আসন্ন পবিত্র রোজায় নিজের
স্বাস্থ্যকে ভালো রাখার জন্য
অনেকেই অনেক প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
রোজার পুরো মাসেই নানা রকম
আয়োজন করে থাকেন সবাই।
সাধারণ সময়ের চেয়ে রোজার সময়
খাবারের সময়সূচির অনেক পরিবর্তন হয়।
সেহেরি, ইফতার ও রাতের খাবার- এই
তিনটি সময়ে খাদ্য গ্রহণ করা হয়ে
থাকে। খাবারের পাশাপাশি ঘুম,
ব্যায়াম এমনকি কাজের সময়সূচিরও
অনেক পরিবর্তন হয়।
সুস্থভাবে রোজা সম্পন্ন করতে
শরীরকে সুস্থ রাখা, ক্লান্ত না হওয়া,
দুর্বলতা বা যেকোনো রোগের উপসর্গ
এড়িয়ে চলা ইত্যাদি বিষয়কেও
মাথায় রাখা জরুরি।
রোজার সময় ইফতারের মেন্যু যাতে
সঠিক হয়, সে জন্য রোজার আগ থেকেই
পরিবারের সবার সঙ্গে আলোচনা
করে মেন্যু তৈরি করে ফেলা উচিত।

রোজাও সেই রকমভাবে করতে হবে,
যাতে রোজা রেখে তেমন কোনো
ঝামেলা পোহাতে না হয়।
ইফতারের ক্ষেত্রে সুষম খাবারের
বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। শুধু
ইফতার নয়, পুরো রোজায় সুষম ও পরিমিত
খাবার নিশ্চিত করতে হবে।
ভেজালমুক্ত নিরাপদ খাবারের
লক্ষ্যে নিরাপদ উপায়ে খাদ্য তৈরি ও
সংগ্রহ করতে হবে।
রোজার সময় ঘুমের ব্যাপারে সবাইকে
সচেতন হতে হবে। প্রতিদিন অন্তত ছয়
থেকে আট ঘণ্টার ঘুম নিশ্চিত করতে
হবে। সে ক্ষেত্রে সেহরির সময় ইবাদত
করার জন্য শক্তি পাওয়া যাবে। তবে
অবশ্যই সেহরি খাওয়ার পর অনেক
বেলা পর্যন্ত ঘুমানো ঠিক নয়।
ব্যায়ামের বিষয়টিও অনেক জরুরি।
সাধারণত রোজায় অনেক ইবাদত করা
হয়। এটি অনেক ভালো ব্যায়াম।
সাধারণ সময়ের মতো অনেক ব্যায়াম
না করাই ভালো। শক্তি বজায় রেখে
হালকা পাতলা ব্যায়াম করাই
ভালো। এ ক্ষেত্রে ২০ মিনিট হাঁটা
যেতে পারে। ডায়াবেটিক
রোগীরা যাঁরা ইনসুলিন নেন, তাঁরা
কোনোভাবেই রক্তের গ্লুকোজ
পরীক্ষা না করে হাঁটবেন না।
রোজায় যাতে হাইপোগ্লাইসেমিয়া
না হয় সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে
হবে।
রোজার আগে চিকিৎসকের কাছে
গিয়ে শরীর পরীক্ষা করিয়ে
নেওয়াটা জরুরি। বিশেষ করে যারা
ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন,
তাদের লিপিড প্রোফাইল,
ক্রিয়েটিনিন, হিমোগ্লোবিন ও
লিভার টেস্ট করানো উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে রোজা
রাখলে সুস্থ থাকা যায়।

Leave a Reply