আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।
দুনিয়া কাঁপানো সবচেয়ে ভয়ংকর ৫ জন নারী হ্যাকার
খুব কম মানুষই আছে যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিন্তু হ্যাকিং বা হ্যাকার সম্পর্কে জানে না। আপনি নিজেও হয়তো কখনও না কখনও হ্যাকার হতে চেয়েছিলেন কিংবা এখনো চান। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে যারা বড় বড় প্রকৌশলীদের কেউ বুড়ো আঙুল দেখিয়ে সারা ইন্টারনেটজুড়ে রাজত্ব করে বেড়াচ্ছে। আজকের আর্টিকেলটিতে সেই ভয়ঙ্কর হ্যাকারদের সম্পর্কে আমরা জানতে চলেছি। যেখানে আমরা জানবো পৃথিবীর সেরা 5 জন নারী হ্যাকার সম্পর্কে তো চলুন আর দেরি না করে আর্টিকেলটি শুরু করা যাক।
1. Xiao Tian→ Xiao Tian একজন চাইনিজ মেয়ে এখানে উল্লেখিত সব হ্যাকারদের মধ্যে Xiao Tian সবচেয়ে সাহসী হ্যাকার বলা যায়।২২ শত মেম্বারের চায়না গার্লস সিকিউরিটি সিস্টেম নামের একটি হ্যাকিং গ্রুপ খুলে মাত্র 19 বছর বয়সেই তিনি প্রসিদ্ধিলাভ করেন। গ্রুপটির প্রধান কাজ ছিল গুগলের মত ক্ষমতাধর সার্চ ইঞ্জিনের বিরুদ্ধে লড়াই করা। আর তাদের তীব্র সঙ্গবদ্ধ আক্রমণের কারণে গুগোল ও তাদের সার্ভিস চায়না থেকে সরাতে বাধ্য হয়। এছাড়াও চায়না গার্লস সিকিউরিটি সিস্টেম কে পৃথিবীর অন্যতম সেরা হ্যাকিং কোড গুলো গণ্য করা হয়। তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে Xiao Tian কে তার চলা ধারা এবং সৌন্দর্য জন্য হ্যাকার কম একজন মডেল বেশি মনে হয়। এমনকি তারা নাকি হ্যাকিং এর পাশাপাশি মডেলিং এর ওপর বেশ আগ্রহ রয়েছে।
2. Jude Milhon → Jude Mihon 1939 সালে আমেরিকার ইন্ডিয়াতে জন্মগ্রহণ করেন। যদিও ইন্টারনেটের প্রথম দিকের উন্নয়নে তিনি নেতৃত্ব দেন। কিন্তু পরবর্তীতে তার ক্যারিয়ার হ্যাকিং এর দিকে নিয়ে যান তিনি। ১৯৬৭ সালে তিনি তৈরি করেন প্রখ্যাত সাইবার ফাঙ্গাস নামক একটি হ্যাকিং গ্রুপ তার জীবদ্দশায় যারা মনে করতে যে হ্যাকিং আসলে তেমন কিছুই নয় তিনি তাদেরকে প্রমাণ করে দেন যে হ্যাকিং কোন ছোটখাট জিনিস নয় বরং এটি একটি ক্রিমিনাল আর্ট। তিনি হ্যাকিং এবং কম্পিউটার প্রোগ্রামিং এর উপরে অনেক বই লিখেন। পরবর্তীতে 2003 সালে তিনি ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পৃথিবী ছেড়ে চলে যান কিন্তু রেখে যান পৃথিবীর শীর্ষ হ্যাকারদের তালিকায় তার নাম।
3. Joanna Rutkowska সব হ্যাকারি যে খারাপ নয় তার সবচেয়ে বড় প্রমান হচ্ছে Joanna Rutkowska — Joanna হচ্ছেন পোল্যান্ডের নাগরিক। 2006 সালে Defcon সম্মেলনে উইন্ডোজ ভিস্তা দুর্বলতা প্রকাশ করে তিনি আলোচনায় চলে আসেন। তিনি ব্লুপিল নামক একটি টেকনিক আবিষ্কার করেন। যার মধ্যে একটা চলন্ত অপারেটিং সিস্টেমকে ভার্চুয়াল মেশিন চালানো সম্ভব এবং তিনি নিজেকে একজন অপারেটিং সিস্টেম সিকিউরিটি অফিসার ভাবতেই বেশি ভালবাসেন। প্রায় বিভিন্ন টেকরিলেটে সম্মেলনেই তাকে ভাষণ দিতে দেখা যায়।
4. Raven Alder→ Raven Alder হচ্ছেন পৃথিবীর বাঘা বাঘা দক্ষ হ্যাকারদের মধ্যে অন্যতম একজন। তিনি বিভিন্ন সিকিউরিটি এজেন্সি জন্য হ্যাকিং ডিটেকটিভ সিস্টেম তৈরি করে থাকেন। Raven সর্বপ্রথম সবার নজর কাড়ে Defcon একজন নারী হ্যাকার হিসেবে ভাষণ দেওয়ার পর থেকে। Defcon হচ্ছে হ্যাকারদের জন্য সম্মানজনক সম্মেলন যেখানে পৃথিবীর বড় বড় টেক জায়ান্টরা মিলিত হন। বক্তৃতার এক পর্যায়ে তিনি বলেন যে তিনি একজন নারী হ্যাকার নয় বরং একজন হ্যাকার হিসেবেই বেশি পরিচিত পেতে চান। হ্যাকিং ছাড়া তিনি মার্শাল আর্টসেও বেশ পারদর্শী।
5. Ying Cracker অবিশ্বাস্য মনে হলেও সাংহাইয়ের মেয়ে Ying Cracker একজন হ্যাকিংয়ের শিক্ষক।তিনি তার ছাত্রছাত্রীদের বেসিক হ্যাকিং সম্পর্কে শিক্ষা দিয়ে থাকেন। কিভাবে আইপি পরিবর্তন করা যায়, কিভাবে ম্যাপ পরিবর্তন করা যায় এগুলো সহ হ্যাকিং বিষয়ক আরও বিভিন্ন প্রাথমিক ধারণা তিনি দিয়ে থাকেন। পাঁচ গিগার মধ্যে যেকোন সফটওয়্যার এর ক্র্যাক বের করা তার কাছে মামলি ব্যাপার।তিনি যেকোন সফটওয়্যার ক্র্যাক করতে পারেন বলেই তার নামের সঙ্গে ক্রাকার শব্দটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। হ্যাকিংয়ের জন্য তিনি বিভিন্ন টিউটোরিয়াল এবং কোর্স করিয়ে থাকেন আর এটাই হচ্ছে তার আয়ের প্রধান উৎস। পৃথিবীর বড় বড় সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো এই Ying Cracker কে যমের মত ভয় পায়।
Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Ictbn.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। ICTBN.Com
আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি
আপনি কি কখনো রেন্ট-হ্যাকার এর নাম শুনেছেন
যদি পারেন তাদের কোনো স্টরি তুলে দেবেন ধন্যবাদ পোষ্ট করার জন্য