আসসালামুআলাইকুম
সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই অনেক ভাল আছেন। Trickbd এর সাথে সবাই নিয়মিত থাকবেন,যাতে সকল প্রকার আপডেট পেতে পারেন।

 অনেকে ইচ্ছা করে একটা ইউটিউব চ্যানেল খোলে, সেখানে অনেক পরিশ্রম করার পর যদি সেই চ্যানেল কেউ নিয়ে নেয়, তাহলে কেমন লাগবে?

আজকের আর্টিকেল টি সম্পন্ন পড়বেন, বিশেষ করে যাদের ইউটিউব চ্যানেল আছে বা যারা ইউটিউব চ্যানেল খুলবেন বলে ভাবছেন।

ডিজিটাল এই যুগে প্রায় লোকজন ই ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকে৷ 
কেউ বা খোলে ইনকাম এর জন্য আবার কেউ বা খোলা ভিডিও শেয়ার করে, সবাইকে দেখানোর জন্য।যে যেই নিয়মে ইউটিউব চ্যানেল খুলে থাকেন না কেন,সেই চ্যানেল কিন্তু আপনার কাছে অনেক মুল্যেবান। একটা চ্যানেল তিল তিল করে গড়ে তোলার পর হ্যাকারদের নজরে আসে। এবং হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে চেষ্টা করে সে চ্যানেল হ্যাক করার জন্য।এজন্য আমাদের কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। কিছু নিয়ম মেনে চললে আমাদের শখের চ্যানেলটি কোনো হ্যাকার হ্যাক করতে পারবে না।হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে একটি চ্যানেল হ্যাক করে থাকে। তাই ইউটিউব এ কাজ করার আগে সকল বিষয় ভেবেচিন্তে কাজ করতে হবে। আজকে যে টিপস গুলো দেবো, সেগুলো ফলো করলে আশা রাখি আপনার চ্যানেল কোন হ্যাকার হ্যাক করতে পারবে না। মূলত আমাদের গাবলতির কারণে, আমাদের শখের ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে যায়।বিশেষ করে যে সকল ইউটিউব চ্যানেল অনেক বড় সে সকল চ্যানেল হ্যাক হওয়ার বেশি ভয় থাকে। 

ইউটিউব চ্যানেল যে ভাবে হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচানো যায়ঃ-

১) বেশি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করাঃ-

যে কোন ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচানোর জন্য, কঠিন শক্তিশালী পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে। সহজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করলে হ্যাকাররা খুব সহজে সে চ্যানেল হ্যাক করে নেয়। এমন পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হবে,যে পাসওয়ার্ড এর আগে কেউ ব্যবহার করেনি বা অনেক কঠিন। সংখ্যা এবং অক্ষর একসাথে ব্যাবহার করে পাসওয়ার্ড তৈরি করলে অনেক ভাল হয়।বেশিরভাগ হ্যাকাররা পাসওয়ার্ড সহজ এর কারণে অনেকের চ্যানেল হ্যাক করে নেয়।তাই চ্যানেল তৈরি করার পর সঠিক কঠিন পাসওয়ার্ড ব্যবহার করতে হবে। ১২ টি বা এর থেকে বেশি অক্ষরের পাসওয়ার্ড ব্যাবহার করার চেস্টা করতে হবে। 


2)রিকভারির জন্য হালনাগাদঃ-

ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করার পর রিকভারির জন্য তথ্য হালনাগাদ করতে হবে। যাতে আপনার চ্যানেল হ্যাক হলেও রিকভারির তথ্য দিয়ে আপনার চ্যানেল ফিরিয়ে আনতে পারেন।রিকভারি জন্য আপনার অন্য একটি ফোন নম্বর বা অন্যটি ইমেইল এড্রেস দিতে পারেন। মনে রাখবেন রিকভারি ইমেইল বা ফোন নাম্বার, নিজের দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কেন অন্যর দিলে, আপনার চ্যানেলটি হ্যাক হয়ে যেতে পারে। হ্যাকাররা আপনার চ্যানেল হ্যাক করলেও, আপনার রিকভারি মেইল ফোন নম্বরে,নোটিফিকেশন বা মেসেজ চলে যাবে। 

৩) ইউটিউব চ্যানেল ব্র‍্যান্ড একাউন্ট হিসাবে তৈরি করাঃ-

ইউটিউব চ্যানেল সাধারণত দুই ধরনের হয়ে থাকে-

১) পারসোনাল একাউন্ট। 
২)ব্র‍্যান্ড একাউন্ট। 

১) পারসোনাল একাউন্টঃ

এই ধরনের চ্যানেলে শুধুমাত্র একটি মালিক থাকে।মানে যে তার মেইল একাউন্ট দিয়ে চ্যানেল তৈরি করে, সেই সে চ্যানেলের মালিক।

২) ব্র‍্যান্ড একাউন্টঃ

মুলত এই ধরনের চ্যানেলে একের অধিক মালিক থাকে। যে ব্যাক্তি চ্যানেল খোলে সে ছাড়াও আরো একাধিক ব্যাক্তিকে সে এড করতে পারে।

-ইউটিউব চ্যানেল কে অবশ্যই ব্র‍্যান্ড একাউন্ট হিসাবে তৈরি করা উচিৎ। কারন এ ধরনের চ্যানেল হ্যাক করলেও সহজে ফিরিয়ে নিয়ে আসা যায়।কারন ব্র‍্যান্ড একাউন্ট এর চ্যানেল হ্যাকাররা হ্যাক করে, সব পাসওয়ার্ড ও মেইল নাম্বার পরিবর্তন করলেও, প্রাইমারি ওনারকে পরিবর্তন করতে ১ দিন সময় লাগে। মানে ১ দিন পর করা যায় প্রাইমারি ওনার পরিবর্তন। তাই এ ধরনের ইউটিউব চ্যানেল হ্যাকাররা সহজে হ্যাক করে নিতে পারে না।

৪) জি-মেইলে 2 Factor Authentication চালু রাখাঃ-

আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ব্যাবহৃত জি-মেইলে 2 Factor Authentication চালু রাখবে। আপনার মেইল যে ডিভাইস এ লগ ইন করুক না কেন, আপনার ফোন নাম্বারে কোড আসবে সে কোড না দিলে সে চ্যানেল লগ ইন হবে না। তাই এ কাজটি অত্যান্ত জরুরি। বেশিরভাগ ইউটিউব চ্যানেল, এই দুর্বলতার কারণেই হ্যাক হয়ে যায়। তাই আপনি কাজটা না করতে পারলে, ইউটিউবে সার্চ দিয়ে দেখে নেবেন। 

৫) ইমেইলে পাঠানো সন্দেহজনক কোনো লিংকে ক্লিক না করাঃ-

একটি ইউটিউব চ্যানেল যখন বড় হতে থাকে,হ্যাকার রা নানা ভাবে সে চ্যানেল তাদের অধীনে নেয়ার বা হ্যাক করার চেস্টা করে। হ্যাকাররা অনেক সময় আমাদের ইউটিউব চ্যানেল এর জি-মেইল জেনে নেয়,যেকোন উপায়ে। এবং সে জি-মেইলে নানা ধরনের ফেক মেসেজ দেয়। এ ধরনের ফেক মেসেজযুক্ত লিংকে ক্লিক করলে আমাদের চ্যানেলের সকল তথ্য তাদের কাছে চলে যায়। তাই এই ধরনের সন্দেহজনক লিংক এ ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

উপরের নিয়ম গুলো ফলো করলে,আশা করা যায় আপনার শখের ইউটিউব চ্যানেলটি হ্যাক থেকে বাঁচবে। আপনার যদি একটা ইউটিউব চ্যানেল থাকে,আপনার সব সময় সতর্কতা অবলম্বন করে চলতে হবে।

আজকে এপযন্ত, আবারো দেখা হবে নতুন কোনো আপডেট নিয়ে।
ভুল হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।

যেকোন প্রয়োজনে,
ফেসবুকে আমিঃ

Sk Shipon

ধন্যবাদ। 








6 thoughts on "ইউটিউব চ্যানেলকে কিভাবে হ্যাকিং এর হাত থেকে বাঁচান যায়, জেনে নিন।"

  1. অনেক ভালো পোষ্ট।ইউটিউবারদের কাজে দেবে।
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ, আপনাকে।
    1. Sk Shipon Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ আপনাকে।
  2. MD Musabbir Kabir Ovi Author says:
    ইউটিউব এ যারা কাজ করে তাদের জন্য বেশ হেল্পফুল হবে

Leave a Reply