আসসালামু আলাইকুম সবাই কেমন আছেন…..? আশা করি সবাই ভালো আছেন । আমি আল্লাহর রহমতে ভালোই আছি ।আসলে কেউ ভালো না থাকলে TrickBD তে ভিজিট করেনা ।তাই আপনাকে TrickBD তে আসার জন্য ধন্যবাদ ।ভালো কিছু জানতে সবাই TrickBD এর সাথেই থাকুন ।

দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন ৪ টি প্রশ্ন!

পবিত্র কোরান এমন একটি ধর্ম গ্রন্থ যেখানে সকল প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। তবে এটা জানত না এক ইয়াহুদী ধর্মযাজক। ইসলামের দ্বিতীয় খলিফা হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু কে বিপদে ফেলার জন্য ধর্মযাজক আশ্চর্যজনক চারটি প্রশ্ন করেন আর বলেন যদি এই চারটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন তবে আমি ইসলাম কবুল করব আর না পারলে ইসলামের নামে উল্টাপাল্টা কথা ছড়িয়ে দেব। হযরত ওমরকে করে আশ্চর্যজনক চারটি প্রশ্ন আসলে কি বা এর উত্তর কি হবে সব জানাবো এই আর্টিকেলে ইনশাআল্লাহ চলুন মূল আলোচনা শুরু করা যাক।

ইসলামী খেলাফতের তখন স্বর্ণযুগ চলছে ফারুকে আজম আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু ছিলেন তখন খলিফা। তৎকালীন পরাশক্তি পারস্য, রোমসহ প্রায় অর্ধেক পৃথিবী মুসলমানের প্রদানত। ইসলামের এই বিজয়কে থামাতে একের পর এক কূটকৌশল সাজাতে ব্যস্ত ইহুদিরা। তেমনি এক অপকৌশলের অংশ হিসেবে কয়েকজন ইহুদি ধর্ম যাজক হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু এর দরবারে এলেন তারা খলিফাকে প্রস্তাব দিল যে তারা চারটি প্রশ্ন করবে। এই প্রশ্ন গুলোর উত্তর আসমানী কিতাব থেকে নিতে হবে।

সেটা হোক তাওরাত, যাবুর, ইঞ্জিল অথবা কোরআন থেকেই হোক উত্তর আসমানী কিতাব থেকেই হতে হবে। বলে রাখা ভাল প্রশ্নগুলোর উত্তর আসমানী কিতাব সমূহ উল্লেখ আছে। মুসলমানদের কেউ এর উত্তর দিতে পারলে যাজকরা সবাই ইসলাম গ্রহণ করবে। কিন্তু যদি কেউ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর দিতে না পারেন তবে যাজকরা ইসলামী খেলাফতের সর্বত্র এই পরাজয়ের কথা ছড়িয়ে দেবে যার পরিণতিতে ইসলামী খেলাফতের ভাবমর্যাদা চরম সংকটের সম্মুখীন হবেন। আমীরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু তাদের শর্তে রাজি হলেন তাঁরা চারটি প্রশ্ন করল।

প্রথম প্রশ্নঃ দুজন জমজ ভাই যারা একসঙ্গে জন্মগ্রহণ করে ও পরবর্তীতে একই সঙ্গে মারা যায় কিন্তু তাদের উভয়ের বয়সের মধ্যে 100 বছরের পার্থক্য এরা কোন দুই ভাই এদের মাঝে বয়সের পার্থক্য কেন…?

দ্বিতীয় প্রশ্নঃ পৃথিবীর একটি স্থান যেখানে সূর্যের কিরণ মাত্র একবারই পড়েছিল এর আগে কখনো সেখানে সূর্যের আলো পরেনি ভবিষ্যতে পড়বেও না কোন জায়গায় এটি….?

তৃতীয় প্রশ্নঃ একটি কবর তার ভেতরে একটি লাশ কিন্তু কথা হল এই কবরে ও প্রাণ আছে তার ভেতরকার লাশটির ও প্রাণ আছে ওই কবরটি লাশকে নিয়ে ঘুরে বেড়ায় একসময় লাশটা কবর থেকে বের হয়ে আসে এটি কোন কবর ও কোন লাশ…?

চতুর্থ প্রশ্নঃ একটি কারাগারের ভেতর একজন বন্দী। বন্দীটি সেখানে কোন প্রকার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারলেও দিব্যি বেঁচে থাকে। এটি কোন কারাগারে বন্দিটিই বা কে….?

আমীরুল মুমিনীন ওমর ফারুক (রা.) তালা আনহু এই বিচিত্র প্রশ্নগুলো শুনে প্রখ্যাত সাহাবী হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদকে ডেকে পাঠালেন। তিনি ছিলেন আসমানী কিতাব সমূহের গবেষক ও বিশারদ,বিজ্ঞফাকি এবং মুফাসসিরে কুরআন। হযরত ইবনে মাসউদ খলিফার কাছ থেকে প্রশ্ন গুলো মনোযোগ দিয়ে শুনলেন শুনে বললেন আমিরুল মুমিনীন আপনি কোন চিন্তা করবেন না তারা এখনই তাদের উত্তর পেয়ে যাবে। অতঃপর তিনি প্রশ্নের উত্তর দিতে শুরু করলেন।

প্রথম প্রশ্নের উত্তরঃ এই দুই ভাই হলেন ইহুদিদের নবী হযরত উযায়ের আলাই সাল্লাম ও উনার ভাই তারা দুজন একই সঙ্গে জন্মগ্রহণ করেন।একদিন উযায়ের আলাই সাল্লাম এক জনমানবহীন প্রান্তর অতিক্রম করছিলেন। প্রাণশূণ্য খাখা ময়দান দেখে তিনি বললেন হে আল্লাহ এরকম স্থান কি কখনো আবাদ হতে পারে। এ কথা বলার কিছুক্ষণ পর তিনি এক গাছের তলায় ঘুমিয়ে গেলেন। আল্লাহপাক তাঁর স্বীয় কুদরত দেখানোর জন্য নবীকেই বেছে নিলেন। তিনি উযায়ের প্রাণ নিয়ে নিলেন। 100 বছর নবী উযায়ের আলাই সাল্লাম প্রাণহীন ভাবেই ঘুমিয়ে রইলেন। তাই উনার বয়স আর ভারলে না তারপর ঘুম থেকে উঠে নবী দেখলেন সেই প্রান্তর জনমানুষের কোলাহলে ভরপুর। সেখানে আবাদ হয়ে গেছে পরবর্তীতে নবী উযায়ের ও উনার ভাই একই দিনে মারা যান। উল্লেখ্য সেই জায়গাটি ছিল বাইতুল মুকাদ্দাসের
এলাকা তথা জেরুজালেম।

দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ সেই স্থানটি হলো নীল নদের ওপর ভেসে ওঠে রাস্তা বনী। ইসরাঈলদের নিয়ে নীলনদ পার হবার সময় হযরত মুসা আলাই সালাম পানিতে তার লাঠি দ্বারা আঘাত করেছিলেন। তখন আল্লাহ পাকের কুদরতে পানির ওপর ১২টি রাস্তা ভেসে উঠেছিল। পরবর্তীতে ফেরাউন ও তার দলবল নীলনদ পার হতে গেলে রাস্তাটি ডুবে যায়। এই রাস্তাটিতে মাত্র একবার সূর্যের কিরণ পতিত হয়েছিল। ওই রাস্তাটি আর কখনো বাসবেও না আলো কখনো পড়বেনা।

তৃতীয় প্রশ্নের উত্তরঃ সেই কবর হলো হযরত ইউনুস আল্লাহ সালামকে গিলে ফেলা মাছটি আর লাশ হলেন হযরত ইউনুস আলাইহিস সাল্লাম।মাছটিও জীবিত ছিল নবীও জীবিত ছিলেন। পরে হযরত ইউনুস আলাইহিস সাল্লাম সেখান থেকে পরিত্রান লাভ করেন।

চতুর্থ প্রশ্নের উত্তরঃ সেই বন্দীটি হচ্ছে মায়ের গর্ভে থাকা বাচ্চা। মায়ের গর্ভে থাকা শিশুটির কোন প্রকার শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে না পারলেও আল্লাহ তাআলার অসীম দয়ায় সুস্থভাবে বেঁচে থাকে আমিরুল মু’মিনীন হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর উত্তর শুনে অত্যন্ত আনন্দিত হলেন তাঁর জ্ঞানের গভীরতা প্রশংসা করলেন। আর ইসলামী খেলাফতের মান-মর্যাদা ধূলায় মিশিয়ে দেবে আকাঙ্ক্ষায় আশা পাদ্রীরা এই উত্তর শুনে চমকে গেলো। লজ্জায় তাদের মাথা নত হয়ে এলো। কুরআনের অসমতায় অভিভূত হয়ে তারা সবাই হযরত ওমর (রা.) তালা আনহু এর হাতে ইসলাম কবুল করলেন। শুধুমাত্র এই ঘটনাই নয় ইসলামের শক্তিকে থমকে দেবার জন্য এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। তবে দিনশেষে ইসলামের বিজয় হয়েছে। আলহামদুলিল্লাহ প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোনেরা ইয়াহুদীদের পরাজয়ে আপনারা কে কতটুকু আনন্দিত হয়েছেন জানিয়ে দিন কমেন্ট বক্সে।

আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল প্রয়োজন হলে আমার সাথে যোগাযোগ করতে পারেন ফেসবুকে আমি

4 thoughts on "দুনিয়ার সবচেয়ে কঠিন ৪ টি প্রশ্ন! যে প্রশ্ন করে হযরত ওমর (রা.) কে বিপদে ফেলতে চেয়েছিল ইহুদিরা!"

  1. Monirul99 Contributor says:
    খুব ভালো
    1. MD Shakib Hasan Author Post Creator says:
      ধন্যবাদ ?

Leave a Reply