অনলাইনের যুগে সবকিছু কতই না
সহজ মনে হয়। দিনের বেশির
ভাগটাই কাটে এই ইন্টারনেটে।
কাজের প্রয়োজনেই বিভিন্ন
সাইটে নিজের ইমেইল, ক্রেডিট
কার্ড, ঠিকানা ইত্যাদি তথ্য
দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে। আর এই
সুযোগের অপেক্ষাতেই থাকে
হ্যাকাররা। ব্যবহারকারীকে
বোকা বানিয়ে নিমিষেই
হাতিয়ে নেয় গোপন তথ্য৷ এই
সাতটি বিশেষ টিপস মেনে
চললে আপনি কিছুটা হলেও রক্ষা
করতে পারবেন আপনার কোন
গোপন তথ্যকে৷
.
.
★★১৷ পাসওয়ার্ড নিজের কাছে
রাখুন
কম্পিউটার, স্মার্টফোন বা
ট্যাবলেটের ও ব্যাংক কার্ডের
পাসওয়ার্ড যেন কখনই এক না হয়৷
এছাড়া কম্পিউটার, স্মার্টফোন
বা ট্যাবলেটে কোনো
পাসওয়ার্ড লিখে রাখবেন না৷
এর ফলে আপনার তথ্য চুরির
সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়৷
বাড়ির বাইরে গেলে এগুলি লক
করে যান৷
.
.
★★২৷ ‘গুগল অ্যালার্ট’ ব্যবহার করুন
এটা খুব সহজ পন্থা, আপনি যদি
দেখতে চান ইন্টারনেটে
আপনার সম্পর্কে সবাই কী বলছে৷
সোজা এই ঠিকানায় যান –
এবং
আপনার নাম লিখুন৷ তারপর আপনার
নামের বিভিন্ন ধরন লিখে, তার
আগে ও পরে ‘কোটেশন মার্ক’
জুড়ে দিন৷ আর দেখে নিন
প্রয়োজনীয় তথ্য৷
.
.
★★৩৷ ব্যবহারের পর লক্ষ্য রাখা
আপনি যদি অন্য কারো
কম্পিউটার বা ট্যাবলেট ব্যবহার
করেন, তবে একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ
জিনিস লক্ষ্য রাখা প্রয়োজন৷
আপনার পর যিনি সেটা ব্যবহার
করবেন, তিনি যাতে আপনার
অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করতে না
পারে – সেটা খেয়াল রাখুন৷
আপনি যদি এটা করতে ভুলে যান,
তাহলে ফলাফল ভয়াবহ হতে
পারে৷
.
.
★★৪৷ জিপ কোড ব্যবহার করতে না
দেয়া
অচেনা কোনো মানুষ এই
নম্বরগুলো জানতে চাইলে,
আপনারা দেবেন না৷ দেখা যায়
কোনো অফিস তাঁর কর্মীর কাছ
থেকে এ সব তথ্য চাইলে,
অনেকেই স্বেচ্ছায় তা দিয়ে
দেয়৷ বহু অফিস এ নিয়ে একটি
প্রোফাইল তৈরি করে৷ আপনার
কিন্তু এ সব তথ্য না দেয়ার
অধিকার আছে৷ তাই আপনি যদি
এতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করেন,
তবে দেবেন না৷
.
.
★★৫৷ কার্ড নয় ক্যাশ
আপনি যদি চান আপনি যে পণ্যটি
কিনছেন, সেই কোম্পানি
আপনারা পরিচয় না জানুক, তবে
নগদ অর্থে জিনিস কিনুন৷
.
.
★★৬৷ ফেসবুকে নিরাপত্তার জন্য
‘ফ্রেন্ডস’ ব্যবহার করুন
ফেসবুকে সবসময় ‘সিকিউরিটি’
বা নিরাপত্তা পরীক্ষা করুন৷
পোস্ট করার পর লক্ষ্য রাখুন আপনি
আপনার ছবি বা মন্তব্য ‘ফ্রেন্ডস’
করে রেখেছেন, নাকি
‘পাবলিক’ করেছেন৷ আপনি যদি
‘স্পেশ্যাল’ নির্বাচন করেন এবং
ঠিক করে দেন কে কে আপনার
পোস্ট দেখতে পাবে, তবে
সেটা আপনার তথ্য নিরাপত্তার
জন্য তুলনামূলক ভাবে ভালো৷
.
.
★★৭৷ ‘হিস্ট্রি’ মুছে ফেলুন
আপনি সর্বশেষ কবে এটা
করেছেন? আপনি যদি নিশ্চিত
না হন, ব্রাউজারে গিয়ে এটা
পরিবর্তন করুন৷ ব্রাউজারের
‘প্রাইভেসি সেটিংস’-এ যান,
সেখানে ‘নেভার রিমেমবার
হিস্ট্রি’ নির্বাচন করুন৷ মুছে
ফেলুন আপনার হিস্ট্রি৷
ধন্যবাদ
তথ্য প্রযুক্তি সেবায় আপনাদের পাশে
4 thoughts on "অনলাইনে তথ্য গোপন রাখবেন যেভাবে"