পবিত্র শবে মেরাজের ফযিলত ও এই রাতের আমল:-
____________________________________________


পবিত্র শবে মেরাজ আগামীকাল ২৪শে এপ্রিল রোজ
সোমবার পালিত হবে। এই মেরাজের প্রতি সকল
মুসলিমের বিশ্বাস আছে। কিছু দুর্বলমনা ঈমানদার ও
অমুসলিমের কাছে এটা রহস্য হয়ে তাদের মনকে অনেক
সময় তোলপাড় করে তোলে। তবে খাঁটি ঈমানদার
বিশ্বাসীদের দৃষ্টিতে অবশ্য এটা অত্যন্ত সহজ ছিলো।
কেননা তারা বিশ্বাস করে যে, হযরত সা. জীবনে মিথ্যা
বলেননি। ‘আল-আমিন’ তথা ‘মহাসত্যবাদী’ ছিলো তার
উপাধি। তাছাড়া সব কথাই যেখানে তাঁর সত্য বলে
প্রমাণিত, সেখানে মেরাজের ঘটনা অসত্য হবে কেন?
মুহাদ্দিসীনগণ বলেছেন—দুনিয়ার রাজা-বাদশাহদের
আগমনে যেমন জনতা আনন্দে উদ্বেলিত হয়ে ওঠে, তার
সম্মানে সব যানবাহন, মানুষের কর্মকাণ্ড বন্ধ থাকে—
তেমনিভাবে মহানবী (স)-এর আগমনে তামাম ব্রহ্মাণ্ডের
কর্মকাণ্ড সাময়িকভাবে বন্ধ ছিল। এখানে স্বাভাবিক
প্রশ্ন হতে পারে যে, মেরাজের এমন মর্যাদাপূর্ণ সফরে
দুনিয়ার সময়ের গতিকে থামানো হলো কেন?
তাফসীরবিদরা এর যৌক্তিক জবাব দিয়েছেন এভাবে—
যদি দুনিয়ার সময়কে চালু রেখেই আল্লাহতায়ালা তার
প্রিয় হাবিবের ২৭ বছরের মেরাজের সফরের সময় পার
করতেন, তাহলে এই সুদীর্ঘ সময়ে জাতি সম্পূর্ণভাবেই
খোদাবিমুখ হয়ে যেত এবং ইসলাম প্রতিষ্ঠার আগেই
ফেতনা-ফ্যাসাদে জড়িয়ে পড়তো। কারণ, হযরত মুসা আ.
মাত্র ৪০ দিন তুর পর্বতে সাধনা করতে গিয়ে উম্মতের
কাছ থেকে দূরে থাকার সময় তার উম্মতেরা বাছুর পূজার
ফেতনায় জড়িয়ে ঈমানহারা হয়ে যায়। মহানবী (স)-এর
দীর্ঘ অনুপস্থিতির কারণে মুশরিকদের পক্ষে ও ইসলামের
বিপক্ষে হয়তো এমন জনমত গড়ে উঠতো, যা’ পরে আর
কাটিয়ে ওঠা মুসলমানদের পক্ষে সহজ হতো না। এ ধরনের
ঘটনা মহানবীর উম্মতের জীবনে ঘটুক, তা’
আল্লাহতায়ালা পছন্দ করেননি বলেই তিনি দুনিয়ার
সময়ের গতি বন্ধ করে দিয়েছেন।
এ রাতে এতদঞ্চলের ধর্মপ্রাণ মানুষ বিশেষ ইবাদত
বন্দেগিতে লিপ্ত থাকতে পছন্দ করে থাকেন। বিশেষত এ
রাতকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন মসজিদে কিংবা বিভিন্ন
সামাজিক সংগঠনের উদ্যোগে ওয়াজ ও দোয়ার মাহফিল
অনুষ্ঠানের আয়োজন করার প্রথা বহুদিন যাবত্ চলে
আসছে। অনেকে এ উপলক্ষে নফল রোজা রাখেন।
তাসবীহ-তাহলীল পাঠ করেন। এর কোনোটিকেই খাটো
করে দেখার সুযোগ নেই। কারণ আল্লাহতায়ালার কাছে
বান্দার যে কোনো আমলই মূল্যবান। কোনো বিশেষ
ব্যবস্থা বা আয়োজন না করে সাধারণভাবে এ রাতে
কবরস্থানে যাওয়া এবং মৃত ব্যক্তিদের জন্যে দোয়া করা
ও দরুদ-ইস্তেগফার পাঠ করে দোয়া করা আবশ্যক। কারণ এ
রাতে রাসূল (স) মেরাজ ভ্রমণে বেহেশত দোযখ
পরিদর্শনকালে জাহান্নামীদের শাস্তি অবলোকন
করেছিলেন। আমাদের দোয়া মৃত ব্যক্তিদের সেই শাস্তি
কিছুটা হলেও লাঘব করতে পারে।
এ রাতে জাগ্রত থেকে আল্লাহর ইবাদত তথা কুরআন
তেলাওয়াত করা, অধিকহারে দরুদ পাঠ করা এবং নফল
নামাজ পড়া যেতে পারে। কারণ এ রাতেই মহান আল্লাহ
মহানবী (স)-এর মাধ্যমে উম্মতের জন্য নামাজ ফরজ
করেন। হাদীস শরীফে ইরশাদ রয়েছে, নবী করীম (স)
বলেন, কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাজের হিসেব হবে।
তাই ফরজ নামাজ ঠিক রেখে নফল নামাজ যত বেশি পড়া
যায় ততই আল্লাহর রহমতের ছায়াতলে ঠাঁই পাওয়া সহজ
হবে। এক হাদীসে রয়েছে, ফরজের পর নফল নামাজের
মাধ্যমে বান্দা আল্লাহর রহমতের যত নিকটবর্তী হয়, অন্য
কোনো আমলে তা সম্ভব হয় না। তাই এ রাতে বেশি বেশি
নফল নামাজ পড়া যেতে পারে। তবে নামাজের জন্য
রাকাত সংখ্যার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই; বরং এই
রাতে সামর্থ অনুযায়ী জামাত ব্যতীত অনির্দিষ্টভাবে
নফল নামাজ পড়া এবং নিজের ও সকল মুসলমানের জন্য
দোয়া করা উচিত। শবে মেরাজে নামাজের রাকাত
সংখ্যা বাড়ানোর মধ্যেই প্রকৃত পুণ্যতা নয়; বরং একাগ্র ও
আন্তরিকতা সহকারে অল্পসংখ্যক নামাজই আল্লাহর
সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য যথেষ্ট। তাছাড়া সকল প্রকার
নামাজেই সূরা ফাতিহা ব্যতীত অন্য কোনো সূরা
নির্দিষ্ট নেই। যার কাছে যেভাবে সহজ মনে হবে,
সেভাবেই নামাজ আদায় করে নেবেন। শবে মেরাজের
পরদিন অর্থাত্ ২৭ রজব নফল রোজা রাখা যেতে পারে।
বর্ণিত আছে, রাসূলে আকরাম (স) যখন মেরাজ ভ্রমণে যান
তখন তিনি রোজা অবস্থায় ছিলেন। তাই তাঁর স্মরণে
রোজা পালন করা অবশ্যই ফজিলত হিসেবে গণ্য হবে।
তবে যে কোনো নফল রোজার ক্ষেত্রে শরীয়তের বিশেষ
মূল নীতি হলো, অন্তত একসঙ্গে দুটি রোজা রাখা। রাসূল
(স) ইরশাদ করেছেন, ইহুদিরা একটি রোজা রাখে। তোমরা
তাদের বিরোধিতা ও আল্লাহর অধিক সন্তুষ্টি অর্জনের
নিমিত্ত অন্তত দুটি রোজা রাখো। তাই রজবের ২৬-২৭ বা
২৭-২৮ তারিখে এই রোজা রাখা উত্তম।

→ ফেইসবুকে আমি←

→ KingBD24.Com ট্রিকবিডির মতই সাইট দেখে আসবেন কিন্তু ←

21 thoughts on "[Islamic Post]পবিত্র শবে মেরাজের ফযিলত ও এই রাতের আমল জেনে রাখুন সব মুসলমান ভাই-বোনেরা। by Muslim Boy"

  1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
    বি দ্রঃ আমি শুধু জানানুর জন্যই পুস্ট করেছি, তাই ভূল হলে ক্ষমা করবেন।
  2. Avatar photo Dibbo Author says:
    যে সকল Contributor রা, trickbd te post করতে পারতেছেন না, তারা আমাদের সাইডে পোষ্ট করুন, → bigowap.com
    রেজিস্ট্রেশন করলেই Author
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ#
  3. Avatar photo TAJIM_SK Author says:
    ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      আপনাকেও ধন্যবাদ#
  4. Avatar photo PipulBD Contributor says:
    nice post
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ# ভাই
    2. Avatar photo PipulBD Contributor says:
      wc
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      welcome bro
  5. Avatar photo Imranpabna Contributor says:
    অনেক সুন্দর পোস্ট ভালো লাগলো….
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      tnx sobar sara pawar jonno
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      tnx sobar sara pawar jonno
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      tnx sobar sara pawar jonno
  6. Avatar photo Md Khalid Author says:
    আছে মহাপাপ = trickbd. com/islamic-stories/288346 = রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবর কে রওজা বলার বিষয়ে বিস্তারীত জেনে নিন –
    1. Avatar photo Shafiq Jr Author Post Creator says:
      etaki bro
    2. Avatar photo Md Khalid Author says:
      ai link a giye dekhun, voy nei trickbd tei ache

Leave a Reply