয়ই অনেকেই একাধিকবার লক্ষ্য করেছেন।
যখন আমাদের এন্ড্রয়েড মোবাইল ডাটা চালু করি, তখন ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড প্রদর্শিত হয়। মোবাইলে ডাটা না থাকলেও যদিও কোন ডাউনলোড হয়না, ডাউনলোড ও আপলোড স্পিড সব সময় শু হয়। ডাউনলোড স্পিড দেখিয়েছে সংখ্যাটা দেখানো হয়, সেটা হলো আমরা অনলাইন থেকে যা কিছু ডাউনলোড করি বা ইন্টারনেট ব্রাউজ করি সেটার গতি। কিন্তু আপলোড স্পিড দেখিয়েছে সংখ্যাটা দেখানো হয় সেটা আসলেই কি আপলোড হওয়ার গতি?
দুর্ভাগ্যজনক ও অতি অপ্রত্যাশিত হলেও সত্য যে, আমাদের সকল কনভার্সেশন ফোনের মাইক্রোফোন এর মাধ্যমে রেকর্ড হচ্ছে আর যে মুহূর্তেই ফেসবুকের জন্য মোবাইল ডাটা অন করি, ঠিক তখনই তা ফেসবুক কর্তৃপক্ষের হাতে ঠিক সেই গতিতেই আপলোড হয়ে যায় যে গতি আমাদের দেখানো হয়। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ প্রথমদিকে এই প্রক্রিয়ায় তথ্য সংগ্রহের অভিযোগ অস্বীকার করলেও পরবর্তীতে মেনে নিতে বাধ্য হয়।
ফেসবুক তার ব্যবহারকারীদের কথোপকথন, তথ্যাদি সংগ্রহ করে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, “We only access to your microphone if you have given our app permission and if you are actively using specific feature that requires audio.”
(প্রোপাগান্ডা কখনোই অফিসিয়ালি প্রকাশ হয় না, এগুলো হয় ওপেন সিক্রেট। যথাযথ তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে অনুমান করে নিতে হয়)
কথা হল, ফেসবুকের সব অ্যাপস ব্যবহার করতে মাইক্রোফোনে প্রবেশের অনুমতি দেয়া লাগে। শুধুমাত্র ফেসবুকের এই একটি ফিচারই আমাদেরকে তাদের পণ্যে পরিণত করার জন্য যথেষ্ট।
আমরা যদিওবা সাধারণত জানি, ফেসবুকের মালিকানা কেবল মার্ক জাকারবার্গের হাতে। কিন্তু এতা নিয়ে যথেস্ট বিতর্কের অবকাশ আছে। বেশ কয়েক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে জুকারবার্গ প্রোগ্রাম সঞ্চালকের প্রোগ্রাম সঞ্চালকের নির্দেশে তার পরনের টি-শার্টটি উন্মুক্ত করেন। এ সময় তাকে যথেষ্ট বিব্রত দেখা যায়। ভিতরের ডিজাইনে একটা লোগো দেখে উপস্থাপিত বলেন, “Oh my God ! This is a secret cult and probably for the Illuminati.” ডিজাইন টার মধ্যে জায়োনিস্টদের তারকাখচিত চিহ্নটা ?? দেখা গেছে। তাছাড়া ফেসবুকের CIA প্রজেক্ট হওয়ার ব্যাপারে যথেষ্ট কনভিন্সিং তথ্য আছে।
CIA এর Deputy Director Christopher Sartinsky এক অধিবেশনে বলেন, “After years of secretly monitoring the public, we were astounded so many people would willingly publicize where they live, their religious and political views, an alphabetical list of their friends, personal email address, phone numbers, hundreds of photos of themselves and even status updates about they were doing from moment to moment. It is truly a dream come true for the CIA and it’s the reason we invented the Internet.”
ফেসবুক তার আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স এর মাধ্যেমে আমাদের জিম্মি করছে, আমরা কেউই নিরাপদ নাহ।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাদের, মনযোগ সহকারে পোস্ট টা পড়ার জন্য।
তো বন্ধুরা আশাকরি আপনারা বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
নিয়মিত Trickbd ভিজিট করবেন। ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। আজকের টপিকস এ এখানেই বিদায়।
18 thoughts on "Facebook কি আসলেই আমাদের মনের কথা বুঝতে পারে?"