আসসালামুআলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহি ওয়াবারাকাতুহ

প্রিয় ভাই ও বোনেরা আশা করছি আল্লাহর রহমতে আপনারা সবাই ভাল আছেন আমিও আল্লাহর অশেষ রহমতে ভালো আছি এবং সুস্থ আছি আলহামদুলিল্লাহ।

বর্তমানে পৃথিবীতে যে প্রেক্ষাপট চলমান রয়েছে সে অনুযায়ী বুঝতে আর দেরি নেই যে ইমাম মাহদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আগমন খুবই সন্নিকটে।

দুনিয়াতে যে পরিমাণে ফিতনা-ফাসাদ, অত্যাচার অন্যায় ধর্ষন লুটপাট শুরু হয়েছে এটাকে এখন যদি আমি আরবের হিংস্র বর্বর জাতির সাথে তুলনা করি তাহলে মনে হয় ভুল কিছু হবে না।

বরংচ তার চেয়েও বর্বর এক জাতির মধ্যে আমরা বসবাস করছি। যেখানে অন্যায়ের কেউ প্রতিবাদ করেনা, অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ায় না, মানুষকে সৎ উপদেশ দেয় না, কোনটা হালাল কোনটা হারাম নির্ধারন করতে পারে না, সব সময় দ্বন্দ্ব ফাসাদ নিয়ে পড়ে থাকে আল্লাহতালা কে ভয় করে না।

তাই আজকে আমি আপনাদের মাঝে খুবই সুন্দর একটা আর্টিকেল নিয়ে হাজির হয়েছি এটির মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন ইমাম মাহদি কবে আসতে পারেন – হাদিস অনুযায়ী তার সম্ভাবনা এবং তার অবস্থান সহ কিছু গোপন অজানা তথ্য আজকে আমি আপনাদের শেয়ার করব।

নোট:

আজকে আমি যে লেখাটি লিখব সেটা সম্পূর্ণ হাদিস মোতাবেক হবে মানে হাদিসে কোথায় উল্লেখ আছে কোন শরীফে উল্লেখ আছে সকল কিছু রেফারেন্স হিসেবে দেওয়া থাকবে। এটা আমার কোন মনগড়া কথা হবে না যেটা অনেকেই বলে থাকে।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন যে ইমাম মাহাদী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বংশে এবং খাতুনে জান্নাত হযরত ফাতেমা জোহরান আওলাদের মধ্য হতে আবির্ভূত হবে।

তার মাতা-পিতার বংশ সূত্র হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর সাথে মিলিত হবে, তার শারীরিক গঠন একটু লম্বা ধরনের হবে। যে কোন দলে বা যে কোন কাতারে দাঁড়ালে তাকে সকলের ঊর্ধ্বে দেখা যাবে।

গায়ের রং খুবই উজ্জল হবে এবং শরীর হবে নিখুঁত ও সিমসাম। তার মুখমণ্ডলে একটি বিশেষ নূরের জ্যোতি বিশেষিত থাকবে।

তাছাড়া তার চেহারা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর অনুরূপ হবে। তার নাম হবে মোহাম্মদ। (মতভেদ আছে)

তার মুখে সামান্য তোতলামি জড়তা থাকবে এজন্য কথা বলবার সময় তার একটু কষ্ট হবে এবং কোনো কোনো কথা বলার সময় ওই কষ্টের কারণে বিরক্ত হয়ে নিজের উরুর ওপর হাত মারবেন। (আবু দাউদ শরীফ)।

হযরত ইসহাক রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে, হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার ছেলে হাসান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহুর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, যেমন হযরত রাসুলে করীম সাঃ আমার ছেলে হাসান কে বলেছিলেন, সেই রকম ভাবেই তার বংশ হতে এমন একজন জন্মগ্রহণ করবে, যার নাম হযরত মোহাম্মদ সাঃ এর নাম অনুসারে রাখা হবে তার শরীর হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর দেহ মোবারক এর মতই হবে তারপর হযরত আলী রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু তার সম্পর্কে বিবৃতি দিলেন তিনি সুবিচার ও ইনসাফ এর মাধ্যমে পৃথিবী কে পরিপূর্ণ করবেন।

হযরত সাওবান রাদিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যখন তোমরা সুফিয়ান হতে কালো পতাকাবাহী দল দেখতে পাবে তখন তাদের সাথে যোগদান করবে কেননা আল্লাহর খলিফা ইমাম মাহাদী তাদের ভিতরেই থাকবেন। মুসনাদে আহমদ ও বায়হাকী শরীফ

যখন ইমাম মাহদীর বয়স ৪০ বছর পরিপূর্ণ হবে এবং যখন তিনি খিলাফতের শুরু ভার বহন করার ক্ষমতা অর্জন করবেন তখন তাঁর আবির্ভাব ঘটবে তার আবির্ভাবের পূর্বমুহূর্তে পবিত্র রমজান মাসে চন্দ্রগ্রহণ ও সূর্যগ্রহণ হবে যে বছরে অলৌকিক কান্ড ঘটবে সেই বছরই ইমাম মাহদীর আবির্ভাব ঘটবে। (মেশকাত শরীফ)

তার আবির্ভাব নিয়ে অনেকেই অনেক রকম ভবিষ্যৎবাণী করেছেন কিন্তু আমরা এই ভবিষ্যৎবাণী গুলোকে মেনে নিতে পারি না। কারণ ইসলামের বিধান অনুযায়ী হাদিসে এই ভবিষ্যৎ বাণী নিয়ে সুস্পষ্টভাবে কিছু বলা নেই যে ইমাম মাহাদী এই বছর এই তারিখে সময় আসবেন।
কারণ একমাত্র আমাদের রব এই সমস্ত জাহানের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ রাব্বুল আলামিন এই বিষয়ে ভালো জানেন। ইমাম মাহদির আবির্ভাবের পূর্বে পৃথিবীতে যে সকল লক্ষণ প্রকাশ পাবে সেই বিষয়ে হাদিসে সুস্পষ্টভাবে প্রমাণ তুলে ধরা হয়েছে আমি সেই সকল কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করছি।

আলামত সমূহ:

  • তুর্কি খিলাফত ধ্বংস হবে।
  • ১৫ ই রমজান শুক্রবার রাতে বিকট শব্দে আওয়াজ আসবে:-

ফিরোজ দায়লামি বর্ণনা করেন, আল্লাহর রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “কোন এক রমজানে আওয়াজ আসবে”।

সাহাবাগণ জিজ্ঞেস করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! রমজানের শুরুতে? নাকি মাঝামাঝি সময়ে? নাকি শেষ দিকে’? নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন,“না, বরং রমজানের মাঝামাঝি সময়ে। শব্দের প্রচণ্ডতায় সত্তর হাজার মানুষ সংজ্ঞা হারিয়ে ফেলবে আর সত্তর হাজার বধির হয়ে যাবে”।

(মাজমাউজ জাওয়ায়েদ, খণ্ড ৭, পৃষ্ঠা ৩১০)
রমজান মাস শুরু হবে শুক্রবারঃ
[আল ফিতানঃ নুয়াইম বিন হাম্মাদ]

রমজান মাসে চন্দ্র গ্রহন ও সূর্য গ্রহন হবেঃ

মুহাম্মদ ইবনে আলী ইবনে আল হানাফিয়্যাহ (রহঃ) বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আকাশ ও পৃথিবী থেকে দুটি বিষয় না ঘটবে, ততদিন পর্যন্ত মাহদী আগমন হবে না। প্রথমটি হল, রমজানের প্রথম রাতে চন্দ্র গ্রহণ ও মধ্য রমজানে সূর্য গ্রহন না ঘটে।

[ইমাম আল আলী বিন উমর আল দারাকতুনী]

সুফিয়ানীর জন্ম ও উত্থানঃ


হযরত যুহরী (রহঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন দ্বিতীয় সুফিয়ানীর জন্মের সময় আকাশে আলামত বা নিদর্শন দেখা যাবে।

[ আল ফিতান: নুয়াইম বিন হাম্মাদ – ৯৫৪ ]

সত্যি কথা বলতে আমরা জানি না ইমাম মাহাদী কবে আসবেন হাদিসে বা কোরআনে আল্লাহ তায়ালা সরাসরি উল্লেখ করে এরকম কিছু বলে দেননি তাই সঠিক সময় বলে দেওয়া কারো পক্ষেই সম্ভব না। কিন্তু হাদিসে অবশ্যই কিছু আলামত দেওয়া আছে আর সেই কথাগুলোই উপরে বর্ণনা করা হয়েছে এদিকে অনেকটা স্পষ্ট ভাবে বোঝা যায় যে ইমাম মাহদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আসতে আর বেশি দেরি নেই। কিন্তু কখন আসবে এটা তো সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে অনেক বড় বড় আলেমদের মতে ২০৩০ সালের মধ্যে ইমাম মাহদী আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর আসার তীব্র সম্ভাবনা রয়েছে।




3 thoughts on "ইমাম মাহাদী এর আগমন কবে হওয়ার সম্ভাবনা আছে এবং কি কি আলামত প্রকাশ পেলে তার আগমন হবে – বিস্তারিত পোস্টে।"

  1. AJ sabbir Author says:
    সুন্দর

Leave a Reply