আসসালামু আলাইকুম….. প্রিয় বন্ধু, ভাই ও বোনেরা…. আজ একটি সামাজিক ব্যাধি নিয়ে আলোচনা করবো। হ্যা, এটা আসলেই সামাজিক রোগ বা ব্যাধি। আগে না দেখলে পর্ব – ১ ও পর্ব -২ কস্ট করে দেখে নিবেন।
ঈদ এলে আমাদের মুসলিম দের যাকাত দেয়া ফরজ।যাকাতের মূল উদ্দেশ্য দারিদ্র বিমোচন।
== কিন্তু আমরা যা করি তাতে দারিদ্রতা বিমোচন হয়না। কারন আমরা সবাইকে শাড়ি আর লুঙ্গি দেই। কিন্তু যাকে দিলাম তার শাড়ি লুঙ্গি নাও লাগতে পারে। অথচ টাকা দিলে সে যা দরকার তা কিনে নিতে পারতো, তাইনা?
এভাবে অনেকেই যাকাত দেয় অথচ মানবতা বর্জন করে গরিবদের দেয়া হয় ছেঁড়া টাকা অথবা নিম্ন মানের শাড়ি লুঙ্গি।….. কেনো???
======== গরিবদের কি ঈদ নেই? তাদের কি ছেড়া শাড়ি আর লুঙ্গি না দিয়ে টাকা দেয়া যায়না? নাকি তারা টাকা গুনতে পারেনা?
শাড়ি ও লুঙ্গি দিলেও কি ভালো গুলা দেয়া যায়না? নাকি তারা পড়তে জানেনা? তাদের শরীরের চামড়া আবর্জনা দিয়ে তৈরি?…..
হাস্যকর বিষয় হলো – এটা আবার ছবি ও উঠায়, ভিডিও করে। কি জানি দিচ্ছে!!!
♦ আমরা কি দিই? ছেড়া টাকাটা আগে দিয়ে ভালো টাকাটা রেখে দেই অথবা পরে দেই।
♦ আরো কি করি? যে শাড়ি আর লুঙ্গি দেই তা নিজেরা জীবনেও পড়িনা। এত ঘৃনা করি, আর যাদের দেই তাদেরও ঘৃনা করি। ওহহহ!!
♥ আসুন দেখি এই বিষয়ে ইসলাম কি বলে।
১. সব সময় ভালোটা দান করতে হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহি আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “সে ততক্ষন মুমিন হতে পারবেনা যতক্ষন না সে নিজের জন্যে যা পছন্দ করে, অপরের জন্যেও তাই পছন্দ করে।“ (আল হাদিস, সহিহ বুখারী)
২. বিদায় হাজ্জের ভাষনে রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন — “তোমরা যা খাবে তাদেরও তাই খাওয়াবে, তোমরা যা পড়বে তাদেরও তাই পরাবে“
৩. আল্লাহ্ রাব্বুল আলামিন বলেছেন —- “তোমরা এমন কিছু দান করে থাকো যা তোমাদের দিতে গেলে চোখ বন্ধ না করে নাও না।“
অর্থাৎ ঘৃনা করো।
তাই আসুন … আমরা মানুষদের মানুষ মনে করতে চেষ্টা করি। গরিবদের ২-৫ টাকা বেশি দিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করি, দারিদ্র বিমোচনে ভূমিকা রাখি।….
6 thoughts on "ঈদ ঊল ফিতর ও আমাদের নিচু মানুষিকতা – (শেষ পর্ব)"