প্রথম খন্ড

অর্থনৈতিক পতনের মূল কারণ এবং সুদ
লেনদেন বাহ্যিকভাবে
সুদের লাভ দেখতে অনেক, এমনটা
দৃশ্যমান হলেও, বাস্তবে সুদ হচ্ছে
মানব জীবনে
অর্থনৈতিক দেউলিয়ার মূল কারণ।

জন্ডিস রোগ যেমন মানুষের বাহ্যিক
শরীরকে ঠিক রেখে ভেতরে সম্পূর্ণ
ধ্বংস করে দেয়, তেমনিভাবে সুদের
মুনাফা বেশী দেখা গেলেও বাস্তবে
তা মানুষের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পণ্ড
করে দেয়।

আল্লাহ তা’আলা সুদকে
নিশ্চিহ্ন করেন এবং দান-খায়রাতকে
বর্ধিত করেন। আল্লাহ পছন্দ করেন
না কোন অবিশ্বাসী পাপীকে।
এই
বক্তব্য কে সামনে রেখে যদি আমরা
মানুষের বর্তমান অর্থনৈতিক অবস্থার
দিকে যদি দৃষ্টি দিই, তাহলে আল্লাহ
তা’আলার এই ঘোষণার বাস্তবতা
এবং সত্যতা আমাদের সামনে আরো।
বেশী সম্পষ্ট হয়ে উঠবে। আল্লাহ
তা’আলা অবশ্যই সুদকে মিটিয়ে
দেন, দান-ছাদাকাকে বাড়য়ে দেন।

সুদ মানুষকে উন্নয়নের পথ দেখায়
না, অবনতির পথ দেখায়।

আজকাল দিন দিন সুদের লেনদেন
বাড়ছে। শিল্প এলাকা থেকে নিয়ে
অজপাড়া গাঁয়ে পর্যন্ত সুদের নানান

রকমের জাল বিছিয়ে দেয়া হয়েছে।
মানুষ প্রতিদিন অজ্ঞানে কিংবা
সজ্ঞানে এসব জালে আটকা পড়ছে।
সুদের কারবার যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে
মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থা ততই
খারাপ হচ্ছে । ঋণ নিয়ে সুদ
পরিশোধ করতে না পেরে কত মানুষ
মৃত্যুর পথ বেছে নেয়! এ ধরণের
ঘটনা আমাদের চোখের সামনে
অনেক! অথচ মুসলমানদের উন্নতির
যুগে একজন সাধারণ মুসলমানকেও
সুদের ফাঁদে পা দিতে হত না।
সাধারণ মুসলমান প্রত্যেকেই তার
অর্থনৈতিক অবস্থার যিম্নাদার হতে
পারত । না রাষ্ট্র থেকে ঋণ নেয়ার
প্রয়োজন পড়ত, না সুদভিত্ততিক ঋণ
গ্রহণ করার প্রয়োজন পড়ত। কেউ
অর্থনৈতিক সংকটে পড়লে অন্য
মুসলমান ভাইয়েরা এসে সাহায্যের
হাত বাড়িয়ে দিত।

আজকাল উন্নতি এবং প্রযুক্তির যুগে
মানুষ যে হারে অর্থনৈতিক সংকটে।
আছে, সেই যুগে তার ছিটেফোটাও
ছিলো না। এর মূল কারণ হচ্ছে
হালাল ব্যবসা-বাণিজ্য ছেড়ে দেয়া।
মানুষ যতদিন হালালভাবে ব্যবসা
বাণিজ্য করেছে, ততদিন পর্যন্ত
সমাজ সুদমুক্ত এবং পবিত্র ছিল।
কিন্তু মানুষ যখন অতিরিক্ত লাভের
নেশায় হালাল ব্যবসা ছেড়ে দিল, অন্য
দিকে রাষ্ট্র যখন ইসলামি সমাজ
ব্যবস্থাকে ছেড়ে কুক্ষিগত সমাজ
ব্যবস্থা গড়ে তুলল, তখন থেকেই
মানুষের জীবনে সুদের অভিশাপ শুরু

হল। পৃথিবী আজ এই অভিশাপে
ধুকেঁ ধুকেঁ মরছে আর ধ্বংসের দিকে
এগিয়ে যাচেচ্ছ। আল্লাহ তা’আলা
সত্যিই বলেছেন, আল্লাহ সুদকে
মিটিয়ে দেন, ছাদাকা কে বৃদ্ধি করে
দেন । আল্লাহ তা’আলা আমাদের।
সবাইকে সুদের অভিশাপ থেকে।
হেফাযত করুন।

আমিন।

সৌজন্যেঃ Updateprime

এই টিউন টা যদি আপনার ভাল লাগে, তাহলে আপনার মূল্যবান মন্তব্য করতে ভুলবেন না। আর একটা কথা,ভাল না লাগলে এরিয়ে যান। কমেন্ট এরিয়া দূষিত করার দরকার নাই।

    যে কোন প্রয়োজনেঃ

  1. Facebook: K M Faruk islam


মাদক কে

না বলি,

মাদক মুক্ত

সমাজ গড়ি।


এতক্ষন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ….!!!

2 thoughts on "[ দ্বিতীয় খন্ড ] ব্যবসায়ীক মুনাফা নাকি সুদ….? ব্যবসায়ীক মুনাফা ও সুদ এক নাকি ভিন্ন…? ইসলাম কি বলে।"

    1. K M Faruk islam Author Post Creator says:
      Thanks….. ….

Leave a Reply