জান্নাতে সর্ব প্রথম গান শোনাবেন হুরেরা। তাতে কেটে যাবে ৭০ বছর। জান্নাতি বাতাসে গাছের পাতার সাথে মিলিয়ে অপূর্ব এক বাজনা সৃষ্টি করবে। আর জান্নাতের হুরদের সাথে সুর মিলাবে! সুরের মুর্ছনায় গোটা জান্নাত মুখরিত হয়ে যাবে!!
আল্লাহ্ তখন জান্নাত বাসীদের কাছে জানতে চাইবেন, “কেমন লাগলো”? সকলেই জবাব দিবে, “খুব ভাল”, আল্লাহ্ বলবেন, “এর চেয়েও ভাল শোন”? জান্নাত বাসী বলবে “হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি”? তখন আল্লাহ্ হযরত দাউদ (আঃ)কে ডাক দিয়ে বলবেন, “হে দাউদ এবার তুমি শুনাও”!!
দাউদ (আঃ) বলবেন, “হে আল্লাহ্ আমার কন্ঠ তো দুনিয়াতে ছিল যবুর শরীফে”। আল্লাহ্ বলবেন, “তোমার কন্ঠ ফিরিয়ে দিলাম, কোরআন শরীফ শোনাও”! হযরত দাউদ(আঃ) কোরআনের সুরা আর রহমান শোনাবেন! জান্নাত বাসী মুগ্ধ হয়ে যাবে!!
আল্লাহ্ আবার বলবেন, “কেমন লাগলো”? জান্নাতিরা বলবে, “মারহাবা, খুব ভাল লাগলো”! আল্লাহ্ বলবেন, “এর চেয়ে ভাল শোন জান্নাত বাসীরা”। বলবে “হে আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কি হতে পারে”?? আল্লাহ্ পাক রসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কে বলবেন, “হে আমার প্রিয় হাবিব এবার আপনি ওদের শোনান”! রাসুলুল্লাহ্ (সাঃ) কোরআনের হৃদয় সুরা ইয়াসিন তেলাওয়াত করবেন! পুরা জান্নাত আনন্দে মুখরিত হয়ে যাবে আর ধ্বনি তুলবে,”আল্লাহু আকবার”!!
আল্লাহ্ আবারও জানতে চাইবেন, “কেমন লাগলো”? জান্নাত বাসীরা বলবেন, “আল্লাহ্ সবকিছু থেকে এটাই বেশি ভাল লাগলো”! আল্লাহ্ বলবেন, “এর চেয়েও ভাল আছে”। জান্নাতবাসী অবাক হয়ে বলবে, “আল্লাহ্ এর চেয়ে ভাল কিছু আছে”? আল্লাহ্ জবাব দিবেন, “এর চেয়ে ভাল যা তা হলো তোমাদের রব”! আল্লাহ্ বলবেন, “রিজওয়ান (একজন ফেরেস্তা)পর্দা সরিয়ে দাও, আজ আমার বান্দা আমার দীদার করবে, আমাকে দেখবে”! “আল্লাহু আকবার”! পর্দা সরে যাবে ও সবাই আল্লাহর দীদার লাভ করবে!!
আল্লাহুকে দেখার পরে বান্দা অস্থীর হয়ে যাবে! তখন জান্নাতের হুর কি? শরাব কি? নহর কি? ফল কি? সব কিছুকে মূল্যহীন মনে হবে! বান্দা বলবে,”আল্লাহ্ কিছুই চাইনা, শুধু তোমার দীদার চাই!তোমাকে দেখতে চাই”!
আল্লাহ্ আমাদের কে জান্নাতে কবুল করুন! আমিন! তাই আসুন সকলেই যে যেই অবস্থায় আছি নামাজ কায়েম করি! হে আল্লাহ্ তুমি সবাইকে তোমার ৫ ওয়াক্ত সালাত আদায় করার মত তৌফিক দান করুন!
আমিন
অনেক সুন্দর পোষ্ট করছেন ভাই!