অন্য ধর্ম ইহজগতের ব্যাখ্যা করতে পারে কিনা সে বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তবে ইসলামে এর ব্যাখ্যা আছে। আপনার আমার চোখে হয়তো তা ধরা পরছে না, এটা আমাদের সীমিত জ্ঞানের সমস্যা। কারন আমাদের ইমাজিন করার ক্ষমতা খুবই সীমিত। আমার কাছে একটা পাওয়ার পয়েন্ট স্লাইড আছে তা এখানে দিতে পাচ্ছিনা ব্লগের টেকনিক্যাল জটিলতার কারনে। সেটি দেখলে আপনি বুঝতেন আমাদের ইমাজিন করার ক্ষমতা কত সীমিত।
বিজ্ঞানীরা প্রথমে একটা হাইপোথেসিস স্থির করে। বলুন তো এই হাইপোথেসিসটা অন্ধকারে ঢিল ছোঁড়া নাকি বাস্তব ব্যাখ্যা? কিন্তু ইসলামে কোন হাইপোথেসিস কি আপনি দেখাতে পারবেন যে ইসলামের সৃষ্টিকর্তা ইহজগত সম্পর্কে একটা হাইপোথেসিস স্থির করে অন্ধকারে ঢিল ছুঁড়ে দিয়েছেন, আর আমাদের বলেছেন তোরা মানুষ খুঁজে বেড়া আমি কি চাই।
আমার ব্যাক্তিগত বৈজ্ঞানিক গবেষনার বাস্তব ঘটনা বলি। আপনার জানা আছে কিনা জানি না। পবিত্র কোরআনে একটি আয়াত আছে যার মোটামুটি অর্থ “তোমরা তোমাদের ফলের গাছগুলোতে একই পানি দেও, একই যত্ন নেও। ফলগুলি দেখতে একই রকম কিন্তু আমি স্বাধে গন্ধে তাদের প্রত্যেকের মধ্যে আলাদা করে রেখেছি। এর মধ্যে তাদের জন্য আমার নিশানী আছে যারা চিন্তা ভাবনা করে”। এই আয়াতের আগে পিছে আরো কথা আছে। আমি শুধু এটিই আপনার দৃষ্টি গোচর করছি।
আমি পেশায় একজন পরিবেশ বিজ্ঞানের গবেষক। আমি জাপানে ১৯৯৮ সালে একটি গবেষনায় কাজ করতাম। সে সময় আমি ধর্মকর্মে এতটা সিরিয়াস ছিলাম না। শুধু জুম্মা’র নামাজ পড়তাম। একদিন এক জুম্মায় ঈমাম খুৎবায় এই আয়াতটি’র উপর পুরা ১ ঘন্টা আলোচনা করলেন। আমি ফেরার পথে বন্ধুদের বল্লাম “আমি বুঝলাম না এই ১টি আয়াতের উপর ঈমাম পুরা ১ ঘন্টা লেকচার দিলেন এমন কি গুরুত্ব এই আয়াতে?” আমার গবেষনার একটা প্রজেক্ট ছিল আঙ্গুর ফলের উপর। আঙ্গুর ফলকে ঝোপা সহ গাছ থেকে হার্ভেষ্ট করার পর খুব তাড়াতাড়ি ফল পচে যায়। আবার লক্ষ্যনিয় একই ঝোপার সব ফল একসাথে পচে না। প্রত্যাকটা ফল আলাদা সময়ে পচে। আমার গেবষনার হাইপোথেসিস ছিল নিশ্চই প্রতিটি ফলে এমন কিছু রাসায়নিক বিক্রিয়া হয় যার ল্যাগটাইম প্রত্যেকের থেকে আলাদা। আমার এই হাইপোথেসিসের আলোকে কাজ শুরু করলাম। ১০ টি গাছের প্রতি গাছ থেকে ১০টি ঝোপা, প্রতি ঝোপা থেকে ১০টি ফল মোট ১০০০ ফল রেন্ডোমলি নির্বাচন করতঃ তার কেমিক্যাল প্রোফাইল ষ্ট্যাডি করলাম। আমি অবাক ১০০০ ফলের ক্যামিক্যাল কম্পোজিশন ১০০০ রকমের। কারোর সাথে কারোর মিল নাই। কারোর এটা আছে আন্যটা নাই। আবার একই সাইজের একই ওজনের বিভিন্ন ফলে ক্যামিক্যালের পরিমানও সিগনিফেন্ট লেভেলে তারতম্য যা কল্পনাও করা যায় না।
আপনার হয়তো মনে হবে আমি গল্প বলছি। আমার সেদিনই মাথায় ক্লিক করে উঠলো ঈমামের সেই খুৎবার কথা। আমি কোরআনের বাংলা অনুবাদ খুজে বের করে তার সত্যতা মিলালাম। আপনার বিশ্বাস হবে না সেদিন আমি যে অনুভুতি নিয়ে কিবলার দিকে আল্লাহ’র প্রতি সিজদা করেছিলাম সেই অনুভূতি নিয়ে আজো সিজদা করার চেষ্টা করছি। এ আল্লাহ’র বিশেষ রহমত আমার প্রতি। আমার গবেষনার ২ বছর পর ব্রিটিশ আর এক পিএইচডি ছাত্র আমার গবেষনার ফলাফরের উপর ভিক্তি করে সে একটা হাইপোথেসিস স্থির করে। তার ধারনা এটা সম্ভব হতে পারে ফলের এনজাইম সিস্টেমে জীন সুইচ অফ/অন হবার ঘটনা ঘটতে পারে পরিবেশের তারতম্যে।
এখন বলুন আমার বিজ্ঞানী গবেষনায় যা আমি হাইপোথেসিস করেছিলাম কিন্তু কোরআনে তা হাইপোথেসিস ছিল না বরং কোরআনে এটি একটি প্রতিষ্ঠিত সত্য হিসেবে কোরআনের লেখক তা লিখেছেন বিজ্ঞানী ও বিজ্ঞানের জন্মের বহু আগে। আমার কোরআন সম্পর্কে জ্ঞান সীমিত ছিল বলে আমার কাছে ঈমামের এক আয়াতের খুৎবা কানেই শুধু বেজেছিল মনে ধরেছিল না। এখন কানেও বাজে মনেও ধরে।
এই লেখাটি এখান থেকে সংগৃহীত । ভাল টুইষ্ট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন ।
One thought on "অন্য ধর্ম ইহজগতের ব্যাখ্যা করতে পারে কিনা সে বিষয়ে আমার জ্ঞান খুবই সীমিত। তবে ইসলামে এর ব্যাখ্যা আছে।"