পাপ কাজের ফসল হচ্ছে জাহান্নাম, পাপ কাজ থেকে
বাচার জন্য কিছু উপায়…
মানুষের অন্তরটা একটা পাত্রের মতো। আপনি যদি
অন্তরটাকে ভালো জিনিস দ্বারা পূর্ণ করেন তাহলে
খারাপ জিনিসগুলো ঢুকতে পারবেনা। আবার আপনি যদি
আপনার অন্তরটাকে খবিস জিনিস দ্বারা আচ্ছন্ন করে
রাখেন, নফস (প্রবৃত্তি) ও শাহওয়াত (লোভ-লালসা/
কামনা-বাসনা ইত্যাদি), শয়তানের আনুগত্যকে মেনে
নেন, ভালো জিনিসগুলো আপনার অন্তরে
প্রবেশ করবেনা।
উদাহরণস্বরূপ, যার অন্তরে কুরানুল কারীমের নূর,
হেদায়েত প্রবেশ করবে তার অন্তরে গান-বাজনা,
ফাসেক (পাপিষ্ঠ) গায়ক/গায়িকার জন্য সম্মান,
ভালোবাসা জায়গা করতে পারেনা। সে তার অন্তরে
খবিস (নাপাক) ও মুনকার (হারাম ও খারাপ কাজগুলো)
জিনিসের প্রতি এতোটা তীব্র ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা
পোষণ করবে যে, তার গান শুনতে ভালো
লাগলেও, গান শোনার প্রচন্ড ইচ্ছা থাকা সত্ত্বেও,
আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয়ের কারণে
এইগুলো থেকে দূরে থাকবে। এইজন্য ওলামারা
বলেছেন – কোনো বান্দার অন্তরে গান-বাজনা ও
কুরান, এই দুইটা জিনস একই সাথে স্থান দখল করতে
পারেনা। কারণ, কুরান হচ্ছে আল্লাহ তাআ’লার নাযিল
করা ঈমানের নূর বা আলো, আর গান-বাজনা হচ্ছে
মুনাফেকীর অন্ধকার।
আপনি খারাপ কাজ থেকে বাচতে হলে –
সবচেয়ে জরুরী হলো – আপনার ঈমানকে
মজবুত করা। ঈমানের একটা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিষয়
হচ্ছে – “আল-ওয়ালা ওয়াল বারা” – শুধুমাত্র আল্লাহর
জন্যই কোন কিছুকে ভালোবাসা আর শুধুমাত্র
আল্লাহর জন্যই কাউকে ঘৃণা করা। রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম “আল-ওয়ালা ওয়াল বারাকে”
ঈমানের মজবুত একটি হাতল বলেছেন।
কাফেরদের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে আজকাল
অধিকাংশ নারীরাই নিজেদের সম্মান ও ইজ্জত
বিসর্জন দিয়ে বেপর্দা হয়ে চলাফেরা করে, স্কুল-
কলেজ, রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত, মার্কেট সব
জায়গাতেই বেপর্দা, অর্ধনগ্ন, কাপড় পড়েও উলংগ –
এমন নারীদের সংখ্যা মহামারীর মতো বেড়ে
গেছে। চরিত্রহীন, লম্পট নারী-পুরুষেরা
প্রকাশ্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হচ্ছে।
অপরদিকে পুরুষদের জন্য নারীদেরকে
এমনিতেই মোহনীয় ও আকর্ষণীয় করে
দেওয়া হয়েছে। এমন পরিবেশে দ্বীনদার
ভাইদের জন্য চোখের জেনা, অন্তরের জেনা,
অংগ-প্রত্যংগের জেনা থেকে বাচা কঠিন হয়ে
গেছে। অপরদিকে আল্লাহর প্রতি দাসত্ব ও
আনুগত্য হিসেবে, জাহান্নানের কঠিন শাস্তি (আগুনে
পুরে রোস্ট হওয়া, নাইযুবিল্লাহ) থেকে বাচার জন্য
নিজেকে হারাম ও পাপ কাজ থেকে বাচা ছাড়া উপায়
নেই। প্রবৃত্তির গোলামী করে নিজের নফস ও
শাহওয়াত অনুযায়ী চলে, শয়তানের আনুগত্যের
প্রতিদান জাহান্নামের অপমামানজনক শাস্তি ছাড়া আর
কিছুইনা।
এই ধরণের পাপ কাজ থেকে বাচতে হলে
আপনাকে এই ব্যপারগুলো সম্পর্কে সচেতন
হবে –
.
১. যারা বেপর্দা চলাফেরা করে, ফাহেশা নারী,
দাইয়ুস পুরুষ, এরা কারা, এদের সংজ্ঞা কি, ইসলামে
কেনো এরা নিন্দনীয়, দুনিয়া ও আখেরাতে
এদের কি ভয়াবহ শাস্তির অপেক্ষা করছে যা কুরান ও
সহীহ হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে –
এসম্পর্কে বিস্তারিত ব্যখ্যা বিশ্লেষণ সহকারে
আপনাকে জানতে হবে। এটা হলো দ্বীন
সম্পর্কে “ইলম” (জ্ঞান) হাসিল করা। এর জন্য
আপনাকে কুরান ও সুন্নাহ অনুযায়ী সহীহ
আকীদার আলেমদের বই পত্র পড়তে হবে,
তাদের ওয়াল লেকচার শুনতে হবে, সম্ভব হলে
তাদের হালাকা ও দারসগুলোতে সরাসরি নিয়মিত
অংশগ্রহণ করতে হবে। এইভাবে আপনার “ইলম”
বৃদ্ধি পেলে আপনার “ঈমান” মজবুত হবে। ঈমান
বৃদ্ধি পেলে দুনিয়া, আখেরাত, জান্নাত-জাহান্নাম,
পাপের কাজ পুণ্যের কাজ এই ব্যাপারগুলো আপনার
কাছে পরিষ্কার হবে – অন্তর্দৃষ্টিতে এইগুলোর
সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান অর্জিত হবে। এর ফলে
আরো বেশি করে সতকর্মের দিকে আগ্রহী
হবেন, পাপ কাজ সেটা যতই প্রিয় ও আকর্ষণীয়
হোক – সেটা থেকে বাচার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা
করবেন।
এখানে একটা অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হচ্ছে –
বর্তমান অধিকাংশ মুসলিন নারী ও পুরুষেরা দ্বীন
শেখার ব্যপারে অত্যন্ত গাফেল ও মারাত্মক
রকমের অলস। সবাই দুনিয়ার পেছনের ছুটছে, গান-
বাজনা, অবৈধ নারী পুরুষের পেছনে টাকা ও সময়
নষ্ট করছে। একেতো দ্বীন শেখার
নির্ভরযোগ্য মাধ্যম খুবই কম, তার উপরে কেউ
মানুষগুলোই রাগের মাথায় বিবিকে ১০০ তালাক দিয়ে
পরে এসে ফতোয়া জানতে চায় – কিভাবে বিবিকে
হালাল করা যায়, “হিল্লার” মতো নিকৃষ্ট খবিস পথ খুজে
বেড়ায়। এইভাবে অজ্ঞ থেকে সে নিজেকে
ও তার আশেপাশের মানুষদেরকে বিপদে
ফেলে।
.
যাইহোক, দ্বীন শেখার জন্য আপনাকে অনেক
মেহনত করতে হবে। শুধু ফেইসবুক, টিভি এইরকম
মাধ্যমগুলোর উপরে আপনারা নির্ভর করবেন না।
বড় বড় আলেমদের লেখা “সহীহ কিতাব”
পড়বেন, এইগুলো অধ্যায়ন করে এর থেকে
দ্বীনের জ্ঞান আহরণ করবেন। এমন যাতে নাহয়
কালকে ছেলের আকীকা দেবেন – আজকে
এসে বলবেন, ইমার্জেন্সি আকীকার উপরে
পোস্ট দেন। আপনাকে মনে রাখতে হবে মুফতি
মুহাদ্দিস সবসময় আপনার জন্য রেডী থাকবেনা –
আপনার জন্য ফতোয়া দেওয়ার জন্য। আলেমরা
আগে থেকেই তাদের দারসে এইগুলো শিক্ষা
দিয়েছেন, এর উপরে সহীহ বই লিখে প্রকাশ
করছেন। আপনি কোনদিন সেই বই কিনে
পড়বেন না, ওয়াজ লেকচার শুনবেন না, আর আশা
করবেন – আপনার জন্য কেউ না কেউ সবসময়
রেডি থাকবে – চাহিবা মাত্রই ফতোয়া দেওয়ার
জন্য? জান্নাতে যাওয়া কি শুধু হুজুরদেরই গরজ,
আপনার দ্বীন সম্পর্কে জেনে তার উপর আমল
করার কোন প্রয়োজন নেই?
.
সাবধান!
এমন অনেক প্রশ্নের উত্তরদাতা এখন আছে,
মনগড়া ফতোয়াবাজি করে বেড়ায়, ইসলাম নাম দিয়ে
মানুষকে শিরক-বেদাত শিক্ষা দিয়ে জাহান্নামে পাঠায়!
কেয়ামতের আগে আমরা এখন সেই সময়ে
বসবাস করছি – যখন প্রকৃত “ফকীহ” কম, আর
“ওয়ায়েজ” বা বক্তার সংখ্যা বেশি! এইরকম বহু
ওয়ায়েজ ইতিমধ্যেই প্রকাশিত হয়েছে – যারা
আলেম না থাকার কারণে মানুষ তাদেরকেই বড়
আলেম মনে করে, আর সেই সমস্ত মূর্খ বক্তারা
মনগড়া ফতোবাজি করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত/
পথভ্রষ্ট করছে…
আপনি যদি ইসলাম শেখার ব্যপারে সিরিয়াস ও সিনসিয়ার
নাহন, খুব সহজেই এইসমস্ত এফএম মুফতিদের
পাল্লায় পড়ে দ্বীনকে ধ্বংস করবেন (ওয়াল ইয়াযু
বিল্লাহ)!
.
২. পাপ কাজ ও যাদেরকে সতর্ক করে দেওয়ার
পরেও পাপ কাজে লিপ্ত থাকে তাদের প্রতি ঘৃণা
পোষণ করাঃ
“পাপীকে নয় পাপ কাজকে ঘৃণা করো” – এই রকম
কোন কথা কুরান হাদীসে নাই, বরং এর বিপরীত
অনেক কথাই আছে।
যারা শিরক বেদাতে লিপ্ত থাকে, যারা প্রবৃত্তির
অনুসারী হয়ে শয়তানের গোলামি করে বেড়ায়,
এদের প্রতি অন্তরে ঘৃণা পোষণ করা – এটা আপনার
“ঈমানী” দায়িত্ব। আপনি যদি একটা বেপর্দা
মেয়েকে দেখে তার প্রতি ঘৃণা ও বিতৃষ্ণা
পোষণ করেন, তাহলে আপনার জন্য সহজ হবে
তার সৃষ্ট ফেতনা থেকে নিজেকে বাচাতে। কিন্তু
আপনি যদি তাদেরকে সহজ-স্বাভাবিকভাবে নেন,
তাদের সাথে বন্ধুত্ব রাখেন – মোস্ট প্রবাবলি
আপনার আল্লাহর প্রতি ভালোবাসা ও ভয় কমে যাবে,
আপনি ঐ নারীর ফেতনায় ডুবে আপনার তাক্বওয়া,
দ্বীনদারী ধ্বংস হয়ে যাবে।
এখানে একটা ব্যপার লক্ষণীয়, ঘৃণা পোষণ করার
অর্থ এইনা যে, ব্যক্তিগতভাবে আপনি কাউকে তুচ্ছ
তাচ্ছিল্য করবেন, অপমান করবেন। না, বরং পাপ
কাজে লিপ্ত থাকে যারা তাদেরকে দাওয়াত দেওয়ার
জন্য তাদের সাথে ভালো ব্যবহার করবেন, সুন্দর
করে বোঝানোর ও উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা
করবেন। কিন্তু যদি তারা পাপকাজের প্রতি অনড় থাকে
আর উপদেশ নাশুনে, তাহলে নিজেকে তাদের
ফেতনা থেকে দূরে রাখবেন। কারণ পাপীদের
সাথে উঠাবসা করা, তাদের পাপ কাজের প্রতি দুর্বল
অবস্থান নেওয়া – আপনার নিজের ইমানের জন্যই
ক্ষতিকারক।
এইরকম ক্ষেত্রে আপনাকে রাসুল সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর “সীরাত” (জীবনী)
থেকে মধ্যমপন্থাকে বেছে নিতে হবে –
মানুষের সাথে সম্পর্ক রাখার ক্ষেত্রে। আর
সেইজন্য আপনাকে নির্ভরযোগ্য সীরাত গ্রন্থ
থেকে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
আদর্শ জেনে নিতে হবে।
তবে এখানে উল্লেখ্য যে, সম্পর্ক রাখা বলতে
গায়ের মাহরাম পুরুষ নারীর মাঝে উদ্দেশ্য না,
গায়ের মাহরাম নারী-পুরুষের যোগাযোগ অনেক
রেস্ট্রিক্টেড একটা ব্যাপার। অনেক ভাইদেরকে
দেখা যায় ছেলে বন্ধুদের থেকে মেয়ে
বন্ধুদের হেদায়েতের জন্য বেশি পরিশ্রম
করে, এটা আসলে মেয়েদের সাথে
যোগাযোগ রাখা, কথা বলার একটা বাহানা।
.
করে রাখার জন্য চেষ্টা করা, যাতে করে শয়তান
ওয়াসওয়াসা দিতে না পারে, কোনো ফেতনা
আপনাকে সহজেই গ্রাস করতে না পারে। ভালো
কাজ করার জন্য ও খারাপ কাজ থেকে বেচে থাকার
জন্য নিজের অন্তরের বিরুদ্ধে “মুজাহাদা” (কঠোর
সংগ্রাম) করা। আপনাকে চেষ্টা করতে হবে –
যথাসম্ভব নেকের কাজে নিজেকে জড়ীত রাখা।
হারাম থেকে বেচা থাকা, ফরয দায়িত্ব পালন করার
পাশাপাশি নফল সালাত, নফল সাওম, যিকর-আযকার, দুয়া-দুরুদ,
দান-সাদাকা, পরোপকার…
এক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজ ও কার্যকারী হচ্ছে
“যিকর” – বা আল্লাহকে স্বরণ করা। এটা আসলে
অপ্রতিদ্বন্দ্বী কার্যকরী একটা উপায়। যিকরের
ফলে সবসময় আপনার অন্তরে আল্লাহর প্রতি ভয়,
বিনয় ও ভালোবাসা, তার শ্রেষ্ঠত্ব ও মহিমার কথা
জাগ্রত থাকবে। এমন অবস্থায় চরম ফাহেশা কোন
মেয়েও যদি আসে, অথবা শয়তান আপনাকে বড়
রকমের কোন পরীক্ষায় ফেলে সেটাকে
উপেক্ষা করে আল্লাহর অনুগত থাকা আপনার জন্য
সহজ হবে।
ঘুম থেকে উঠা থেকে নিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার পূর্ব
পর্যন্ত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কখন
কোন দুয়া পড়েছেন, কোন কাজটা কিভাবে
করেছেন – এইগুলো মুখস্থ করতে হবে এবং
চেষ্টা করতে হবে এইগুলো সাধ্য অনুযায়ী
আমল করার – এটাই হচ্ছে চূড়ান্ত সফলতার রাস্তা।
সংক্ষেপে সুন্নাহ ও দুয়া জানার জন্য “১০০০ সুন্নত”
ও “হিসনুল মুসলিম” এই বই দুইটা বারবার পড়বেন,
কখনোই হাতছাড়া করবেন না। অবসর সময় পেলেই
বইগুলো পড়বেন, দুয়াগুলো আস্তে আস্তে
মুখস্থ করার চেষ্টা করবেন। আর “সুন্নাহ” বা
জীবন আদর্শ জানার জন্য
.
৪. দুয়া করা – কারণ আমরা বলি লা হা’উলা ওয়ালা ক্বুওয়্যাত
ইল্লা বিল্লাহ – আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত পাপ কাজ
থেকে বেচে থেকে নেকের কাজ করার
জন্য আমাদের কোন সামর্থ্য বা শক্তি নাই। বেশি
বেশি করে হেদায়েত, তাক্বওয়া, হায়াতে ত্বাইয়্যিবা,
কবুল আমল এইগুলো চাইবেন। আর এ সম্পর্কিত
কুরানে ও হাদীসে যেই দুয়াগুলো আছে
সেইগুলো অর্থসহ আরবীতে মুখস্থ করবেন।
আরবীতে হৃদয়কে বলা হয় ক্বালব, যার একটা অর্থ
হচ্ছে – যেই জিনিস খুব দ্রুত পরিবর্তন হয়ে যায়।
একারণে মানুষ আজকে যাকে ভালোবাসে, কাল
তাকে ঘৃণা করে।
কেয়ামতের আগে এমন হবে মানুষ সকালে
ঈমানদার থাকবে, সন্ধ্যা সময় কাফের হয়ে যাবে।
আবার মানুষ সন্ধ্যা সময় ঈমানদার থাকবে, সকালে
কাফের হয়ে যাবে।
এইজন্য হৃদয় যাতে পরিবর্তন না হয়ে যায় রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বার বার এই দুয়া করতেনঃ
ﻳَـﺎ ﻣُـﻘَـﻠِّـﺐَ ﺍﻟْـﻘُـﻠُـﻮْﺏِ ﺛَـﺒِّـﺖْ ﻗَـﻠْـﺒِـﻰْ ﻋَـﻠَـﻰ ﺩِﻳْـﻨِـﻚَ
উচ্চারণঃ ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলুব! সাব্বিত ক্বালবী আ’লা
দ্বীনিক।
অর্থঃ হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তন করার মালিক! আমার
হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর অবিচলভাবে
প্রতিষ্ঠিত রাখো।
সুনানে তিরমিযী।
ﺍَﻟﻠﻬﻢ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺳْﺄَﻟُﻚَ ﺍﻟﻬُﺪَﻯ، ﻭَﺍﻟﺘُّﻘَﻰ، ﻭَﺍﻟﻌَﻔَﺎﻑَ، ﻭَﺍﻟﻐِﻨَﻰ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই দোআ’
করতেনঃ
“আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত্তুক্বা ওয়াল
আ’ফা-ফা ওয়ালগি’না”।
অর্থঃ হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি তোমার নিকট
হেদায়েত, পরহেজগারি, অশ্লীলতা হতে পবিত্রতা
এবং স্বচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।
.
৫. পাপ কাজের মাধ্যম বা রাস্তাগুলো বন্ধ করা –
পাপাচারী, বেদ্বীন, দ্বীনের ব্যপারে
উদাসীন, খারাপ কাজে লিপ্ত ও সেইদিকে দাওয়াত
দেয় এমন বন্ধু/বান্ধবী, সম্প্রদায়, মাধ্যম, স্থান –
এমন যাকিছু সমস্ত কিছুকে বর্জন করা, তাদেরকে
বাধা দেওয়া বাতাদের সাথে বিরোধীতা করা। গায়ের
মাহরাম নারীদের সাথে যোগাযোগ সম্পর্ক ছিন্ন
করলে আপনার প্রেম-ভালোবাসা, পরকীয়ার
নোংরামি শেষ হবে, টিভি চ্যানেল, পত্রিকা বাদ দিলে
অশ্লীলতা দূর হবে। এইরকম যেটা আপনাকে পাপ
কাজের দিকে নিয়ে সেটা জায়েজ হলেও
সেটাকে বাদ দিতে হবে।