যারা আমার এই পোস্ট এর আগের পর্ব গুলো টি দেখেন নি তারা নিচের লিংক গুলো তে যেয়ে দেখে আসতে পারেন।

পর্ব ১

পর্ব ২

গত পর্ব গুলোতে আমি আপনাদেরকে ফ্রিল্যান্সিং এর কয়েকটি ভয়ংকর প্রতারণার দিক সম্পর্কে বিস্তারিত বলে ছিলাম। এই পর্বে আমি আরো কয়েকটি দিক সম্পর্কে জানিয়ে দিবো। এবং পোস্ট টি কমপ্লিট করে দেওয়ায় চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ।

গত পর্বে আমি আমার প্রতারিত হবার একটি ঘটনা শেয়ার করেছিলাম। এই পর্বে আমি তার পরের স্তর থেকে শুরু করছি।

তো অধিকাংশ কোর্স বিক্রেতাই আপনার থেকে কোর্স বিক্রি করে যাবে শুধুই টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে। কোনো কোর্স শেষে আপনার স্কিল আপনাকে নিজেকেই তৈরী করে নিতে হবে।

এই স্কিল ডেভেলপমেন্ট এর জন্য আপনাকে বছর এর বছর (সর্বনিম্ন 4000 ঘণ্টা) শুধুমাত্রই নিজের স্কিল ও প্রজেক্ট ডেভলপমেন্ট এর কাজে ব্যয় করতে হবে। তবেই তো আপনি হয়ে উঠতে পারবেন একজন প্রকৃত ফ্রিল্যান্সার।

আর কোর্স শেষে ভুলেও তাদের কাছে জানাবেন না যে আপনি কাজ পাচ্ছেন না।(মানে আপনি যদি জানান তাহলে) তাহলে তারা আপনাকে খুবই খারাপ ভাবে অপমান করবে। আপনাকে দূর্বল ঘোষিত করবে। এবং আপনি কাজ না পাওয়ায় সম্পুর্ণ দোষ টাই আপনার উপর চাপিয়ে দিবে।

যেমন টা আমার বেলায় ও হয়েছিল। তাছাড়া আপনি যদি বেশি ঝগড়া করার চেস্টা করেন তাহলে তারা আপনাকে ব্লক করে দিবে।

আমি আমার নিজের ব্যাপারে বললাম ই তাছাড়া এমন অনেক অনেক লোক আমাকে তাঁর এই প্রতারণার গল্প টি শেয়ার করেছে। যা পোস্টে লিখে বুঝানোর অনুমতি নেই। অথবা সম্ভব নয়।

আমার পোষ্টের সাথে আপনার গল্প মিলে গেলে ধরে নিবেন যে আপনি অলরেডি প্রতারিত হয়ে গেছেন। কম্পিউটার কিনলেন ইন্টারনেট কিনলেন কোর্স করলেন। কিন্তু কোনো টাকা ইনকাম করে পরিবার কর এখনও দিতে পারছেন না।

আর এই ফ্রিলান্সিং এ বেশিরভাগই থাকে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিারের সন্তান রা। আপনারা শুধুমাত্র খেয়ে পড়ে বাঁচার জন্যই কোর্স ইনরোল করে থাকেন। বাট আপনারাই হয়ে যান প্রতারণার শিকার।

আর আপনারা অনেকে এই প্রতারণার শিকার হয়েই একদিন হয়ে উঠেন প্রতারক।
সেটা কিভাবে হন তা না হয় পরের পোস্টেই বললাম।

আজ তাহলে এই পর্যন্তই থাক। আপনারা সকলেই ভাল থাকুন। সুস্থ থাকুন। আর এই এই পোষ্টের পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষা করুন। আর আমার পরবর্তী পোস্ট টি কিসের উপর চান সেটি আমাকে জনিয়ে দিন কমেন্টে, জিমেইল এ, অথবা টুইটারে।
জিমেইল: [email protected]
Twitter: 1215maruf

Leave a Reply