বর্তমান সময়ের একটি বড় সমস্যা হলো ইনকারে হাদিস- হাদিস অস্বীকার করা। রাসুল [সা.]-এর হাদিস যে শরীআতের প্রমাণ এ কথা কুরআনের আয়াত এবং রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের স্পষ্ট বাণীর দ্বারা প্রমাণিত। কোনো হাদিসের কোনো সনদ কিংবা বাণীতে দুর্বলতা থাকার কারণ সেটাকে হাদিস না মানা কিংবা সম্ভাব্য একাধিক অর্থ হওয়ার কারণে বিশেষ কোনো প্রমাণের ভিত্তিতে তার প্রকাশ্য অর্থ বাদ দিয়ে অন্য কোনো ব্যাখ্যা করার বিষয়টি ভিন্ন কথা। এটা তো আমাদের সাহাবায়ে কেরামের সময় থেকেই চলে আসছে। এটা মূলত হাদিসের ক্ষেত্রে শুদ্ধতা ও বিশুদ্ধতার বিরোধ। হেদায়েত কিংবা গোমরাহির বিরোধ নয়। কিন্তু হাদিস শরীয়াতের দলীল সরাসারি এই কথাকে অস্বীকার করা। হাদিসকে শরীয়তের অকাট্য প্রমাণ হিসাবে না মানা এবং তাকে অনুসরণযোগ্য মনে না করে ঠাট্টা, বিদ্রুপ করা- এটা একটা ভয়ানক গোমরাহি এবং ইসলামের বিকৃতির নামান্তর।
এই সম্পর্কে মোল্লা আলী কারী (র.) খোলাসাতুল ফাতাওয়ার সূত্রে উল্লেখ করেছেন, আমাদের কোনো কোনো শায়েখ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোনো হাদিসকে প্রত্যাখ্যান করবে তাকে কাফের বলে অভিহিত করা হবে। পরবর্তীকালের ফকিহগণ বলেছেন, যদি কেউ মুতাওয়াতির (ধারাবাহিকভাবে বর্ণিত হাদিস) হাদিসকে অস্বীকার করে তাহলে তাকে কাফের বলে অভিহিত করা হবে। এটাই বিশুদ্ধ অভিমত। অবশ্য যদি কেউ খবরে ওয়াহিদকে (একজন থেকে বর্ণিত হাদিস) তাচ্ছিল্য কিংবা ঠাট্টা করে প্রত্যাখ্যান করে তাহলে সেও কাফের (শরহে ফিকহে আকবার, ২৪৭)। সুতরাং এই ক্ষেত্রে আমাদের উচিত সর্তক থাকা।
One thought on "কি হবে হাদিস অস্বীকার করলে?"