একটু চিন্তা করুন ও সতর্ক হনঃ পোশাকের কারণে
জাহান্নামী
.
>> পুরুষঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
“তিন প্রকার লোক এমন রয়েছে,
– যাদের সাথে আল্লাহ কথা বলবেন না,
– কেয়ামতের দিন তাদের দিকে তাকাবেন না,
– তাদেরকে পবিত্র করবেন না
বরং, তাদের জন্য রয়েছে কঠিন শাস্তি।”
আমি (আবু হুরাইরা) বললাম, হে আল্লাহর রাসুল!
তারা
কারা? ওরা তো ক্ষতিগ্রস্ত!
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,
“তারা
হচ্ছে,
(১) টাখনুর নিচে কাপড় পরিধানকারী (পুরুষ),
(২) ব্যবসার সামগ্রী মিথ্যা কসম দিয়ে বিক্রয়কারী
এবং
(৩) কাউকে কিছু দান করার পর তার খোটাদাতা।”
সহীহ মুসলিম, ঈমান অধ্যায়, নং ২৯৪।
.
কলেজ-ইউনিভার্সিটি পড়ুয়া অনেক যুবক ভাইয়েরা
যুগের সাথে তাল মিলিয়ে ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের
মতো টাখনুর নীচে প্যান্ট পরছেন। অনেকে
রাসুল (সাঃ) এর আদেশ মোতাবেক টাখনুর উপরে
প্যান্ট পরতে লজ্জা পায়…লোকে কি বলবে?
সুবহা’নাল্লাহ!
আজকাল অনেক মুসলিম নামধারী মহিলারা লজ্জা-
শরমের মাথা খেয়ে যৌন উত্তেজক, খোলামেলা
পোশাক পড়ে রাস্তায় বের হচ্ছে, টাখনুর উপরে
টাইটস পড়ছে। অনেক মহিলারা চরিত্রহীন,
ব্যভিচারী নায়িকা/গায়িকাদের অনুকরণ করে
উপরে পোশাক পরতে লজ্জা বোধ করছেনা।
পক্ষান্তরে, আমাদের যুবক ভাইয়েরা
নিজেদেরকে মুসলমান দাবী করে, কিন্তু
নিজেকে জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাচানোর
জন্য টাখনুর উপরে প্যান্ট পরার সাহস পায় না।
.
>> নারীঃ
নবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“(আমার পরে) দুই প্রকার জাহান্নামী মানুষ আসবে,
যাদেরকে আমি আমার যুগে এখনো দেখতে
পাচ্ছিনা।
এক প্রকার হচ্ছে, ঐ সকল মহিলা যারা “কাপড়
পরিধান
করেও উলংগ” থাকবে। তারা সাজ-সজ্জা করে পর
পুরুষকে আকৃষ্ট করবে এবং নিজেরাও অন্য
পুরুষদের প্রতি আকৃষ্ট থাকবে। তাদের মাথার
খোপা (সাজ সজ্জা ও ফ্যাশানের দরুণ) উটের
কুঁজের মত এদিক ওদিক হেলানো থাকবে। তারা
জান্নাতে প্রবেশ করবে না, এমনকি তারা
জান্নাতের
সুগন্ধিটুকুও পাবে না। অথচ, জান্নাতের সুগন্ধি পাঁচশ
বছর রাস্তার দূরত্ব থেকেও অনুভব করা যাবে।”
সহীহ মুসলিমঃ ২১২৮।
.
শায়খুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া রাহিমাহুল্লাহ
এই
হাদীসের ব্যখ্যায় বলেছেন, “কাপড় পড়েও উলংগ
কথাটির অর্থ হচ্ছেঃ সেই সমস্ত নারী, যারা এতো
পাতলা কাপড় পরিধান করে যে, কাপড়ের মধ্য দিয়ে
তাদের গায়ের চামড়া দেখা যাবে। অথবা এমন টাইট
পোশাক পরবে যে, যার কারণে তাদের
শরীরের আকৃতি বোঝা যায়।” মাজমু’ ফাতাওয়াঃ
১৪৬/২২।
.
হে মুসলমান ভাইয়েরা সাবধান!
আপনার স্ত্রী, কন্যা, বোন যদি “তাবাররুজ” করে
পরে পুরুষদের যৌন সুড়সুড়ি দিয়ে বেড়ায়, তাহলে
আপনি একজন দাইয়ুস। আপনি নামায রোযা করেও,
সাদা
দাড়ি, লম্বা পায়জামা পরেও, সিজদা দিতে দিতে
কপালে
কালো দাগ ফেলে দিলেও আপনার ঘরের
বেপর্দা, অশ্লীল নারী কেয়ামতের দিন
আপনাকেসহ জাহান্নামে প্রবেশ করবে। আমরা
মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
.
>> Hell is not a JOKE.
জাহান্নামের কঠিন শাস্তির সামান্য বর্ণনাঃ
আল্লাহ তায়া’লা বলেন “নিশ্চয়ই সীমালংঘনকারী
অবাধ্য লোকদের জন্যে জাহান্নাম শত্রুর মতো
ওত পেতে বসে আছে, তাদেরকে গ্রাস করার
জন্য। তারা সেখানে শতকের পর শতক ধরে
থাকবে। কিন্তু সেখানে তারা তৃপ্তিদায়ক কোন
খাবার
বা পানি খেতে পারবেনা। তাদেরকে শুধুমাত্র ফুটন্ত
গরম পানি ও দুর্গন্ধযুক্ত পচা পূজ খাওয়ানো হবে।
এটাই হচ্ছে তাদের উপযুক্ত প্রতিদান, কারণ তারা
হিসাব-
নিকাশের কোন পরোয়া করতোনা। আর আমার
আয়াত (বা নিদর্শন) সমূহকে মিথ্যা বলতো।”
সুরা আন-নাবার ২২-২৮ আয়াতের তর্জমা থেকে
নেওয়া।
19 thoughts on "একটু চিন্তা করুন ও সতর্ক হনঃ পোশাকের কারণে জাহান্নামী!!"