যারা ফ্রিল্যান্সিং করতে চান, কিন্তু কিভাবে করবেন বা কোন বিষয়ের উপর করবেন তা বুঝতে পারতেছেন না। এছাড়াও এর জন্য কিভাবে কোন কোর্স করা লাগবে, কোথায় কোর্স করতে হবে এবং কত টাকা লাগবে এই নিয়ে চিন্তিত তাদের জন্যই আমার আজকের এই পোস্ট। আবার অনেকেই আছেন কোর্স করতে অতিরিক্ত টাকার প্রয়োজন হওয়াতে টাকার স্বল্পতার কারণে করতে পারতেছেন না। তাহলে আপনার জন্যই এই পোস্টটি। আশা করি আপনাদের খুব উপকারে আসবে। আজকের পোস্টের বিষয়টি ভালোভাবে বুঝার জন্য নিচে থেকে বিস্তারিত দেখে নিন।
বাংলাদেশ সরকারের আইসিটি বিভাগের অধীনে কর্মসংস্থান বিনিয়োগ প্রোগ্রাম চালু করা হয়। যার মাধ্যমে ০২ বছরের চুক্তিতে ৭,৪৫০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এখানে মোট ১৯টি কোর্স করানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই কোর্সগুলো করানোর মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশের মধ্যে দক্ষ ফ্রিল্যান্সার তৈরি করা।
তারা আপনাকে যে কোর্সগুলো করাবে সেগুলো কত মাস মেয়াদী এবং কত ঘণ্টা ব্যাপী তা উপরের স্ক্রিনশটটি খেয়াল করলে বুঝতে পারবেন। তবে হ্যাঁ, এখান থেকে চেষ্টা করবেন উপরের তিনটির যেকোন একটি নিয়ে করতে।
এই কোর্স করার যোগ্যতা আপনার আছে কিনা?
যারা একদম আইটি জগতে নতুন তাদের জন্য বলা হয়েছে পড়া লেখায় ডিপ্লোমা অথবা স্নাতক সস্পূর্ণ হতে হবে। আর যারা আইটি জগতের সাথে প্রায় দুই বছর যাবৎ জড়িত রয়েছে তাদেরকে অগ্রাধীকার দেওয়া হবে। তবে হ্যাঁ, তারা এই ব্যাপারে যাই বলুক না কেন। আপনার যদি কপাল ভালো থাকে তাহলে আবেদন করার পর পেয়ে যেতে পারেন। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তারা উপরোল্লিখিত বিষয় অতটা গুরুত্ব সহকারে দেখে না।
যারা একদম আইটি জগতে নতুন তাদের জন্য বলা হয়েছে পড়া লেখায় ডিপ্লোমা অথবা স্নাতক সস্পূর্ণ হতে হবে। আর যারা আইটি জগতের সাথে প্রায় দুই বছর যাবৎ জড়িত রয়েছে তাদেরকে অগ্রাধীকার দেওয়া হবে। তবে হ্যাঁ, তারা এই ব্যাপারে যাই বলুক না কেন। আপনার যদি কপাল ভালো থাকে তাহলে আবেদন করার পর পেয়ে যেতে পারেন। আর বাস্তব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী তারা উপরোল্লিখিত বিষয় অতটা গুরুত্ব সহকারে দেখে না।
এই কোর্সগুলো করার সুবিধা কী?
আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। যেদিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে যাবেন সেদিনের ভাতা পাবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট পাবেন। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি চাকুরির সুবিধা পাবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
আপনি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে পারবেন। যেদিন প্রশিক্ষণ গ্রহণ করতে যাবেন সেদিনের ভাতা পাবেন। প্রশিক্ষণ শেষে সার্টিফিকেট পাবেন। এছাড়াও সরকারি, বেসরকারি চাকুরির সুবিধা পাবেন এবং ফ্রিল্যান্সিং করতে পারবেন।
এতোক্ষণতো কোর্স সম্পর্কে জানলাম। এখন এই কোর্স করতে হলে কী করতে হবে তা জানার পালা। প্রথমে আপনাকে অনলাইনে আবেদন করতে হবে। অনলাইনে আবেদন করার জন্য এই লিংকে https://seip.bitm.org.bd/ ক্লিক করুন। ক্লিক করলে ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। এখানে থেকে আপনি কোন বিভাগ থেকে আবেদন করতে চান সেটি সিলেক্ট করুন। বলে রাখা ভালো আপনি আবার মনে কইরেন না যে, শুধু এখানে উল্লেখিত দুইটি বিভাগের লোক ছাড়া আর কেউ আবেদন করতে পারবে না। সারা বাংলাদেশের লোকই আবেদন করতে পারবে। এখানে দুইটি বিভাগ উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে তাদের উল্লেখিত দুই জায়গা অফিস রয়েছে।
উপরের যেকোন একটি বাটনে ক্লিক করার পর ঠিক উপরের স্ক্রিনশটের মত আসবে। এখানে আপনাকে আপনার পার্সোনাল ডাটা ইনপুট করতে হবে। প্রথমে আপনি কোন কোর্সটি করতে চান তা First Preference থেকে সিলেক্ট করে দিন। তারপর আপনার নাম, বাবার নাম, মায়ের নাম, ঠিকানা, মোবাইল নম্বর সহ যাবতীয় তথ্য ইনপুট দিন। তবে মনে রাখবেন অবশ্যই আপনার মোবাইল ও ইমেইল অ্যাড্রেসটি সঠিকভাবে দিবেন। কারণ পরবর্তীতে এইগুলোর মাধ্যমেই আপনি জানতে পারবেন যে আপনি সিলেক্ট হয়েছেন কিনা। সব তথ্য পূরণ হয়ে গেলে আপনার একটি ছবি আপলোড দিতে হবে। ছবিটি অবশ্যই ৩০০*৩০০ পিক্সেল সাইজের হতে হবে। কিভাবে ৩০০*৩০০ সাইজের ছবি তৈরি করবেন তা দেখতে এই লিংকে – https://tutorialbd71.blogspot.com/2018/12/photo-and-signature-size.html ক্লিক করুন। (এই পোস্টটি শুধুমাত্র কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের জন্য।) ছবি আপলোড দিয়ে দেখে দেখে সিকিউরিটি কোড টাইপ করে আরেকবার ভালোভাবে পুরো ফরমটা দেখে নিয়ে তারপর Save বাটনে ক্লিক করুন।
সেভ বাটনে ক্লিক করার পর আপনার আবেদনটি সম্পন্ন হবে। যদি আপনি সফলভাবে আবেদনটি সম্পন্ন করতে পারেন তাহলে ঠিক উপরের মত স্ক্রিনশট দেখতে পাবেন। এখানে আপনাকে একটি আইডি দেওয়া হবে এটা সংরক্ষণ করে রেখে দিন। এইবার আপনার কাজ হলো প্রতিনিয়ত মোবাইলের ম্যাসেজ অ্যাপ এবং মেইলের ইনবক্স চেক করা। আশা করি যদি সিলেক্ট হয়ে যান তাহলে এক মাসের মধ্যে ম্যাসেজ বা মেইল পাবেন।
যদি আপনি সিলেক্ট হয়ে যান তারপর সিডিউল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী আপনাকে স্ব-শরীরে গিয়ে জমা দিতে হবে। বলে রাখা ভালো ওয়েবসাইটে উল্লেখ রয়েছে যে, আপনি আবেদন করার পর নির্বাচিত হলে আপনাকে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হবে। ভর্তি পরীক্ষার ধরণ হতে পারে মুখোমুখি সাক্ষাৎকার, লিখিত পরীক্ষা অথবা দুটোই হতে পারে। ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত আবেদনকারীদের এসএমএস এবং ইমেলের মাধ্যমে পরবর্তীতে তালিকাভুক্তি করা হবে। আমার এক ভাইয়ের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী আসলে এইসবের মধ্যে পড়তে হয় না। তবে হতে পারে যদি আবেদনকারীর সংখ্যা তাদের আসন সংখ্যার অতিরিক্ত হয়। আপনি নির্বাচিত হওয়ার পর অপেক্ষামান তালিকায় থাকতে হবে। অর্থাৎ তাদের পরবর্তী যে নতুন ব্যাচ শুরু হবে তার অপেক্ষা থাকতে হবে। যা আপনাদেরকে জানিয়ে দেওয়া হবে।
বলে রাখা ভালো আপনি যদি আবেদন করতে ইচ্ছুক হোন তাহলে যত দ্রুত সম্ভব আবেদন করে ফেলুন। কেননা আসন সংখ্যা পুরিয়ে গেলে আর সুযোগ পাবেন না। কারণ এখানে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হওয়ার পরপরই সবাই আবেদন করার জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়ে। আর হ্যাঁ, আমি এক সূত্র থেকে জানতে পেরেছি যে, এখানে ফ্রিতে কোর্স করানোর পাশাপাশি নাকি ভাতা বাবদ ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা প্রদান করা হয়। তবে এটা আসলে কতটা সত্য তা কিন্তু আমি সঠিকভাবে বলতে পারবো না। তবে যদি সত্যিই এমনই হয় তাহলে আর কি বলব ঈদের উপর শুক্রবার। কিছু মনে করবেন না একটু মজা করলাম। তো এখানেই আমি আমার পোস্টটি শেষ করলাম। আশা করি পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে।
আপনাদের সুবিধার্থে আমি আমার টিপস এন্ড ট্রিকসগুলি ভিডিও আকারে শেয়ার করার জন্য একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করেছি। আশা করি চ্যানেলটি Subscribe করবেন।
সৌজন্যে : বাংলাদেশের জনপ্রিয় এবং বর্তমান সময়ের বাংলা ভাষায় সকল গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ক টিউটোরিয়াল সাইট – www.TutorialBD71.blogspot.com নিত্যনতুন বিভিন্ন বিষয়ে টিউটোরিয়াল পেতে সাইটটিতে সবসময় ভিজিট করুন।
15 thoughts on "ফ্রিতে ফ্রিল্যান্সিং কোর্সের জন্য আবেদন করুন।"