[ প্রতম পর্ব ] পবিত্র কুরবানির মাসআলা ” সকল নিয়ম দেওয়া হলো ” যারা কুরবানি দেবেন আপনারা অবশ্যই সব টুকু পড়বেন ” এবং সটিক নিয়ম টি যেনে রাখবেন all Muslim ↓↓ Post by Reja
আসসালামুঅালাইকুম, সবাই কেমন আছেন ? আসাকরি ভালই অাছেন, আজ আপনাদের সাথে অালোচনা করবো, কুরবানির বিষয় নিয়ে,।
সবাইকে ঈদের অগ্রীম শুভেচ্ছা জানিয়ে, আমি আমার অাজকের টিউন টি শুরু করতেছি।
** কুরবানী একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। এটি
আদায় করা ওয়াজিব। **
.
## সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও যে ব্যক্তি এই
ইবাদত পালন করে না তার ব্যাপারে হাদীস
শরীফে এসেছে, ‘যার কুরবানীর সামর্থ্য
রয়েছে কিন্তু কুরবানী করে না সে যেন
আমাদের ঈদগাহে না আসে।’-মুস্তাদরাকে
হাকেম, হাদীস : ৩৫১৯; আত্তারগীব
ওয়াত্তারহীব ২/১৫৫
.
## ইবাদতের মূলকথা হল আল্লাহ তাআলার
আনুগত্য এবং তাঁর সন্তুষ্টি অর্জন। তাই
যেকোনো ইবাদতের পূর্ণতার জন্য দুটি বিষয়
জরুরি। ইখলাস তথা একমাত্র আল্লাহর
সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে পালন করা এবং
শরীয়তের নির্দেশনা মোতাবেক মাসায়েল
অনুযায়ী সম্পাদন করা। এ উদ্দেশ্যে এখানে
কুরবানীর কিছু জরুরি মাসায়েল উল্লেখ হল।
.
** কার উপর কুরবানী ওয়াজিব **
.
## মাসআলা : ১. প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থমস্তিষ্ক
সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারী, যে ১০
যিলহজ্ব ফজর থেকে ১২ যিলহজ্ব সূর্যাস্ত
পর্যন্ত সময়ের মধ্যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত
নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হবে তার
উপর কুরবানী করা ওয়াজিব।
.
## টাকা-পয়সা, সোনা-রূপা, অলঙ্কার, বসবাস ও
খোরাকির প্রয়োজন আসে না এমন জমি,
প্রয়োজন অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও
অপ্রয়োজনীয় সকল আসবাবপত্র কুরবানীর
নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য।
.
## আর নিসাব হল স্বর্ণের ক্ষেত্রে সাড়ে সাত
(৭.৫) ভরি, রূপার ক্ষেত্রে সাড়ে বায়ান্ন
(৫২.৫) ভরি, টাকা-পয়সা ও অন্যান্য বস্ত্তর
ক্ষেত্রে নিসাব হল এর মূল্য সাড়ে বায়ান্ন
তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ হওয়া। আর
সোনা বা রূপা কিংবা টাকা-পয়সা এগুলোর
কোনো একটি যদি পৃথকভাবে নেসাব
পরিমাণ না থাকে কিন্তু প্রয়োজন
অতিরিক্ত একাধিক বস্ত্ত মিলে সাড়ে
বায়ান্ন তোলা রূপার মূল্যের সমপরিমাণ
হয়ে যায় তাহলেও তার উপর কুরবানী করা
ওয়াজিব।-আলমুহীতুল বুরহানী ৮/৪৫৫;
ফাতাওয়া তাতারখানিয়া ১৭/৪০৫
.
** নেসাবের মেয়াদ **
.
## মাসআলা ২. কুরবানীর নেসাব পুরো বছর
থাকা জরুরি নয়; বরং কুরবানীর তিন দিনের
মধ্যে যে কোনো দিন থাকলেই কুরবানী
ওয়াজিব হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬,
রদ্দুল মুহতার ৬/৩১২
.
** কুরবানীর সময় **
.
## মাসআলা : ৩. মোট তিনদিন কুরবানী করা
যায়। যিলহজ্বের ১০, ১১ ও ১২ তারিখ সূর্যাস্ত
পর্যন্ত। তবে সম্ভব হলে যিলহজ্বের ১০
তারিখেই কুরবানী করা উত্তম। -মুয়াত্তা
মালেক ১৮৮, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৮, ২৩,
ফাতাওয়া হিন্দিয়া ৫/২৯৫
.
** নাবালেগের কুরবানী **
.
## মাসআলা : ৪. নাবালেগ শিশু-কিশোর তদ্রূপ
যে সুস্থমস্তিষ্কসম্পন্ন নয়, নেসাবের মালিক
হলেও তাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়।
অবশ্য তার অভিভাবক নিজ সম্পদ দ্বারা
তাদের পক্ষে কুরবানী করলে তা সহীহ হবে।-
বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৬, রদ্দুল মুহতার
৬/৩১৬
.
** মুসাফিরের জন্য কুরবানী **
.
## মাসআলা : ৫. যে ব্যক্তি কুরবানীর
দিনগুলোতে মুসাফির থাকবে (অর্থাৎ ৪৮
মাইল বা প্রায় ৭৮ কিলোমিটার দূরে
যাওয়ার নিয়তে নিজ এলাকা ত্যাগ করেছে)
তার উপর কুরবানী ওয়াজিব নয়। -ফাতাওয়া
কাযীখান ৩/৩৪৪, বাদায়েউস সানায়ে ৪/১৯৫,
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩১৫
.
** নাবালেগের পক্ষ থেকে কুরবানী **
.
## মাসআলা : ৬. নাবালেগের পক্ষ থেকে
কুরবানী দেওয়া অভিভাবকের উপর ওয়াজিব
নয়; বরং মুস্তাহাব।-রদ্দুল মুহতার ৬/৩১৫;
ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫
দরিদ্র ব্যক্তির কুরবানীর হুকুম
.
## মাসআলা : ৭. দরিদ্র ব্যক্তির উপর কুরবানী
করা ওয়াজিব নয়; কিন্তু সে যদি কুরবানীর
নিয়তে কোনো পশু কিনে তাহলে তা
কুরবানী করা ওয়াজিব হয়ে যায়। -বাদায়েউস
সানায়ে ৪/১৯২
** কুরবানী করতে না পারলে **
.
## মাসআলা : ৮. কেউ যদি কুরবানীর
দিনগুলোতে ওয়াজিব কুরবানী দিতে না
পারে তাহলে কুরবানীর পশু ক্রয় না করে
থাকলে তার উপর কুরবানীর উপযুক্ত একটি
ছাগলের মূল্য সদকা করা ওয়াজিব। আর যদি
পশু ক্রয় করে ছিল, কিন্তু কোনো কারণে
কুরবানী দেওয়া হয়নি তাহলে ঐ পশু জীবিত
সদকা করে দিবে।-বাদায়েউস সানায়ে
৪/২০৪, ফাতাওয়া কাযীখান ৩/৩৪৫
.
** প্রথম দিন কখন থেকে কুরবানী করা
যাবে **
.
## মাসআলা : ৯. যেসব এলাকার লোকদের উপর
জুমা ও ঈদের নামায ওয়াজিব তাদের জন্য
ঈদের নামাযের আগে কুরবানী করা জায়েয
নয়। অবশ্য বৃষ্টিবাদল বা অন্য কোনো ওজরে
যদি প্রথম দিন ঈদের নামায না হয় তাহলে
ঈদের নামাযের সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর
প্রথম দিনেও কুরবানী করা জায়েয।-সহীহ
মুখতার ৬/৩১৮
** রাতে কুরবানী করা **
.
## মাসআলা : ১০. ১০ ও ১১ তারিখ দিবাগত
রাতেও কুরবানী করা জায়েয। তবে দিনে
কুরবানী করাই ভালো। -মুসনাদে আহমাদ,
হাদীস : ১৪৯২৭; মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/২২,
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০, কাযীখান ৩/৩৪৫,
বাদায়েউস সানায়ে ৪/২২৩
.
** কুরবানীর উদ্দেশ্যে ক্রয়কৃত পশু সময়ের
পর যবাই করলে **
.
## মাসআলা : ১১. কুরবানীর দিনগুলোতে যদি
জবাই করতে না পারে তাহলে খরিদকৃত পশুই
সদকা করে দিতে হবে। তবে যদি (সময়ের
পরে) জবাই করে ফেলে তাহলে পুরো গোশত
সদকা করে দিতে হবে। এক্ষেত্রে গোশতের
মূল্য যদি জীবিত পশুর চেয়ে কমে যায়
তাহলে যে পরিমাণ
মূল্য হ্রাস পেল তা-ও
সদকা করতে হবে।-বাদায়েউস সানায়ে ৪/২০২,
আদ্দুররুল মুখতার ৬/৩২০-৩২১
.
** কোন কোন পশু দ্বারা কুরবানী করা
যাবে **
.
## মাসআলা : ১২. উট, গরু, মহিষ, ছাগল, ভেড়া ও
দুম্বা দ্বারা কুরবানী করা জায়েয। এসব
গৃহপালিত পশু ছাড়া অন্যান্য পশু যেমন হরিণ,
বন্যগরু ইত্যাদি দ্বারা কুরবানী করা জায়েয
নয়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস সানায়ে
৪/২০৫
.
** নর ও মাদা পশুর কুরবানী **
.
## মাসআলা : ১৩. যেসব পশু কুরবানী করা
জায়েয সেগুলোর নর-মাদা দুটোই কুরবানী
করা যায়। -কাযীখান ৩/৩৪৮, বাদায়েউস
সানায়ে ৪/২০৫
ধন্যবাদ সবাইকে, পোস্ট টি পড়ার জন্য। ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করে, আপনার মূল্যবান মতামত টি জানাবেন, কোনু ভুল হলে ছোট ভাই হিসেবে ক্ষমা করবেন।
.
সৌজন্যঃ→ আমাদের সাইট→ TigerBD24.com ←
সময় পেলে ২য় পর্ব নিয়ে আপনাদের মাঝে আবারও হাজির হবো, সেই পর্যন্ত আমার সাথেই থাকুন, কপি করলে অবশ্যই ক্রেডিড দেবেন ।
→প্রয়োজনে ফেইসবুকে আমি←
Fb.com/Reja143
Fb.com/Reja1.ID