আর কদিন পরেই পবিত্র ঈদুল আযহা বা কোরবানির
ঈদ। আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের উদ্দেশ্যে
আত্মোৎসর্গ করাই কোরবানি। শরিয়তের পরিভাষায়,
আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় তাঁর নামে পশু
জবেহ করাকে কোরবানি বলে।এই ঈদে
পোশাক কেনার চেয়েও পরে পশু কেনার ধুম।
তবে কোরবানির ঈদে আনন্দের পাশাপাশি থাকে
কিছু বাড়তি দায়িত্ব। যেমন- পশু কেনা, কোরবানি
দেয়া, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করাসহ নানা ঝামেলা।
আর তাই কিছু বিষয় জেনে নিন যাতে ঝামেলা
এড়ানো সহজ হবে…
কোরবানির পশু কিনতে কিছু সতর্কতা
১. কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার সময় পশু বিষয়ে
অভিজ্ঞ এমন কাউকে সঙ্গে নিতে পারলে
ভালো। তিনি পশু চিনে কিনতে পারেন।
২. হাট থেকে পশু বাড়িতে আনার জন্য একজন

শক্ত-সামর্থ্য লোক সঙ্গে নিন। যিনি পশু বাড়িতে
আনতে সাহায্য করতে পারবেন।
৩. হাটে যাওয়ার সময় টাকা সাবধানে রাখবেন।
৪. পশু কিনতে যাওয়ার সময় ভালো পোশাক না পরাই
উত্তম। তাতে দাগ বা ময়লা লাগার আশঙ্কা থাকে।
৫. হাতে সময় নিয়ে পশুর হাটে যাওয়া উচিত। এতে
ধীরে-সুস্থে দেখেশুনে পশু কিনতে
পারবেন।
৬. গাভী বা বকনা বাছুর না কেনাই ভালো।
৭. গরুর কুঁজ মোটা টানটান হলে গরু সুস্থ হয়।
৮. খাজনার হাত থেকে রেহাই পেতে হাটের
বাইরে থেকে পশু কিনবেন না। এতে লাভবান
হওয়ার চেয়ে চোরাই পশু কেনার আশঙ্কা থাকে।
৯. হাটের খাজনা ঠিকমতো পরিশোধ করুন।
১০. বাহ্যিকভাবে দেখতে সুস্থ-সবল, নিরোগ পশু
কিনুন। রোগ-বালাই আছে কি-না দেখে নিন।
১১. চামড়ার ক্ষত দেখে নিন।
১২. পশুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা
দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা
ভেজা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ।
অসুস্থ গরু খাবার খেতে চায় না।
১৩. পশু কিনেই হাট থেকে পশুর খড় কিনে
ফেলুন।
১৪. হাট থেকে পশু আনার সময় পাটের দড়ি দিয়ে
পশুকে ভালোভাবে বেঁধে আনুন।
১৫. কোরবানির আগেই কসাই ঠিক করে রাখুন।
১৬. মাংস কেটে রাখার জন্য পরিষ্কার চাটাই সংগ্রহে
রাখুন।

Leave a Reply