আসসালামুয়ালাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ !
সুপ্রিয় পাঠক ! আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন ।
আমরা জানি প্রতিটা ঈমানদার জান্নাতে প্রবেশ করবে । যার মনে যার্রা পরিমাণ ইমান আছে সেও জান্নাতে প্রবেশ করবে । কেউ সাথে সাথে , কেউ অল্প সময়ের ব্যবধানে , কেউবা অনেক সময়ের ব্যবধানে ।
যার গুনাহ যত বেশি তার সময়ের ব্যবধানও তত বেশি । যার গুনাহ যত বেশি তাকে তত বেশি জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে , ততবেশি জাহান্নামের শাস্তি সহ্য করতে হবে । আল্লাহ আমাদের সবাইকে বেশি বেশি নেক আমল করার তৌফিক দান করুক । অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখুন । আমিন ।
অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকতে যা যা করতে হবে এবং কি কি আমল করলে জান্নাত প্রাপ্তি আমাদের জন্য আরো সহজ হয়ে যাবে তা একটি হাদিস আপনাদের সামনে তুলে ধরছি ।
মালেক ইবনু মারছাদ তার পিতা হ’তে বর্ণনা করেন,
তিনি বলেন, আবু যার (রাঃ) বলেন,
আমি বললাম, “হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ! কোন আমল মানুষকে জাহান্নাম থেকে পরিত্রাণ দিবে?”
তিনি বললেন,” আল্লাহর প্রতি ঈমান আনয়ন করা ।”
আমি বললাম , “হে আল্লাহর নবী (ছাঃ)! নিশ্চয় ঈমানের সাথে কোন আমল আছে?” তিনি বললেন,” আল্লাহ তাকে যে সম্পদ দান করেছেন তা থেকে দান করবে ।”
আমি বললাম,” হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! সে যদি দরিদ্র হয়, তার নিকট দান করার মত কিছু না থাকে, (তাহ’লে সে কি করবে)?”
আমি বললাম, ” হে আল্লাহর রাসূল! সে যদি অপারগ হয়, সৎ কাজের আদেশ প্রদান ও অসৎ কাজ হ’তে নিষেধ করতে অক্ষম হয়? ”
তাহ’লে তার করণীয় সম্পর্কে আপনার মত কি?
তিনি বললেন, ” তাহ’লে সে মূর্খের জন্য কিছু করবে ( শিক্ষা দিবে ) ।
আমি বললাম ,” যদি সে নিজে মূর্খ হয়, কারো জন্য কিছু করতে সক্ষম না হয়। ” তাহ’লে কি করবে বলে আপনি মনে করেন?
তিনি বললেন, ” অত্যাচারিত কে সাহায্য করবে। ”
আমি বললাম,” সে যদি দুর্বল হয়, অত্যাচারিতকে সাহায্য করতে সক্ষম না হয়, তাহলেকি করবে?”
তখন তিনি বললেন, ” তুমি কি তাহ’লে তোমার ভাইয়ের জন্য কল্যাণকর কিছু করবে না? তুমি অন্তত মানুষকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থাকবে।”
অতঃপর আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ)! সে ঐটা করলে জান্নাতে প্রবেশ করবে?
তিনি বললেন, ” যে মুসলিম উপরোক্ত(পূর্বে বলা) কর্মসমূহের কোন একটি করবে, ক্বিয়ামতের দিন তার হাত ধরে সেগুলো তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবে । ”
(তাবারাণী, মু‘জামুল কাবীর হা/১৬৫০; সিলসিলাছহীহাহ হা/২৬৬৯)।
উপরের হাদিসটি থেকে আমরা দেখতে পাই,
ইমান থাকা আবশ্যক । ইমান আনয়ন করা ছাড়াও যেসকল কাজ গুলো করতে হবেঃ
•বেশি বেশি দান করতে হবে ।
•সৎ কাজ করতে হবে অসৎ কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে । এর পরেই সৎ কাজের আদেশ দিতে হবে এবং মন্দ কাজে নিষেধ করতে হবে ।
• অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো । দূর্বল অত্যাচারিত ব্যক্তিকে সাহায্য করা । অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা ।
• অন্তত কারো মনে আঘাত না করা । এমন কোনো কাজ না করা যাতে কেউ মনে কষ্ট না পায় । কারণ কারো মনে কষ্ট দিয়ে কেউ জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । সর্বশেষ এই কথাটি বলার কারণ এটাই যে , ঈমানদার ব্যক্তি কোনো ভালো কাজ করতে না পারলেও যেন কারো মনে কষ্ট না দেয় । কারণ কারো মনে কষ্ট দেওয়াটাই হতে পারে জাহান্নামে যাওয়ার এক মাত্র কারণ ।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন । আমাদের নেক হায়াত দান করুন । কারো মনে কষ্ট দিলে যেন সাথে সাথেই তার কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিতে পারি । এবং আমল গুলো করার তৌফিক দান করুক । আমীন।
আমার ব্লগ Writer Arman