আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

যে কাপড়ে নারীদের নামাজ কবুল হবে না


নামাজে সতর ঢাকা ফরজ,যখন নামাজে কতটুকু সতর ডাকতে হবে তা অধিকাংশ মহিলারাই জানেন না। যার ফলে ফরজ তরক হওয়ার ফলে অনেক মহিলার সারাজীবনের নামাজ হয় না। আবার নারীদের জন্য নফল নামাজ পড়ার কোনো তাগিদ নেই। তারপরেও দেখা যায় নারীরা নফল নামাজ পড়াতে পুরুষের তুলনায় এগিয়ে থাকে। কিন্তু অনেক নারী কোন ওজর ছাড়া বসে বসে সব নামাজ আদায় করে থাকেন।

নারী-পুরুষ যে কারও জন্যই প্রয়োজন ছাড়া বসে বসে নামাজ পড়লে তাদের নামাজ হবে না। বিশেষ করে ফরজ নামাজ অবশ্যই দাঁড়িয়ে আদায় করতে হবে। কারন সবার জন্য দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করাও একটি ফরজ কাজ। অবশ্য কোনো ওজর থাকলে সেটা ভিন্ন কথা। সাধারণত নারীরা অনেক সময় শাড়ি পড়ে নামাজ পড়ে থাকেন। আর শাড়িতে কোনোভাবেই পর্দা আদায় হয় না।

কেননা শাড়ি পরে নামাজ পড়লে, পর্দা লঙ্ঘন হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। যেহেতু পর্দা নামাজের মতই ফরজ। তাই নামাজের আগে পর্দা ঠিক রেখেই নামাজ আদায় করতে হবে। নারীরা যে পোশাক পরিধান করুন না কেন, সেই নারী যদি অন্ধকার ঘরে একাও নামাজ পড়ে থাকেন তবে নামাজের সময় এই বিষয়গুলোর প্রতি লক্ষ্য রাখতে হবে। যার ব্যতিক্রম হলে নামাজ হবে না।

১. যদি কপালের কাছে কিছু চুল বেরিয়ে যায়।
২. কান একটা বা দুটো বেরিয়ে যায়। ৩. কানের পাশে ঝুলফির চুল বেরিয়ে যায়।
৪. পেছনের চুল বেরিয়ে যায়।

৫. থুতনির নিচে গলার কাছে কোনো অংশে বেরিয়ে যায়।
৬. হাতের কাছে কিছু অংশ বেরিয়ে যায়।
৭. পেট বা পিঠের কাছে কিছু অংশ বেরিয়ে যায়। অর্থাৎ শুধু মুখমন্ডল, হাতের কব্জি ও পায়ের পাতা ছাড়া আর কোন অংশ যদি নামাজের সময় বেরিয়ে যায় এবং এভাবে সারাজীবন নামাজ পড়লে সে নামাজ আদায় হবে না। সে নারী বেনামাজি হিসেবে গণ্য হবে। সর্ববস্থায় নারীদের পোশাক যেমন হবে।

১. নারীদের ফরজ ও সুন্নত পোশাক হলো কামিজ বা মেক্সি । যা গলা থেকে শুরু করে পায়ের গোড়ালির নিচে পাতা পর্যন্ত ঝুলবে। কামিজের বা হাতা কব্জি কিংবা হাতের আঙ্গুল পর্যন্ত লম্বা হতে হবে।
২. আর মাথায় এমন হিজাব বা ওড়না পরিধান করতে হবে যাতে কোনোভাবেই গলা, ঘাড়,কান, মাথা ও ঝুলফির চুল কিংবা বুকের কোনো অংশ, পেটের কোনো অংশ তথা চামড়া দেখা না যায়।
৩.আর ম্যাক্রির নিচে পায়জামা বা সায়া পরিধান করতে হবে। স্বামীর সামনে ছাড়া অন্য সমস্ত জায়গায় সর্বাবস্থায় এই পোশাকগুলো পরিধান করা নারীর জন্য ফরয।

বাড়ি কিংবা ঘরের ভিতর বাহির কাজকর্ম করাসহ সর্বাবস্থায় এ পোশাক পরিধান করা ফরজ এবং এটিই সুন্নতি পোশাক। যেহেতু সর্বাবস্থায়ই এ পোশাক পড়া ফরজ তাই নামাজের ক্ষেত্রে নারীকে এ পোশাক পরিধান করেই নামাজ আদায় করতে হবে।

শাড়ি পরিধানে যদি এ অবস্থার ব্যাতিক্রম হয় তবে শাড়িটি যেমন পর্দার ফরজ আদায় হবে না তেমনি নামাজ আদায় হবে না। মনে রাখতে হবে যদি কারো কাপড় না থাকে তবে সে ব্যক্তি নারী বা পুরুষ যেই হোক না কেন যদি একাকী ঘরে কিংবা অন্ধকার ঘরে উলঙ্গ হয়ে নামাজ আদায় করে তাতে তার নামায আদায় হয়ে যাবে। কিন্তু কাপড় আছে অবহেলা করে পোশাক পরেন নি , ফরজ সতর বেরিয়ে গেছে,সেখানে বেখেয়ালি তাতে নারী-পুরুষ কারোই নামাজ আদায় হবে না।

জীবনভর নামাজ আদায় করলে নামায আদায় হবে না। যেমন কোনো পুরুষ কাপড় থাকা সত্ত্বেও একটা প্যান্ট এমনভাবে ডিল করে পরিধান করে, যার ফলে রুকু করতে গিয়ে নাভির কাছে কিছু অংশ কিংবা কোমরে কিছু অংশ বেরিয়ে যায়, তবে তাতে তার নামায আদায় হবে না। নারীদের পোশাকের ক্ষেত্রে পুরুষ ও দায়িত্বশীল তাদের জন্য সর্তকতা সেটি হলোঃ যে পুরুষের দায়িত্বে কোন নারী থাকে। সে হতে পারে তার স্ত্রী, তার মা, তার বোন ইত্যাদি।

তাদের নামাজের পোশাক ঠিক আছে কিনা, তারা পর্দা করেন কিনা, সে বিষয়ে খোঁজ-খবর রাখা ও কর্তাব্যক্তির একান্ত দায়িত্ব। যদি সে দায়িত্বশীল ব্যক্তি নারীর নামাজের ব্যাপারে কোন খোঁজ খবর না রাখে কিংবা পর্দা ও নামাজের পোশাকের ব্যাপারে সতর্ক না করে বা ব্যবস্থা না করে তবে এসব নারীদের তাদের দায়িত্বশীল পুরুষকে অপরাধী হিসেবে সাব্যস্ত করবে।

সুতরাং দায়িত্বশীল সব পুরুষের উচিত হবে। নারীর নামাজের পোশাক কিংবা পর্দার পোশাক সঠিক আছে কিনা সে বিষয়ে খোঁজ-খবর নেওয়া। এটা পুরুষের জন্য ফরয দায়িত্ব। কেননা রাসূলুল্লাহ সাল্লাহু সাল্লাম বলেছেন→ দুনিয়াতে প্রত্যেকটি মানুষই দায়িত্বশীল এবং প্রত্যেকে তার দায়িত্ব সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।( মুসলিম হাদিস নাম্বারঃ ৪৮২৮)

অর্থাৎ নামাজ শুদ্ধ হওয়ার অন্যতম একটি শর্ত হলো সতর ঢেকে রাখা। নামাজী পুরুষের নাভির নিচ থেকে হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখা ফরজ। মহিলাদের মুখমণ্ডল ও দুই হাতের কব্জি পর্যন্ত টাখনুর নিচে পায়ের পাতা ছাড়া সব অঙ্গ কে ঢেকে রাখা ফরজ। তবে বিনা ওজরে পুরুষের মাথা, পেট পিঠ, হাতের কনুই খোলা রেখে নামাজ পড়লে তা আদায় হয়ে গেলেও মাকরুহ হবে।( সূত্রঃফতোয়ায়ে হিন্দিয়া ১/১০৬)

ঢেকে রাখা অঙ্গগুলোর কোন একটির এক চতুর্থাংশ বা এর অধিক ইচ্ছাকৃত এক মুহূর্তের জন্য খুললেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। আর যদি অনিচ্ছাকৃত এক-চতুর্থাংশ বা তার বেশি খুলে যায় তাহলে তার জন্য তিন তাজবি পরিমাণ সময় খোলা থাকলে নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। অর্থাৎ এক শতাংশ কম হলে ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক নামাজ নষ্ট হবে না। যদি একাধিক জায়গায় সামান্য করে খোলা থাকে তাহলে এর সমষ্টি ছোট একটি অঙ্গের এক-চতুর্থাংশ পরিমাণ হলেও নামাজ হবে না। (সূত্রঃরদ্দুল মুহতার ১/৩৭৯)

মহিলাদের চুল ও সতরের অন্তর্ভুক্ত, একটি চুলের এক-চতুর্থাংশের বা ততোধিক খুলে গেলেও নামাজ নষ্ট হয়ে যাবে। (তাবয়ীনুল হাক্বায়েক্ব ১/৯৭) অনুরূপ এতো পাতলা পোশাক, যাতে বাইরে থেকে ভেতরের অঙ্গগুলোর রঙ দেখা যায় তা দিয়ে নামাজ পড়লেও নামাজ শুদ্ধ হবে না।( সূত্রঃরদ্দুল মুহতার ১/৩৮১)

অনেক পুরুষ নামাজের আগে তাদের টাখকুর কাপড় উপরে উঠিয়ে নেন, এটি অত্যন্ত জরুরী বিষয়। একটি হাদীসে এসেছে, টাখনুর নিচের কাপড় পরিধানকারীর নামাজ হবে না। তবে তা শুধু নামাজের সময়ের আমল নয়, যদিও নামাজের সময় এর গুরুত্ব আরো বেড়ে যায়। বরং পুরুষের লুঙ্গি পাজামা প্যান্ট ইত্যাদি নামাজের ভিতরে বাহিরে সর্বদা টাখনুর উপর কাপড় পরিধান করা অপরিহার্য। হাদীস শরীফে এ বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা এসেছে। (সুনানে আবু দাউদ হাদিস নাম্বারঃ ৬৩৮, বুখারি হাদিস নাম্বারঃ ৫৭৮৭)

কেউ কেউ প্যান্ট এতো নিচে পরিধান করেন যে সতরের অংশবিশেষ খুলে যায়, তাতে নিজের নামাজের তো ক্ষতি হচ্ছেই, উপরন্তু অন্যদেরও অসুবিধা হয়। কারণ এটি দেখতে দৃষ্টিকটু লাগে এবং নামাজে কোন ব্যক্তি যখন রুকু বা সিজদা করে তখন অনেক সময় দেখা যায়,সেই প্যান্ট পরা পুরুষ ব্যাক্তির নিতম্বের কিছু অংশ দেখা যায়।

এতে করে অন্য মুসল্লির নামাজে মনোযোগ নষ্ট হয়। মহান আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহর সব নারীকে পর্দা পালন করার এবং নামাজের ক্ষেত্রে উল্লেখিত বিষয়গুলো মেনে নামাজ আদায় করার তৌফিক দান করুন এবং দায়িত্বশীল পুরুষদেরকে এ বিষয়ে তদারকি করার তৌফিক দান করুন আমীন।

Trickbd তে অনেকেই পোস্ট কতে চান কিন্তু করতে পারছেন না। আপনারা Techtunar.Com ওয়েবসাইটে পোস্ট করতে পারেন।এখানে একাউন্ট করলেই author।এখানে প্রতি পোস্টের জন্য ৫-৫০ টাকা পর্যন্ত দেওয়া হয়।পোস্টের মানের উপর ভিত্তি করে। Techtunar.Com

আশা করি সবাই সবকিছু বুঝতে পেরেছেন। কোথাও সমস্যা হলে কমেন্ট করে জানাবেন অথবা ফেসবুকে জানাতে পারেন ফেসবুকে আমি

2 thoughts on "যে কাপড়ে নারীদের নামাজ কবুল হবে না । যে কাপড়ে নারীদের নামাজ পড়া নিষিদ্ধ"

  1. স্বপ্ন Author says:
    সুন্দর পোস্ট ?
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ?

Leave a Reply