আসসালামু আলাইকুম । আশা করি সকলে ভালো আছেন । আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি । যাই হোক আমি বেশি কথা বাড়াতে চাই না সরাসরি পোস্টের কথাতে চলে আসতে চায় ।
অনেকেই হয়তো পোস্টের টপিক দেখেই বুঝে ফেলেছেন যে আজ আমি কোন বিষয় নিয়ে লিখতে যাচ্ছি । আজ আমি আপনাদেরকে একজন নারীর মযাদা কুরআনুল কারিমের আলোকে বিশ্লেষণ করব । আশা করি সকলে আমার আজকের পোস্ট পড়বেন । ভালো লাগলে লাইক এবং কমেন্ট করবেন ।
ইসলাম একটি শান্তির ধম । এ ধম যতটা কঠোর ঠিক ততটাই নরম । যদি কেউ ইসলাম ধমের অনুসারি হয় তবে সে অনুভব করতে পারে । ইসলামের প্রতিটি আইন যদি কেউ নিজের মতো করে নিজ নিজ ভাবে আয়ত্ত করে তবে তার জন্য ইসলাম সহজ হয়ে যাবে । অন্যান্য লোকদের ক্ষেত্রে তা কঠিন হয়ে পড়বে । আমি এটাকে আরও সহজে বুঝিয়ে দিচ্ছি ।
গণিতে সূত্র যদি কেউ বুঝতে পারে বা মুখস্ত রাখে তাহলে তার জন্য অংক সহজ হবে । আর অন্যদের ক্ষেত্রে তা কঠিন হয়ে পড়বে । যেমনটি আমি উপরোক্ত ক্ষেত্রেও বোঝাতে চেয়েছি ।
এবার আসি মূল কথাতে ফিরে আসি । নারীরা যদি ইসলামের আইনগুলো মেনে চলে তবে তারা ইসলাম ধমকে সহজ মনে করবে । যদি না করে তাহলে তা কঠিন মনে করবে । তাই ইসলামকে আয়ত্ত করা প্রত্যেক নারীর দায়িত্ব । এতে তাদের জান্নাত পাওয়া সহজ হবে ।
ইসলামে নারীদেরকে উপযুক্ত মযাদা দেওয়া হয়েছে । পৃথিবীর প্রথম নারী হযরত হাওয়া (আ) । আর প্রথম মানুষ হযরত আদম (আ) ।আর এই দুজনই প্রত্যেক নর নারীর সৃষ্টি । তাই তাদের দুজনকে বৈষম্য না করা হলে আর কোন নারী পুরুষকে বৈষম্য করা যাবে না । আল্লাহ তায়ালা নিজেই পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করেছেন,” আদমের প্রত্যেকটি সন্তানকে সম্মানিত করেছি “।
আল্লাহ তায়ালা সূরা আন নাহলের ৫৮ ও ৫৯ নম্বর আয়াতে বলেছেন যে এমন কিছু কিছু সম্প্রদায় ছিল যারা কন্যা সন্তান চাইত না । কন্যা সন্তান হলে তা জীবিত অবস্থাতে কবর দিত । আল্লাহ তায়ালা এই কাজকে নিকৃষ্ট হিসেবে অ্যাখ্যায়িত করেছেন ।
মহানবি (স) এর আবিভাবের পর এই সকল প্রথা লোপ পায় । হাদিসের প্রমাণ সাপেক্ষে বলা যায় যে মহানবি (স) নারীদের মযাদা রক্ষায় বিভিন্নভাবে প্রচার প্রচারণা চালান । তার একটি বাণী ছিল “মায়ের পদতলে সন্তানের জান্নাত” ।
এই বাক্যটি দ্বারাই বোঝা যায় নারীদের মযাদা কতটুকু ।
পবিত্র কুরআন মজিদে উল্লেখ রয়েছে,”নারীদের তেমনি ন্যায়সংগত অধিকার রয়েছে যেমন আছে তাদের পুরুষের উপর”। (বাকারা,আয়াত ২২৮)
এছাড়া কুরআন মজিদে আরও রয়েছে “স্ত্রীরা স্বামীদের ভূষণ এবং স্বামীরা স্ত্রীদের ভূষণ ।” (সুরা বাকারা,আয়াত ১৮৭)
শুধু তাই নয়, উত্তরাধিকার সূত্রে একজন পুরুষ যে পরিমাণ সম্পদ পান তার বাবার কাছ থেকে একজন নারী তার অধেক পান । কিন্তু নারী পরবতীতে তাঁর স্বামীর কাছ থেকেও সম্পদ পান । এমনকি প্রয়োজনীয় বিদ্যা অজন এবং অথ উপাজনে ইসলাম অনুমতি দান করেছে তবে তা পদাসহকারে ।
মহানবি (স) বিদায় হজের ভাষণে বলেন,”তোমরা নারীদের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় কর । কেননা তোমরা আল্লাহর সাথে অঙ্গীকারবদ্ধ ।(মুসলিম)
অথাৎ কুরআন ও হাদিসেই নারীদেরকে সম্মান দেওয়া হয়েছে । অন্য কোথাও এরকম সম্মান দেওয়া হয় না । নারীদের পায়ের নিচে যদি জান্নাত রেখে দেওয়ার কথা পযন্ত বলা হয়েছে । এর থেকে বেশি আর কত মযাদা দিতে পারে । একটি সন্তানের জান্নাতের মালিক বলা যেতে পারে নারীদেরকে । এর থেকে বেশি আর কি হবে??
আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে সঠিক বুঝ দান করুন । আমিন ।
তো আজ এতটুকুই ছিল । পরবতীতে আরও ভালো ভালো পোস্ট দেওয়ার চেষ্টা করব ।