আমার আজকের আলোচনার বিষয় হচ্ছে স্প্যাম সম্পর্কে। আমরা যারা ইন্টারনেট  ব্যবহার করি, তারা সবাই কম বা বেশি স্প্যাম শব্দটা শুনে থাকি।  বর্তমানে এই স্প্যাম শব্দ টা সচরাচর বেশি শোনা যায়। সুতরাং আজকে আপনাদের সাথে আমি আলোচনা স্প্যাম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো । তো চলেন কথা না বলে শুরু করি।

দিন দিন ইন্টারনেটের উন্নতি হচ্ছে তার সাথে ইন্টারনেটের বিভিন্ন অপরাধ যুক্ত হচ্ছে। স্পাম হচ্ছে তার মধ্যে একটি অপরাধ। তাই আমি আজকে আপনাদেরকে স্প্যাম কাকে বলে এবং এ সম্পর্কে কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করব। নিচে তা বিস্তারিত ভাবে ব্যাখ্যা করা হলো:

নতুনদের একটি কমন প্রশ্ন হচ্ছে,

স্প্যাম কাকে বলে?

স্প্যাম হচ্ছে একটি ইংরেজী শব্দ। এর বাংলায় কোন অর্থ পাওয়া যায় নাই। কিন্তু ইংরেজি অর্থ অনুযায়ী স্প্যাম এর সংজ্ঞা হল ইন্টারনেটের কোন অনাকাঙ্ক্ষিত, অপ্রাসঙ্গিক বা যুক্তিহীন কোন তথ্য। আমি যদি আরো বিস্তারিত ভাবে বলতে চাই, তাহলে স্প্যাম হলো আমরা যখন ইন্টারনেট এর মাধ্যমে কোন অনাকাঙ্খিত তথ্য বা মেসেজ ছড়িয়ে দেই তাকে স্প্যাম বলে।

স্পামিং বিভিন্ন মাধ্যমে করা হয় যেমন ইন্টারনেট ব্যাবহার করে ইমেইল, মেসেঞ্জার, ফোরাম, সোশ্যাল মিডিয়া ইত্যাদি মাধমে। আর যারা স্প্যাম এর কাজগুলো করে থাকেন, তাদেরকে স্প্যামার বলা হয়।

স্পামিং একটি বড় ধরনের অপরাধ। প্রথম প্রথম শুধু ইমেইলের মাধ্যমে বিভিন্ন জিনিস প্রচার এর জন্য স্পামিং বলা হতো। কিন্তু বর্তমানে স্পামিং বিভিন্ন অপরাধমূলক ও জালিয়াতি কাজে বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে।

স্পামিং করার প্রধান কারণ গুলো কি?

স্পাম একটি বড় অপরাধ কারণ এর মাধ্যমে কিছু অপরাধ চক্র গুলো বিভিন্ন নিষিদ্ধ লিংক শেয়ার করে মানুষের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। স্প্যাম এর মাধ্যমে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য থেকে শুরু করে অনেক কিছু চুরি হতে পারে সুতরাং স্পামিং লিংক শেয়ার অথবা ক্লিক করা থেকে সাবধান।

আমরা অনেকেই জানি না স্প্যামিং কিভাবে হয়ে থাকে। তাই এই বিষয়ে আমি এখন বিস্তারিতভাবে আলোচনা করার চেষ্টা করব।

স্প্যামিং করার জন্য অনেক প্রকারের উপায় বা মাধ্যম রয়েছে। আমরা অনেক সময় ফেসবুক ব্যবহার করার সময় মেসেঞ্জারে বিভিন্ন ধরনের ভুয়া মেসেজ বা আকর্ষিত খবর দেখতে পাই। যা অনেক সময় মানুষকে আশ্চর্য করার জন্য ব্যবহার করা হয়। আর এই সমস্ত মেসেজ বা খবর এর মাধ্যমে তারা অনেক সময় কিছু লিংক ব্যবহার করে যে লিঙ্কগুলি খুবই ক্ষতিকর। আপনি যদি তাদের মেসেজ দেখে সেই সমস্ত লিংকে ক্লিক করেন তাহলে আপনার প্রয়োজনীয় বা অতি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নষ্ট বা হ্যাক হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

স্পামিং থেকে রক্ষা পেতে:

স্পামিং করার বড় উদ্দেশ্যই হচ্ছে বড় হ্যাকাররা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করা। সুতরাং আপনার কাছে যদি এরকম কোন নিউজ বা কোন মেসেজ আসে, তাহলে সে সম্পর্কে আপনাকে আগে গবেষণা করতে হবে। অবশ্যই স্প্যাম লিংকে ক্লিক করবেন না। এতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।

আপনি যখন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত খবর বা অনাকাঙ্ক্ষিত কোন অফার পাবেন, আগেই সেই অনাকাঙ্ক্ষিত অফারের লিংকে ক্লিক করবেন না। এটা সত্য কিনা ভুয়া তা আগে খুঁজে বের করুন। যদি আপনার কাছে মনে হয় এটা সত্য তাহলে সেই লিঙ্কে ক্লিক করবেন।

উপসংহার:

স্পাম বড় বড় কোম্পানির ডোমেইন এর সাথে মিল রেখে ডোমেইন কিনে সেই ডোমেইন দিয়ে বেশি করা হয়ে থাকে। কারণ বড় বড় কোম্পানির যখন বড় অফার দেয় তা আমরা সবাই নিতে চাই, তাই যারা স্পামিং করে, তারা এই সুযোগটাই ব্যবহার করে।  সুতরাং উপহারের খপ্পরে পড়ে স্প্যাম লিঙ্ক এ আপনি ক্লিক করবে না এবং এই লিঙ্কটি শেয়ার করবেন না।

যদি এই আর্টিকেলটি ভালো লাগে তাহলে কমেন্ট করে জানান। এরকম সুন্দর সুন্দর টিপস পেতে ওয়েবসাইট টিপসদাও.কম ভিজিট করতে পারেন।

আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। ভুল ত্রুটি মার্জনীয়।

2 thoughts on "স্প্যাম কাকে বলে? স্প্যাম থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়:"

Leave a Reply